পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SNరీ8కి মংপুতে কুইনাইন ফ্যাক্টরীর দৃষ্ঠা ছড়ার চাষ পর্য্যায়ক্রমে করিতে হয় । সত্তর বৎসরের অপ্যবসায়ের ফলে ভারতবর্ষে সিঙ্কোনার চাষ ও কুইনাইন প্রস্থতির ব্যবসা সফল হইয়াছে । - প্রধানতঃ লেডী ক্যানিঙের চেষ্টাতেই ভারতবর্ষে ইহার চাষ আরব্ধ হয়। ইহা কৌতুকজনক যে র্তাহার নামের সঙ্গে একটি অতি মিষ্ট ও একটি অতি তিক্ত দ্রব্যের নাম জড়িত। কিন্তু অবস্থাভেদে উভয়ই উপাদেয় । ১৮৫৮ খ্ৰীষ্টাব্দে ভারতসচিব মিঃ ক্লেমেণ্টস মার্কহ্যামকে বীজ সংগ্রহের জন্য দক্ষিণ-আমেরিকায় পাঠান। দক্ষিণ-আমেরিকানদের ঈর্ষাবশতঃ তাহার কাজটি বেশ সোজা হয় নাই, কিন্তু তিনি কোন প্রকারে কিছু বীজ সংগ্রহ করেন । তাহা লইয়া ১৮৬১ সালে মান্দ্রাজের নীলগিরি পর্বতে ও ১৮৬৪ সালে বঙ্গের দাঞ্জিলিং জেলায় চাষ আরম্ভ হয়। প্রায় ঐ রকম সময়ে অষ্ট্রেলিয়ার পক্ষ হইতে পেরুতে নানাবিধ প্রাণী সংগ্রহের কাজে ব্যাপৃত মিঃ চালর্স লেজার নামক এক জন ইংরেজ একটি ভাল জা'তের সিস্কোনার কিছু বীজ জোগাড় করেন । তিনি অৰ্দ্ধেক বিক্রী করেন যবদ্বীপের ডচ দিগকে এবং অৰ্দ্ধেক ভারতের ইংরেজ গবন্মেণ্টকে । এই বীজগুলিও নীলগিরির ও দাৰ্জিলিং জেলার সিস্কোনাক্ষেত্রে প্রেরিত হয়। ● বঙ্গে কতকগুলি স্থানে ব্যর্থ চেষ্টার পর সিঞ্চল পাহাড়ের পাশ্বদেশে দাৰ্জিলিঙের কয়েক মাইল দক্ষিণ-পূর্বে একটি স্থানে ইহার চাষ সফল হয়। সালে প্রায় ৩০ লক্ষ । চার। উৎপন্ন হয় । এই সফলতার প্রশংস৷ রয়্যাল বটানিক্যাল গার্ডেনের অধ্যক্ষ ডাঃ এণ্ডাসন এবং তাহার পর ঐ কাজে অধিষ্ঠিত মি: জর্জ কিংএর প্রাপ্য। ডাঃ এণ্ডাসন নূতন তাজ বীজ সংগ্রহের জন্য খবদ্বীপে স্বয়ং গিয়াছিলেন । ১৮৯৮ সাল নাগাদ সিস্কোন-ক্ষেত্রটি বর্তমান কেন্দ্র মংপু পৰ্য্যন্ত বিস্তার লাভ করে । সালে সিকিমের সীমান্তে, কালিম্পং হইতে প্রায় দশ মাইল দূরে মন্সং নামক স্থানে আর একটি সিঙ্কোনা-ক্ষেত্র স্থাপিত হয় । ক্ষেত্র ক্রমশঃ বিস্তৃত হইতে থাকে, এবং ত্বকের পরিমাণও বাড়িতে থাকে । ষাট বৎসর আগে উহা ৪০,০০০ পৌণ্ড ছিল, এখন উহ ১২ হইতে ১৪ লক্ষ পৌণ্ড । দুটি সিস্কোন-ক্ষেত্রের মধ্যে মন্সংটিষ্ট বড় । ইহার কাৰ্য্যাধ্যক্ষ এক জন ও সহকারী কাৰ্য্যাধ্যক্ষ দু-জন ; মংপুর ক্ষেত্রটির কার্য্যাধ্যক্ষ এক জন এবং সহকারীও এক জন । ইহঁারা ছাড়া অবশ্য অনেক ওভার্সীয়ার ও সব-ওভাসীয়ার আছেন । - সিস্কোন গাছ নানা জাতের। এক জাতের গাছ ৫০ ফুট বা তার চেয়েও বেশী উচু হয়, এবং ইহার ছাল লাল। কিন্তু ইহার ছালে কুইনাইন কম থাকে বলিয়া এখন ইহার পরিবর্তে ছালে অধিকতর কুইনাইন বিশিষ্ট অন্য জাতের গাছ লাগান হয়। আগে কলম করিয়া নৃতন নূতন গাছ বসান হইত, এখন বীজ হইতেই নূতন চারা উৎপন্ন করা হয়। বীজগুলি অত্যস্ত ছোট ও অত্যন্ত হাল্কা-দেখিতে তুষের বা খোসার মত। ৭০,০০০ বীজের ওজন এক ঔন্স । বীজ হইতে অঙ্কুরের উদগম হয় ছয় সপ্তাহে । অনেক চারা প্রথম বৎসরেই শুকাইয়া যায়, ও তাহার জায়গায় নূতন চারা বসাইতে হয়। তিন বৎসর পরে যখন গাছগুলি চার-পাচ ফুট উচু হয়, তখন আলোক ও বাতাসের অবাধ প্রবেশের নিমিত্ত অনেক শাখা কাটিয়া ফেলা হয়। এই ጏህሙዓg У то о о