অন্ত গেছে শ্রাস্ত স্বৰ্য্য ; সারা বিশ্ব ভরি নিস্তন্ধ গভীর বাণী ফিরিছে শিহরি মহামেীন স্বরে । নীল স্বচ্ছ পম্পানীর প্রসারিত তটতলে প্রশাস্ত গভীর স্থির শব্দহীন, যেন স্থপ্ত দিগধুর হনীল অঞ্চলখানি মূৰ্ছিত বিধুর ভূতলে পড়েছে খসি । দূর-পরপারে বিসপিত বনরেখা নীলিমা সঞ্চারে মিশিয়াছে মহানভোনীলে । বিথারিয়া নীলমায়। নীলাম্বর পড়েছে ঢলিয়। দিক-চক্র তলে । শ্রমণী শবর-বালা সরোবর শিলাতটে একান্ত নিরাল দাড়ায়ে নীরবে । পাণ্ডু তহু পরিক্ষীণ স্বকঠোর সাধনায়, পলক-বিহীন - প্রশাস্ত নয়ন মেলি বহু বরষের নিবিড় তপস্তা-শেষে বিশাল বিশ্বের পানে রয়েছে চাহিয়া । নির্ণিমেষ নীল ভরিয়াছে আজি তার সমগ্র নিখিল সমগ্র অস্তর, অনন্ত সে নীলিমার মাঝে শিহরিছে অপরূপ মুক্তি কা’র শাস্ত ইগভীর, রহস্ত-মধুর স্বরে আবাহন জাগে কার দূরে অনম্বরে । শবরী মুদিল আঁখি । নীলিম-পরশে স্বপন-বিহ্বল তন্থ নিবিড় হরবে কাপে অনিবার। চারিদিৰু হ’তে তারে وهو ----سوم بح جي শ্রীজীবনকৃষ্ণ শেঠ • স্বপ্ন-লীনা । নীলস্বপ্নময়ী ধরা যেন বাধিবারে । চাহে ব্যগ্র বাছ-ভোরে । একি বিড়ম্বনী— নীলিমা বাধিবে তারে । নিমৗল-নয়ন তাপসী শবর-বালা স্বপ্ন পরিহরি নীল স্বচ্ছ পম্পানীরে ধীরে অবতরি সমাপ্ত করিল স্নান। কমণ্ডলু ভরি পুত পম্পাসরোনীরে ফিরিল শবরী মতঙ্গ-আশ্রেম পথে । আসন্ন সন্ধ্যার স্নান ছায় রচিয়াছে মোহু দুৰ্নিবার ঘন বন মাঝে, সেথা পুল্লাগ তমাল দীর্ঘচ্ছায়া-বিলম্বিত দেবদারু শাল বিছায়েছে পুষ্পস্তরে দেবতা-কাক্তিক্ষত বিচিত্র শয়ন। পত্রপুঞ্জে পল্পবিত আনীল রহস্য-ছবি । বনপথ ধরি বিতত বনানী প্রাস্তে ফিরিল শবরী বিজন কুটীর দ্বারে । তরল সাধারে শিহরিয়া চলে রাত্রি বিটপী মাকারে পল্লব-নিলয়ে তা’র পক্ষ-বিধুনন ধ্বনিছে মর্শর স্বনে । বৰুল-বসন আবরিয়া সৰ্ব্ব দেহে দাড়াল শবরী স্থতি-পদ-চিহ্ন অল্পসরি চিত্ত তা’র ফিরে গেছে স্থদূর অতীতে, মহর্ষি মতঙ্গ যবে বিজন নিতৃতে
পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৫৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।