বৈশাখ অপুর্ব ԾՊ বসিলেন। ও-ঘরে মধুটা গেtঙাইয়া গোঙাইয়া কাদিতেছে না ? জর কি আরও বাড়িল নাকি ? সমরেশটা কি করিতেছে ? বোমীও কি ঘুমাইয়া পড়িয়াছে নাকি ? ছেলেটা যে র্কাদিয়া কঁIfদয়া সারা হইল একেবারে । নাম, ইহার মোটেই ছেলেপিলে মানুষ করিতে জানে না । আজ আবার সেই সকালবেলা । ভোরে দাদা চলিয়া গিয়াছেন। তাহার সহিত সরু চাল নুতন গুড় আর দশটি টাকা দেওয়া হইয়াছে। এদিকে জর কমিয়া যাইতেই মঞ্জু আবার বারনায় আসিয়া বসিয়াছে। আর মণ্ট মুকুলরাণীর দল 'দাদু যাইবার সময় যে একটা করিয়া পয়সা দিয়া গিয়াছেন তাঁহা লইয়া মহামুৰ্ত্তিতে হৈ-চৈ করিতেছে। বড়মা আবার সেই তরকারী কুটিতে বসিয়াছেন ; দীপ্তি র্তাহার পিঠের উপর ঝাপাইয়া পড়িয়া বলিতেছে, “ছোটবুড়ি, ও ছোটবুড়ি, একটা পয়সা নেবে ?” বড়মা যেন সেখানে নাই।--• •••প্রৌঢ় জীবনের একঘেয়ে দিনগুলির মধ্যে লঘুস্বপ্নের মত অনেক দিন আগেকার চেনা একটা দিন কোথা হইতে ভাসিয়া আসিল আবার কোথায় মিলাইয়া গেল। মনে হয় উহা যেন আসে নাই, উহা যেন ছিল না । মনে হয় পরশু যে দিন গিয়াছে তাহার পরের দিনই আজ --- স্বপ্নের উত্তেজনার পর শরীর আজ ঘন অবসাদে ধিরিয়া ফেলিয়াছে, ক্লাস্ত মন ভূমিতে লুটাইয়া পড়িয়া সম্মুখ ও পশ্চাতের দিকে সকরুণ দৃষ্টিতে চাহিয়া দেখিতেছে—কত দূর আসিয়াছি গো ? আর কত দূর ? উত্তর পাওয়া যায় না । সম্মুখে যতই চাওয়া যায়, অন্ধকার—গাঢ় অন্ধকার—কিছু দেখা যায় না । পশ্চাতে কিছু কিছু দেখা যায়, কিছু কিছু বুঝা যায়,–কিন্তু বড় অস্পষ্ট, বড় ছায়া-ছায়া,–চোখের জলে ঝাপসা-ঝাপস । অপুর্ব ঐস্বধীরচন্দ্র কর হু-দিন আগেই তোমারে দেখেছি আপনারে যেন ঢাক । দেখেছি এ দু-চোখেই, ফিরে ফিরে সারাথন তুমি ত সে তুমি নেই! কেবলি ভাবনা ঐ মুখ, ঐ দিঠি, কোথায় তোমার মন । ঐ বাহু, ঐ নিটোল গ্রীবার তার সাথে একে একে শুভ্র, কোমল, সুন্দর অরি মনে পড়ে থেকে থেকে पत्रनिना उत्रिफ्रेि, পায়ের পাতার উপরে মাত্র দু-দিন আগে কেমন বেকে— তোমাতেই ছিল ?—সন্দেহ মনে জাগে ! লুটায় শাড়ীর লাল পাড়খানি ধীরে। কানের দু-পাশ ঘিরে আজ এ যে তুমি পথ দিয়ে চলে যাও, আমার মনের গহন-কিনারে বহে বসন্ত-বাও । ঘরেও যখন থাক, দূরে থেকে আরও গুঢ় রহস্তে কালে অলকের লীগ চলিয়াছে নামি । কি কথা ভাবিয়া মুখ ফিরাইতে চোখে চোখ পড়ে চলা তব যায় থামি । শঙ্খের মত কণ্ঠ তোমার রেখায় রেখায় আঁকা,
পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।