পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বিন নারীর শেষ উক্তি ԳԵաNՑ করিয়া শৈলেন উঠিয়া পড়িল। একটু যেন ধরা-গলায়—ত হ’লে এখন আসি স্তর—বলিয়া বাহিরে আসিল । পথে আসিয়া দু-জনেরই মনে হইল ও-কথাটা মতিবাবুকে না বলিলেই বুঝি ভাল হইত। শৈলেন একবার পিছন ফিরিতে দেখিল মতি-মাষ্টার তখন র্তাহার চণ্ডীমণ্ডপের সম্মুখে দাড়াইয়া তাহাদিগকে দেখিতেছেন। র্তাহার চোখের দুটি কোণ জলে চিক্‌ চিক্‌ করিতেছে। সামনেই মোড়। মোড় ফিরিয়া শৈলেন জোরে একটি নিঃশ্বাস ফেলিল। উপেন হঠাৎ মুখ ফিরাইয় তাহার পানে চাহিল। মতি-মাষ্টারের চোখে জল তাহদের দু-জনের কেহই পঠদ্দশায় কল্পনা করিতে পারিত না । নারীর শেষ উক্তি ( †farg: A Woman's Last Word হইতে ) স্ত্রীস্বরেন্দ্রনাথ মৈত্র । মিছে দু-জনে যুঝিয় মরি, তর্কে কিবা ফল ! থাকৃ বচস, থামুক্‌ আঁখিজল । সকলি ঠিক্‌ হোক তেমনি যেমন ছিল আগে, নয়নকোণে নিদুটি যেন লাগে। বল্গা-হারা বাণীর পারা অসহ অকরুণ কি আছে ভবে এমন নিদারুণ ? শ্নেসম ভীষণ হও উগ্ৰ হই আমি আপন ভুলি তর্কে যবে নামি । ওই দেখ না দর্পভরে আসিছে বাজপার্থী, ক’য়ে না কথা, তর্ক রাখ ঢাকি । কপোল পরে কপোল রাখি নিবার মুর্থরতা মোদেরে ঘেরি রহুকৃ নীরবতা। বিতণ্ডায় সত্য হায় মিথ্যা হয়ে যায় তোমার কাছে। যেওনা ধরি পায় মনসাতলে, তুলিয়া ফণা রয়েছে কাল ফণী শোন নি তার ভীষণ গুমরনি ? বিষ-বিটপী শাখার পরে দুলিছে রাঙাফল, পাড়িতে তারে যেও না তরুতল । সেথায় গেলে জনম তরে আমি অথবা তুমি হারাব মোরা এই স্বরগভূমি। নিঃশেষিয়া দিহু তোমারে জীবন যৌবন, অৰ্পিলাম এ মোর ততু মন তোমারি হাতে ; যেমন খুশী আমারে তুমি লহ তোমারি নাথ, রহিন্ত অহরহ। আজিকে নয়, এ নিশি শেষে আসিবে দিব যবে জানি বাসন পূর্ণ মোর হবে। রহিল দুখ কবরতলে আজি এ রজনীতে আঁখি-আড়ালে অন্তর নিভৃতে । পরাণ-বধু মানে না মানা অবোধ আঁখি হয়, দু-ফোটা জল ফেলিতে তবু চায়। . প্রেমবাহুর স্পৰ্শাতুর নিদ্রা ঘন ঘোর জানি চেতনা হরিয়া লবে মোর।