পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سراج سوا জোড়াসকোয় ইউরোপীয় রীতিতে নিৰ্ম্মিত প্রাসাদ শিক্ষিত ইউরোপীয়ের জীবনে গ্রীস ও রোমের স্মৃতি আমাদের রামায়ণ-মহাভারতের মত সৰ্ব্বদা জাগ্রত থাকে। সেই জন্য র্তাহারা যখন গ্ৰীক বা রোমান স্থাপত্যের উপাদান ব্যবহার করেন, তাহাদের পক্ষে অসঙ্গতিদোষের সম্ভাবন কম থাকে । কিন্তু বাঙালী যখন স্থাপত্যের ইউরোপীয় ভাষা ব্যবহার করিতে লাগিল তখন তাহ’র ব্যবহারে নানাবিধ ভূলভ্রান্তি হইতে লাগিল । যে অলঙ্কার শুধু গৃহের নীচের অঙ্গে দিলে অর্থ হয় তাহাকে দ্বিতলে, ত্রিতলে পৰ্য্যস্ত যুক্ত করা হইতে লাগিল। ফলতঃ ইউরোপকে অতুকরণ করিতে গিয়া স্থাপত্যের বিষয়ে বাঙালী যথেষ্ট মূর্খতার পরিচয় দিল । অবশ্য এরূপ হওয়৷ বিচিত্র নয়। সদlসৰ্ব্বদ। ব্যবহার করে না, সে-ভাষায় সৎ সাহিত্য রচনার চেষ্টা করিলে তাহা আড়ষ্ট হইয় পড়ে। গ্রীসে রোমে ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে - প্রাচীন মন্দির, সমাজগুহ, স্তম্ভ, মঠবাড়ি দেখিতে পাওয়া যায়। ইউরোপীয়ের কাছে সেগুলি জীবন্ত বস্তু, বইয়ে শেখ জিনিষ নয়। কিন্তু বাঙালীর জীবনে -এ-সকল পদার্থ বিদ্যমান নহে। বাংলার চালাবাড়ি, গ্রামের শিবমন্দির, দেউল—এই সকলই তাহার কাছে জীবন্ত বস্তু। কিন্তু তাহা হইতে স্থাপত্যের উপদান সংগ্রহ না করিয়া যখন সে -নিজাব পুস্তকমালা হইতে যে-ভাষী মাহুষে । SNరి8S তাহ সংগ্রহের চেষ্টা করিল, অথপ ইংরেজদের নিৰ্ম্মিত বাড়ির অন্তকরণ করিতে লাগিল, তখন একটি আড়ষ্ট এবং সময়ে সময়ে ভ্রান্তিপূর্ণ শিল্পবস্তুর সৃষ্টি হইল। বাঙালী ষে মনে মনে ইংরেজের কাছে পরাভব স্বীকার করিয়াছিল, নিজের গ্রাম্যজীবনের প্রতি তাহার মমতা কমিয়া গিয়াছিল, ঈহঠ স্থাপত্যে অন্তকরণপ্রিয়তার মূলে বিদ্যমান ছিল । এই মনোভাবের ফলে বাঙাল: নিজের দেশী কোঠাবাড়িকে শুধু সভা দেখাইবার জন্য যেন ইংরেজী পোষাক পরাইয় দিল । স্বগের বিষয়, কিছুদিন হইতে দেশে স্বদেশী ভাবের উন্মেষ হইয়াছে । সেই সঙ্গে স্থাপত্যের মধ্যে ইউরোপের অনুকরণপ্রিয়তার বিষয়ে মন্দ পড়িতে আরম্ভ করিয়াছে। বোধ হয় বাগবাজারের বোসেদের বিখ্যাত প্রাসাদে (৬৫, বাগবাজার ষ্ট্রট) আমরা স্বদেশী ভাবের প্রথম স্বচন দেখিতে পাই ; সেখানে বাড়ির গড়নে ইউরোপীয় প্রভাব বিদ্যমান থাকিলে ৭ স্তম্ভের আকারে এবং সজ্জায় দেশী উপাদানের আমদানী ঠাকুর-দালানে গণিক রীতিতে সজ্জিত জোড় থাম