ماي 4 তথনকার অর্থেকের কম। এগন প্রত্যেক ৮২ - জন বাসিন্দী প্রতি একটি পাঠশালা আছে । ইহাকে দ্রুত শিক্ষাবিস্তার কিংবা মন্থর শিক্ষাবিস্তার, কিছুই বলা যায় না। প্রকৃত দ্রুত শিক্ষাবিস্তারের কয়েকটি দৃষ্টান্ত দিতেছি। উনবিংশ শতাব্দীর মোটামুটি যখন চল্লিশ বৎসর বাকী ছিল তখন জাপানে উচ্চার সম্রাটের আদেশে, অন্যান্য অনেক বিষয়ের মত শিক্ষা বিষয়েও, নব যুগের আরম্ভ হয় । তিনি এই ইচ্ছা প্রকাশ করেন, যে, ঠাঙ্গার সাম্রাজ্যে বিদ্যালয়বিহীন গ্রাম একটি থাকিবে না, এমন পরিবার একটিও থাকিবে না যাহাতে আপোগণ্ড শিশু ভিন্ন কেহ নিরক্ষর । তাহার ইচ্ছা পূর্ণ হইয়াছে। এখন জাপানে পুরুষজাতীয় শতকরা ৯৯ জন এবং প্লীজাতীয় শতকরা ৯৮ জন লিপনপঠনক্ষম, নিরক্ষর কেবল কচি পোকা-খুকীর। ইঙ্গ মোটামুটি ৭৫ বৎসরের চেষ্টার ফল । আফ্রিকার নিগ্রোদের নিজের কোন সাহিত্য, এমন কি বর্ণমালাও, ছিল না । এইরূপ অসভ্য অবস্থায় তাহারা ধুত ও আমেরিকায় দাসরূপে বিক্রীত হয় । ১৮৬৫ সালে আমেরিকায় তাহাদের দাসত্বমোচন হুইবার পূৰ্ব্বে সে দেশে তাহাদের শিক্ষার সুবিধা ছিল না ( এখনও সেখানে আমেরিকার শ্বেতকায়দের সমান স্নবিধা তাঙ্গাদের মাই ) ; অধিকন্তু অনেকগুলি রাষ্ট্রে এইরূপ আইন ছিল, যে, কেহ নিগ্রোকে লেখাপড়া শিথাইলে তাহার জরিমান, কারাদগু, বেত্ৰাঘাতদণ্ড হইতে পারিত, এবং যে নিগ্রে শিক্ষা পাঠত তাচারও ঐরূপ শাস্তি ঈষ্টত । এ বিষয়ে মেজর বণনদাস বস্তর কোম্পানীর আমলে শিক্ষার ইতিহাসের ৩ ও ৪ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য। ১৮৬৫ সালের ডিসেম্বরে দাসত্ব হইতে মুক্তি পাইয়। তবে ঐ সব রাষ্ট্রের নিগ্রোর আইন ভঙ্গ না করিয়া শিক্ষা লাভ করিতে পারিত। তাহার পর ১৯৩৯ সালে আমেরিকার যে সেন্সস গৃহীত হয়, তাহাতে দেখা যায়, যে, সেই দেশে শতকরা ४७१ ●ने आभब्रिकाम नि¢* भूक्य ७ जैौहलाक्ष निशिाङ পড়িতে পারে । ইহা প্রধানত: ১৮৬৫ ইইতে ১৯৩০ পর্যাপ্ত ৬৫ বৎসর ব্যাপী শিক্ষালাভের ফল। ভারতবধে লিখনপঠনক্ষমত্ব ব্রিটিশ-অধিকারের পর অপেক্ষ ব্রিটিশ-অধিকারের পূৰ্ব্বে অধিকতর বিষ্কৃত ছিল, এবং ভারতবর্ষের ধর্ণমালা, লাহিত্য, সঙ্গতি ও সড়্যত ৰয়েক সহস্ৰ বৎসরের १धवज़ौ পুরাতন। ব্রিটিশ রাজত্বও প্রায় দুই শত বৎসরের হইতে চলিল। এখন সমগ্র