डॐiज्च সুবিমলের ব্যবসায় ৬৩৩ আবার ডিরেক্টার-সভা । ম্যারেজ র্যাক্ট । এই ইনি হলেন রেজি ষ্ট্রার। ব’লে সুখচরে মাছের কারবারে এই কয় মাসেই বেশ লাভ এক বাবুকে দেখালেন । দীড়াইয়াছে । —সেই চিরন্তন প্রশ্ন, পুরুষ আর নারী—ডাক্তার এম-এ, বি-এল প্রস্তাব করেন—বৎসর পূর্ণ হইবার জ্বল্প অপেক্ষা করিবার প্রয়োজন নাই । ছয় মাসের জন্তষ্ট একটা ডিভিডেন্ট ঘোষণা করা হোক । মাৰ্চেণ্ট বণিক বলিলেন—তার পূৰ্ব্বে একটা মোট রিজার্ভ ফণ্ড রাখা দরকার । মোক্তার ঘোষ বলেন—সুবিমল বাবুর জন্তে একটা ভাল রকম অনরেরিয়ম । তার উপ্তম ও বুদ্ধিতেই না এই লাভ | মাষ্টার হিসাব করিলেন অতি সোজা, শতকরা পচিশ টাকা রিজার্ভ ফণ্ড, পচিশ টাকা আপিস খরচ, পচিশ টীকা ডিভিডেন্ট আর পচিশ টাকা সুবিমল বাবুর আনরেরিয়ম | সৰ্ব্বসম্মতিক্রমে এ ব্যবস্থা স্থির হইল । —হরে, তোর চা হ’ল ?—রায়-বাহাদুরের গলাটা একটু ধরা নয় ? তাঁর সে প্রোণখোলা হাসি কই ? —সাফল্যের উৎসব কিন্তু সব মাটি, আজকে আপনার শরীরটা যেন ভাল নয়—উকীল বলিলেন। —ঠিক শরীরের অসুখ নয় ভাই, মনের। পড় ভাই এই চিঠিপান, হরিপদ লিখেছে—রায়-বাহাদুর হাত বাড়াইয়া উকীলের হাতে চিঠিখানা দিলেন । উকীল পড়িতে আরম্ভ করিলেন— ভিতরে ভিতরে সুবিমল বাবু এত দূর অগ্রসর হইয়াছেন তাহা আমি ঘূণাক্ষরেও টের পাই নাই । বিকাল বেলা একটা বজরা দেখা দিল কিন্তু চরে ভিড়িল না । স্বৰ্য্য, অস্ত গেলে তবে সেটা চরে লাগিল । দুই জন বাবু অবতরণ করিলেন । সুবিমল বাবু অগ্রসর হইয় তাহাদিগকে অভ্যর্থনা করিলেন, তারপর আমায় বলিলেন—হরিপদ, আজ রাত্ৰিতে ক্ষেমঙ্করীর সঙ্গে আমার বিবাহ, তুমি হবে বেষ্ট ম্যানূ । আমি ত অবাক । কোন কথা আমার মুখ দিয়া বাহির হইল না । তিনি আরও বলিলেন— বামুনের ছেলে আর জেলের মেয়েতে বিয়ে বৈধ করবার জন্তে ডাঃ গৌড়ের স্পেশ্যাল মন্তব্য করিলেন । —আগুন আর দ্বি-মাৰ্চেণ্ট ভাষ্য করিলেন । উকীল পড়িতে লাগিলেন— তার পর তিনি বলিলেন-বাপ-মা, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব কাউকেও কিছু জানাই নি, বুঝতেই পরিছ । র্তারা হয়ত শুনলে মনে ব্যথা পাবেন । ক্ষেমঙ্করীকে ত রোজ দেখছ—রুপের মোহে অন্ধ হয়ে এ কাজ করছি, অন্ততঃ তুমি এ কথা বলতে পার না । এইবার আমি প্রশ্ন করিলাম—তবে এ কাজ করছেন কেন ? তিনি উত্তর দিলেন-জীবনে এক জন সহকর্মিণী নিলুম, এর বেশী কিছু নয় । পনর মিনিট মধ্যেই বিবাহ রেজেক্টরী হুইয়া গেল। তার পর রাত্রিতে নারায়ণ-শিলার সম্মুখে যথারীতি হিন্দু অনুষ্ঠান হয়, কলিকাতার দুই নম্বর বাবু পুরোহিতের কাজ করেন । —সুবিমল বাবু ত ল পড়েন নি, কাজ করলেন যেন প{ক উকীলের । ভবিষ্যতে কোন গোলযোগের পথ রাপলেন না—উকীল গম্ভীর ভাবে বলিলেন । —র্কাচা কfজ করবার লোক তিনি কপনই নন — মোক্তার ঘোষ বলিলেন । উকীল পড়িতে থাকেন— পরদিন ভোরে মথুর সর্দারের সঙ্গে দেখা । সে বলিল— দুঃপ করছেন কেন বাৰু। তবে জামাইবাবুর মান আমি রাখব। শুনেছি তার বাপ জিলার হাকিম ছিলেন। কিন্তু মাসকাবারে পয়সা না দিলে বাসার চাকটিও চলে যায়। আমি চৌদ মৌজার সর্দার। এই কয় মাস দেখলেন ত, হাজার লোক আমার কথায় ওঠে বসে। জামাই আমার লায়েক, তাকে বাইশ মৌজার সর্দার করব । লাখ জেলে তার ডাকে জড় হবে । --ব্রেভো ! আপনি মুসড়ে গেছেন কেন রায়বাহাদুর —মোক্তার ঘোষ বলিলেন । —মথুর সর্দার ঠিকই বলেছে। সমাজের উপর আমাদের কি প্রভাব ? এরা হচ্ছে খাটি লীডর অব মেন। মাছের
পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।