পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী >seર - ডক্টর প্রফুল্লচন্দ্র গুহ ডক্টর প্রফুল্লচন্দ্র গুহ আর এক জন কৃতী প্রবাসী বাঙালী । ইনিও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতপূৰ্ব্ব ছাত্র ছিলেন এবং পরে এখানে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করিয়াছিলেন । এখন তিনি বাঙ্গালোরে প্রধানতঃ স্বৰ্গীয় জমশেদজী নাসেরবাল্পী - टङ्घेन चकूलघ्व्व अंश् টাটার প্রভূত দানের সাহায্যে প্রতিষ্ঠিত ইণ্ডিয়ান ইনষ্টিটিউট অব সায়েন্সে জৈব রসায়নী বিদ্যার (অর্গ্যানিক কেমিষ্ট্রীর ) অধ্যাপক। আগামী বৎসর মার্চ মাসে তিনি প্রতিনিধিরূপে ইউরোপের জৈব রাসায়নিক গবেষণার কেন্দ্রগুলি পরিদর্শন করিবার নিমিত্ত যাইবেন । আগামী জানুয়ারিতে ইন্দোরে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের ষে অধিবেশন হইবে, গুহ মহাশয় তাহার রাসায়নিক-বিভাগের সভাপতি নিৰ্ব্বাচিত হইয়াছেন। তিনি জৈব রসায়নী বিদ্যার নানা দুরূহ শাখায় বলি ও গুরুত্বপূর্ণ বাখৰ গবেষণা করিয়াছেন। তিনি কলিকা বিবিজ্ঞানে কিএসসি ওএমএসসিতে প্রথম વિશ્વ િ স্বান অধিকার করেন। তাহার পর আচাৰ্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের পরিচালনায় তিন বৎসর বৃত্তিপ্রাপ্ত গবেষক ছাত্ররূপে গবেষণা করেন এবং ১৯২৩ সালে গবেষণার বলে প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তি পান। ঐ বৎসরই বিলাতের তিন জন প্রসিদ্ধ রাসায়নিক তাহার এগারটি মৌলিক গবেষণা সম্বলিত প্রবন্ধ পরীক্ষা করিয়া তাহাকে ডি-এসসি উপাধির যোগ্য বলায় তিনি ডি-এসসি উপাধি প্রাপ্ত হন। গত বৎসর মুদ্রিত তাহার গবেষণার একটি তালিকায় দেখিতেছি, তিনি তখন পৰ্য্যন্ত ষাটটি বিষয়ে গবেষণা করিয়াছিলেন। তাহার পর আরও করিয়াছেন। অনেক জামান ও অন্তান্ত বিদেশী বৈজ্ঞানিক রসায়নীবিদ্যার ভিন্ন ভিন্ন শাখায় তাহার গবেষণার বিস্ময়ের সহিত প্রশংসা করিয়াছেন। তন্মধ্যে তিন জন ভিন্ন ভিন্ন বৎসর রসায়নে নোবেল প্রাইজ পাইয়াছিলেন। ডক্টর গুপ্ত সুশিক্ষক। র্তাহার ছাত্রেরা তাহার প্রতি অতুরক্ত । শাড়ীর জয়যাত্রা রবীন্দ্রনাথের পুত্রবধূ শ্ৰীমতী প্রতিমা দেবী সম্প্রতি পুনৰ্ব্বার বিলাত গিয়াছিলেন ও ফিরিয়া আশিয়াছেন। এবার সেখানে থাকিবার সময় তিনি লওনের ত্রৈমাসিক এসিয়াটিক রিভিয়ু পত্রিকার জুলাই সংখ্যায় শাড়ীর অতীত ও বর্তমান সম্বন্ধে একটি প্রবন্ধ লেখেন । তাহাতে তিনি মোহেন-জোদাড়োর সময় হইতে আরম্ভ করিয়া শাড়ীর ক্রমিক পরিবর্তনও বিবর্তনের বৃত্তান্ত দিবার চেষ্টা করিয়াছেন। তিনি লিথিয়াছেন, যে, এখন লগুনে পরিচ্ছদের দোকানে শাড়ীপরিহিত মোমের নারীমূৰ্ত্তি দেখিতে পাওয়া যায়। তাহাতে অকুমান হয় ইউরোপে শাড়ীর ফ্যাশন চলিবে। নয় বংসর পূৰ্ব্বে আমি যখন চেকোশ্লোভোকিয়ার রাজধানী প্রাগে যাই, তখন দেখিতাম আমাদের দলের একটি শাড়ী-পরিহিতা মহিলা কেমন করিয়া শাড়ী পরেন সে সম্বন্ধে অধ্যাপক ডক্টর ভিন্টরনিজ, মহাশয়ের (তখন ইহলোকবাসিনী) পীর খুব কৌতুহল হইয়াছিল। শ্ৰীমতী প্রতিমা দেবী লিখিয়াছেন, ভারতীয় মহিলারা এখন প্রায় সব প্রদেশেই শাড়ী পরেন, এবং সিংহলে ইউরোপীয় পরিচ্ছদ গৃহীত হইবার পর আবার অনেকে শাড়ী পরিতেছেন :