Refe সরকারী পঞ্চবার্ষিক রিপোর্টেও এইরূপ সিদ্ধান্তই করা হইয়াছে, হ্রাস আবশ্বক বা উচিত বলা হয় নাই । তিন প্রকারের যুক্তিমাৰ্গ অবলম্বন করিয়া উক্ত রিপোর্টে এই forg or osco, co, “It may be said with confidence that there are in Bengal at present nearly as many school-units for boys as are needeed” ; “দৃঢ় বিশ্বাসের সহিত ইহা বলিতে পারা যায়, যে, বঙ্গে বালকদিগের জন্ত যতগুলি বিদ্যালয় আবশ্যক প্রায় ততগুলি আছে।" প্রণয় কথাটি লক্ষ্য করিবেন । তাহার মানে, যে, আরও কিছু চাই, অস্তুতঃ অনাবশ্বক অধিকসংখ্যক বিদ্যালয় নাই । এই বাক্যটি “Quinquennial Review of the Progress of Education in Bengal for the years 1927-28 to 1931-32” Rfn-, F-prst রিপোটের তৃতীয় অধ্যায়ে আছে । ইহা বালকবিদ্যালয় সম্বন্ধে উক্ত ; বালিকাবিদ্যালয়ের সংখ্যা যে একাস্ত অযথেষ্ট তাহা বলাই বাহুলা । কৰ্বারা পাঠশালাগুলি কমাইতে চান নানা কারণ দেখাইয়া । তাহার একট কারণ এই, ধে, সেগুলির অধিকাংশ অকেজো । তাহার সোজা উত্তর, সেগুলিকে কেজো করুন না ? আপত্তি হইবে, টাকা নাই । উত্তর-— সরকার নিজের প্রয়োজন, খেয়াল ও ইচ্ছা হইলে কোটি টাকাও, ধার করিয়াও, যখন খরচ করিতে পারেন, তখন এক্ষেত্রেই টাকা নাই কেন ? কিন্তু ধরিয়া লইলাম, বৰ্ত্তমান বায়ব্যবস্থায় শিক্ষার জন্ত টাকা যথেষ্ট দেওয়া যায় না । তাহা হইলে ব্যবস্থা বদলান উচিত । এত জন মন্ত্রীর কি আবশুক ? ডিবিজম্ভাল কমিশনারদের পদগুলির কি আবশুক ? আরও অনেক অনাবশ্যক পদ আছে । তার পর, বেতনের বহর এরূপ কেন ? প্রবলপরাক্রান্ত জাপান-সাম্রাজ্যের প্রধান মন্ত্রীর বেতন মাসিক দেড় হাজার দ্ব-হাজার টাকা ( জাপানী মুদ্রা ইয়েনের বিনিময়-মূল্য পরিবর্তনশীল বলিয়া টাকায় ঠিক পরিমাণ দেওয়া গেল না ), আর আমাদের মন্ত্রী. সেক্রেটারী, কমিশুনার, কলেক্টর, জঙ্ক, ডিরেক্টর, ইন্সপেক্টর-জেনার্যাল, স্কুল-ক্টনস্পেক্টর প্রভৃতি উার চেয়ে বড় ও দায়িত্বপূর্ণ কি কাজ করেন, যে, তার চেয়ে মোটা বেতন পান ?" আমাদের বিবেচনায়, তাহদের প্রবণসী
- اعتست .
বেতন খুব কমান উচিত, কমান যাইতে পারে, ও কমাইলেও সমান যোগ্য লোক পাওয়া যাইতে পারে । পাঠশালা এবং তদপেক্ষ উচ্চতর বিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালনার ব্যয় নিৰ্ব্বাহের আরও অনেক উপায় আছে। যেমন, গবষ্মেন্ট নিয়ম করুন, কেহ প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালন করিলে তাহাকে কৈসর-ই-হিন্দ স্বর্ণমেডাল দেওয়া হইবে, মধ্যবাংলা বা মধ্যইংরেজী বিদ্যালয়ের জন্য রায় সাহেব বা খান সাহেব করা হইবে, উচ্চ ইংপেজী বিদ্যালয়ের জন্য রায় বাহাদুর বা থান বাহাদুর করা হইবে, কলেজের জন্য রাজা, মঙ্গরাজ, নবাব, বা নাইট করা হইবে, ইত্যাদি । ইংরেজীতে বলে, ইচ্ছা থাকিলেই পথ থাকে ( Where there is a will there is a way ) son of toবালিকাকে, অস্তত: ক্রমশঃ অধিকতরসংখ্যক বালক-বালিকাকে, শিক্ষা দিবার ইচ্ছা গবন্মেণ্টের থাকিলে তাঙ্গা অসাধ্য ত নহেক্ট, দুঃসাধ্যও মহে । পক্ষান্তরে শিক্ষার ক্ষের সংকীর্ণ করিবার ইচ্ছা হইয়া থাকিলে, সেই বাঞ্চ পূর্ণ করাও অসাধ্য নহে । শিক্ষাবিভাগের মন্তব্যটিতে নানা আন্দাজী কথা আছে । একটা দৃষ্টান্ত দিতেছি । ফ্ৰয়োদশ প্যারাগ্রাফে বলা হইয়াছে, “These 60,000 probably do not produce G0,000 literates in the year,” “qẽ ve,• • • প্রাথমিক পাঠশালা বোপ হয় বৎসরে ৬০,০০০ লিখনপঠনক্ষম লোক তৈরি করে না” । বৰ্ত্তমান পাঠশালাগুকি অকেজো অপবাদ দিবার জন্য এটা একটা আন্দাজ মাত্র । অন্য দিকে আমরা সৰ্ব্বাধুনিক পঞ্চবাৰ্ষিক রিপোর্টের তৃতীয় অধ্যায়ে দেখিতে পাইতেছি, যে, প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের চতুর্থ শ্রেণীতে ১৯৩১ সালে মোট ১১৮৭৭১ জুন ছাত্র-ছাত্রী ছিল। তাহারা অস্ততঃ তিন বৎসর কিছু লিখিয়াছে কিছু পড়িয়াছে ও তাহার পর চতুর্থ শ্রেণীতে পৌঁছিয়াছে, এবং ১৯৩২, প্রত্যেক বৎসরেও ঐক্ষপ লক্ষাধিক বালকবালিকা অনূ্যন তিন বৎসর শিক্ষালাভের পর চতুর্থ শ্রেণীতে উঠিয়াছে। স্বতরাং যাট হাজার পাঠশালায় ষাট হাজার বালকৰালিকাও প্রতি বৎসর লিখনপঠনক্ষম হয় না, ইহা কেমন করিয়া মানিয়া লইৰ ? বাক্তে పిన్సెర్సిరి, పిన్సెరి8, నెఱt,