ভারতে লিখনপঠনক্ষম মানুষ মোটামুটি শতকরা আট জন, এবং বঙ্গে শতকরা এগার জন । ব্রিটিশ রাজত্বে ইহাকেই দ্রুত শিক্ষাবিস্তার বল। হইতেছে । goto #if:{ zārs “The State of the Soviet Union” নামক পুস্তকে রাশিয়ায় পঞ্চবার্ষিক উন্নতিবিধায়ক প্রণালী অনুযায়ী শিক্ষাবিস্তারের সংক্ষিপ্ত বৃত্তান্ত এইরূপ দেওয়া হইয়াছে :--- সৰ্ব্বত্র সাৰ্ব্বজনিক আবশ্যিক প্রাথমিক শিক্ষাদানের ব্যবস্থ! করা হইয়াছে । তাহার ফলে, ১৯৩০ সালের শেষে শতকরা ৬৭ জন লিপনপঠনক্ষম থাকার জায়গায় ১৯৩৩ সালের শেষে শতকরা ৯০ জন লিখনপঠনক্ষম হয় ; অর্থাং তিন বংসরে শতকর। লিথনপঠনক্ষমের সংখ্যা ২ ৩ বাড়ে । ১৯২৯ সালে সকল শ্রেণীর বিদ্যালয়ে ১৪৩৫৮০০০ জন ছাত্রছাত্রী ছিল, ১৯৩৩ সালে ভয় ২৬৪১৯ ০০০ । বাংলা দেশে, শুধু বিদ্যালয়ে নহে, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও সর্পলবিধ বিদ্যালয়ে জন ছাত্রছাত্রী ছিল, ১৯৩১-৩২ সালে তাহ হয় ২৭৮৩১২৫ ৷ বঙ্গে শুধু বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী পরিলে মোট সংখ্যা ও সংথ্যাবৃদ্ধি আরও কম হয় । ইহ। অবশ্য মনে রাপিতে • টবে, যে, রাশিয়ার লোকসংখ্য। বঙ্গের তিনগুণের কিছু বেশী । কিন্তু তাঙ্গ হইলেও সেখানকার শিক্ষাবিস্তার এবং ছাত্ৰছ ত্রীর সংখ্যাবৃদ্ধি বঙ্গীয় শিক্ষাবিভাগের চেষ্টার সমূপে, আশা করি, ১ লঙ্গীয় মুখ লুকাইতে বাপ্য হুইবে না । জোসেফ ষ্টালিন রাশিয়ার “একছত্র” নেভা অর্থাৎ যাহাকে বলে ডিক্টেটর । অতএব, কেহ কেহ, বিশেষতঃ ইংরেজরা ও তাঁহাদের অন্তগুহীত চাকর্যের, মনে করিতে পারে, যে তিনি নিজের দেশের কৃতিত্ব বাড়াইয়া বলিয়াছেন। অতএব অল্প সাক্ষী উপস্থিত করিতেছি। রাশিয়ার বলশেভিকরা খ্ৰীষ্টীয় ধৰ্ম্ম ও অন্যান্য সব ধর্থের বিরোধী । সুতরাং খ্ৰীষ্টীয় মিশনারীদের রাশিয়া সম্বন্ধে সাক্ষ্য রাশিয়ার প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট বিবেচিত হুইবে মা ! ডক্টর ষ্টানলী জোন্স ভারতবর্ষে খ্ৰীষ্টীয় ধৰ্ম্ম প্রচার করিয়া ও তদ্বিষয়ক গ্রন্থ লিখিয়া বিখ্যাত হইয়াভূেম । কিছুকাল পূৰ্ব্বে তিনি ১৯২৮-২৯ সালে ২৬২৫২২ 2
পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮০৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।