পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

マラiで牙 পশ্চিমের ষাত্রী V8S করলুম ফরাসীতে ; ইংরিজী জানে না । এর সঙ্গে কথা কওয়াও মুস্কিল, কারণ মুখগহবর থেকে অৰ্দ্ধেক কথা বা’র হয় না,—কথা কইছে, ন৷ ঢুলছে যেন । ( প্রসঙ্গত: বলেও রাখি, মোটা লোক, চেয়ারে বসে বসে বদন ব্যাদান ক’রে প্রায় সারক্ষিণ একে ঘুমাতেই দেখা যায় )। আমার প্রশ্নের উত্তরে জানালেন, তিনি “মাশ্মরী” অর্থাৎ মাঞ্চুরিয়াতে পাদরীর কাজ করেন, পচিশ বছর সেদেশে কাটিয়েছেন, এবার পাঁচ বছর পরে দেশে ফিরছেন। ভারতবর্ষে খ্ৰীষ্টান কত, আর রোমান কাথলিকই বা কত ত জিজ্ঞাসা করলেন। আমি বললুম ধে ভারতবর্ষে এখন খ্ৰীষ্টান বড়-একটা কেউ হয় না, তবে যারা হয়েছে তাদের মধ্যে ধারা একটু শিক্ষিত তার সাধারণতঃ প্রটেস্টাণ্ট সম্প্রদায়ের হয়ে থাকে, আর গরীব অশিক্ষিত বারা আগে থেকেই পোর্জ গীসদের আমল থেকে খ্ৰীষ্টান হ’য়েছিল তারাই কাথলিক রয়ে গিয়েছে। পাদরী তাতে একটু হেসে ব’ললে—“হু", প্রটেস্টাণ্ট হ’লে অনেক সুবিধা ।” আমি জিজ্ঞাসা করলুম—“তার মানে ?” পাদরী আমার দিকে তাকিয়ে চেtখ মটকে বললে— “প্রটেস্টান্টদের মধ্যে ডাইভোর্সের সুবিধা আছে।” এই সব বিষয়ে পাদরী-বাবা ব’সে ব’লে ভাবেন তা হ’লে । তবে গান্ধীজীর খোজ নিলে,-কথায় বোঝা গেল ঠার প্রতি খুব শ্রদ্ধা আছে। আর একটি কাথলিক পাদরী যাচ্ছে বয়সে ছোকরা, আর এক জন কাথলিক সন্ন্যাসিনী । এর দু-জলে ইটালীয়ান । পোলিশ পাদরীটী আমায় ব’ললে, যে ছোকরা পাদরীটি গিয়েছিল জাপানে, সেখানে এত বেশী মন দিয়ে জাপানী ভাষা প’ড়তে আরম্ভ ক’রে দিলে ষে তার শরীর খারাপ হয়ে গেল, এখন দেশে ফিরছে শরীর ভেঙে যাওয়ার দরুন । ব’লে লোকটা অকারণ হাসতে লাগল । জন-চারেক ইংরেজ চলেছে, ৩৫ থেকে ৩৮ fক ৪-এর মধ্যে বয়স, এর বোধ হয় ভারতবর্ষেই বিভিন্ন স্থানে কাজ করে, অল্প-স্বল্প হিন্দুস্থানী সবাই জানে—এর এক টেবিলেই ব'সে খায়, আর কারও সঙ্গে বড় মেশে না । মোটের উপরে খুব উচু শ্রেণীর বিদেশী কারও সঙ্গে আলাপ হ’ল না। এই শস্তার দ্বিতীয় শ্রেণীর হাওয়াট উচু দরের নয়। এক লম্বা-চওড়া অষ্ট্রিয়ানের কাছ থেকে ভিয়েনার খবর নিচ্ছিলুম। সে জিজ্ঞাসা করলে জার্মান জানেন কি, যে ভিয়েনায় যাচ্ছেন ? আমি জার্মানে ব’ললুম, “অল্প একটু জামান বলি, একটু পড়ি, কাজ চালিয়ে নেবো ।” তখন সে আমায় বলে, “দেখুন, আমি ভিয়েনার নাড়ী-নক্ষত্র সব জানি, যদি কেউ আপনাদের যায়ন্টায়, আমায় খবর দেবেন।” কথা আর এগোলো না, ভবিলুম, এ পাণ্ডাগিরি করতে চায় নাকি ? মহাত্মাঙ্গীর ভক্ত সেই সুইস ফরাগীটার সঙ্গে অলিপি জমাতে চেষ্টা ক’রলুম, কিন্তু ভদ্রলোক বেশীক্ষণ সময় নিজের লেখা নিয়ে থাকেন ( গtধীজীর সম্বন্ধে কিছু বই লিখছেন না কি ? ) আর খুব বিশেষ মিশুক ব’লে মনে হ’ল না । আমেরিকান ছোকরা যেটি গান্ধীজীর কাছ থেকে আসছে সেটি একটু মুখচোরা লোক, তবে আশা হয় তার সঙ্গে কথা ক’রে কিছু আনন্দ আর কিঞ্চিৎ তথ্য হয়তে পাবো। আর বাকী সব তাস-পেটা, নাচ-গান, বিয়ার বা ককটেল খাওয়া, এই সব নিয়েই আছে । লুনার চেহারার তরুণ-তরুণীর অভাব নেই ; আবার গুণ্ডা জার গাড়োয়ান চেহারারও দু-চার জন আছে, তারাও খুব জমিয়ে নিয়ে হৈ চৈ করতে ক’রতে b”〔研751 একটি জামান-সুইস ভদ্রলোক যাচ্ছেন, শুনলুম ষ্টনিও গtধীজীর ভক্ত হ’য়ে ভারতবর্ষে ছিলেন । লোকটিকে বোম্বাইয়ে দেখি ; মাঝারী চেহারা, কিন্তু কতকটা Uncle Sam-gã sẽ qf#-Uncle Sam-taạ qf#ì# C5t# একটু বেশ লম্বা দাড়ী । শুনলুম লোকটি ভাল ফোটোগ্রাফার, ভারতবর্ষ থেকে নানা রকমের বহু শত ছবি তুলে নিয়ে ঘুচ্ছে, হয় তো কোনও বই প্রকাশ করবে। কতটা আধ্যাত্মিকতার মালিক এ তা বোঝা যাচ্ছে না। BaK TB BBB TK DEK EBS BSBBS BSBBB ভারতীয় একটু মজা অনুভব করি। পাশার দান ফেলে সেই দাম ধীরে ধীরে ছ’টা কাঠের ঘোড়াকে নিয়ে রেস থেল হ’চ্ছে, যাত্রীদের অনেকে এক-একটা ঘোড়ার উপর এক শিলিং ক’রে টিকিট ধ'রে বাজী খেলছে। তিন