বৈশাখ দিনাজপুরের জমিতে কযকগণ যত্ন করিয়া গোবর, পুকুরের পাক, ছাই ও খোল সার দিত বলিয়া সেখানে উত্তরদিনাজপুর অপেক্ষ ভাল ইক্ষু অধিক পরিমাণে জন্মিত। তথায় এক বিঘা জমিতে ১৬৮ মণ ইক্ষু জন্মিত ও তাঁহ হইতে, ১৪ মণ গুড় তৈয়ারি করা যাইত। ১৯৩৩-৩৪ গ্রীষ্টাব্দের পাটনা কলেজের চাণক্য সোসাইটির রিপোটে দেথা যায় যে বিহারে এখন প্রতি-বিঘায় ২• • মণ ইক্ষু জন্মে। বিহারের বিঘা বাংলার বিবার প্রায় ডবল, এবং বিহারের কৃযি-বিভাগ দেশী ইক্ষুর চাষ উঠাইয়া দিয়া কোইম্বার্টুরের উৎকৃষ্ট ইক্ষুর বীজ রোপন করাইতেছেন। তাহা সত্বেও শতাধিক বর্ষ পূৰ্ব্বে বাংলার জমিতে অধুনাতন বিহার অপেক্ষা অধিক পরিমাণে ইক্ষু জন্মিত। উত্তরদিনাজপুরে প্রতি-বিবরি ইক্ষুতে গড়ে ১২ মণ গুড় প্রস্তুত হইত। সে-সময়ে গুড়ের র্কাচি মণ ছিল দেড় টাকা করিয়া । কেবল মাত্র দিনাজপুর জেলাতেই সাড়ে চার লাখ টাকার ইক্ষু জন্মিত । ডক্টর বুকান বলেন যে দিনাজপুর জেলার ১৪১ জন চিনি-প্রস্তুতকারক গড়ে সওয়া দুই লক্ষ মণ গুড় তৈয়ারি করিত । ইহার সিকি পরিমাণ চিনি প্রস্তুত হইত। আট টাকা হনরি চিনি বিক্রয় করিয়া দিনাজপুরবাসিগণ ৩৩৭,৫• • টাকা পাইত । মাৎ প্রভৃতি বিক্রয় করিয়া আরও ১৫e,• • • টাকা পাইত । বাদলগাছির চিনি সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট, ফুলওয়ারীর চিনি মধ্যম, এবং করতোয়া-তীরের ঘোড়াস্কুটের চিনি নিকৃষ্ট বলিয়া পরিচিত ছিল। দিনাজপুরের চিনির কিয়দংশ ঈষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী খরিদ করিত, কিন্তু অধিকাংশ ভাগই মুর্শিদাবাদ ও কলিকাতায় tfolio os ( Martin : Eastern India, vol. II, i ( و براهه سوa ه: : ১৮৩৬ খ্ৰীষ্টাবো পালামেণ্ট ভারতীয় চিনির উপর উচ্চতর হারের শুল্ক রহিত করেন। ইহার ফলে ভারতে চিনির ব্যবসা খুব প্রসার লাভ করে, সঙ্গে সঙ্গে ইক্ষুর চীযও খুব বৃদ্ধি পায়। ১৮৪৮ খ্ৰীষ্টাদের ফেব্রুয়ারি মাসে পালামেণ্ট ভারতীয় চিনি ও কফির অবস্থা বিবেচনা করিবার জন্ত একটি সিলেক্ট কমিটি নিযুক্ত করেন। লর্ড বেণ্টিঙ্ক ঐ কমিটির সভাপতি নিযুক্ত হন। , е শতবর্ষ পুর্বের বাংলার শর্করণ-শিল্প ఉN9 হাডম্যান নামক এক চিনি-উৎপাদক ঐ কমিটির সমক্ষে বলেন যে ১৮৩৬ খ্ৰীষ্টাব্দ হইতে যশোহর ও ত্রিহুতে • ইক্ষুর চাষ খুব বুদ্ধি পাইয়াছে (৮০৫ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর) । fêf Haworth, Hardman & Co. ato Cotovità অংশীদার ছিলেন এবং কাশীপুরে তাহীদের কারখানা ছিল । তিনি আরও বলেন ধে তাহীদের কারখানার অধিকাংশ ভাগ শুড়ই যশোহর হইতে খরিদ করিয়া আনা হইত ( ৭e২ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর ) । ১৮৩৬ হইতে ১৮৪৬ খ্ৰীষ্টাব্দের মধ্যে কলিকাতায় ও তাহার আশপাশে ইংরেজের অনেকগুলি চিনির কারখানা খুলিয়াছিলেন । ইহার মধ্যে সবচেয়ে বড় কারখানা ছিল Dhobah East India Sugar Company i cè কোম্পানীর সভাপতি কেমশেভ সাহেব কমিটির সমক্ষে বলেন যে র্তাহার কোম্পানী শুধু ভারতের মধ্যে নহে, পৃথিবীর মধ্যে চিনি-প্রস্তুত বিষয়ে বৃহত্তম । উহার মুলধন ছিল বিশ লক্ষ টাকা। ১৮৪০ ও ১৮৪২ খ্ৰীষ্টাব্দে ঐ কোম্পানী প্রতি ১০০ পাউণ্ডের শেয়ারে—স্বাহীর অৰ্দ্ধেকমাত্র অংশীদারের দিয়াছিলেন–১৮ পাউও লভ্যাংশ দিয়াছিল । ১৮৪৩ খ্ৰীষ্টাব্দে প্রতি-শেয়ারে চৌদ-পনর পাউও লভ্যাংশ দেওয়া হইয়াছিল । বাংলা দেশ যদি চিনি প্রস্তুত করিবার উপযুক্ত ক্ষেত্র না হইত তাহ হইলে পৃথিবীর মধ্যে বৃহত্তম কোম্পানী কলিকাতায় কারখানা খুলিত না এবং এত অধিক লভ্যাংশ দিতে সমর্থ হইত না । আলেকজান্দার নামক এক জন বাংলার চিনির ব্যবসায়ে নিযুক্ত বণিক তাহার সাক্ষ্যে বলেন যে, অনেকগুলি বড় বড় চিনির কারখানা কলিকাতা ও তাহার নিকটবর্তী স্থানে স্থাপিত হইয়াfছল । এক-একটি কারখানায় দুই-তিন হাজার টন চিনি তৈয়ারি হইত। কলিকাতা হইতে কয়েক মাইল দূরবর্তী ব্যাগশ কোম্পানীর কারখানা ১৮৪৮ খ্ৰীষ্টাৰে আট লক্ষ টাকার চিনি বিলীতে পাঠাইবার ব্যবস্থা করিয়াfছল ( ১৮২৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর ) ।
- এই সময়ে বাংলা দেশের চিনি ভারতের বহির্বাণিজ্যে তথা ইংলণ্ডে কি স্থান অধিকার করিয়াছিল, তাহার বিবরণ উক্ত সিলেক্ট কমিটির রিপোর্ট হইতে পাওয়া যায় । ১৮৩৪-৪৩ খ্ৰীষ্টাব্দে কলিকাতা হইতে তের লক্ষ উনিশ হাজাৱ