পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

බ්ණය প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হ্রাসবৃদ্ধিসাধন সম্বন্ধে যাহা বলিলাম, মধ্য ও উচ্চ বিদ্যালয় সম্বন্ধেও তাহ প্রযোজ্য। थांभाप्नब्र भङ ऐश वd, cष, बिछांजरग्न निक, खगननान, দেশভাষার মধ্য দিয়া হওয়া উচিত। কিন্তু তাহার মানে ইহা নহে, যে, ভাষা ও সাহিত্য হিসাবে ইংরেজী পড়িতে হইবে না। ইংরেজী পড়া চাই-ই চাই। জাপান ত ইংলণ্ডের বা অন্ত কোন দেশের অধীন নহে, অথচ, আগেই দেখাইয়াছি, যে, জাপানে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিরই উচ্চতর শ্রেণীতে ইংরেজী বা অন্ত বিদেশী ভাবা ধরান হয়। আমাদের দেশে ইংরেজীর আরও বেশী দরকার। জাপানী মধ্য-বিদ্যালয়গুলির কথা পরে বলিব । গবয়েণ্ট ইংরেজী পড়ানর বিরুদ্ধে অভিধান পূর্ণমাত্রায় ত্যাগ করুন । খোলাখুলি ভাবে বা প্রকারাস্তরে প্রাথমিক বিদ্যালয় সবগুলির বা অধিকাংশের মক্তবীকরণের সঙ্কল্প ত্যাগ করুন। সাম্প্রদায়িক গোড়ামি ধাহাদিগকে অদ্ধ করে নাই, মুসলমানদের মধ্যে পৰ্য্যস্ত এরূপ লোকের মক্তবগুলিকে জ্ঞান লাভের পক্ষে উৎকৃষ্ট প্রতিষ্ঠান মনে করেন নী—বিচারক্ষম হিন্দুরা ত করেনই না। যদি মুসলমানদের মক্তব নামটি এবং মক্তবে প্রদত্ত জযথেষ্ট শিক্ষা ব্যতিরেকে ন-চলে, তাহা হইলে মক্তব তাহাদের জন্যই থাক, অন্ত অসাম্প্রদায়িক বিদ্যালয় উঠাইয়া দিয়া বা প্রতিষ্ঠিত না করিয়া হিন্দু ছেলেমেয়েদিগকে অগত্যা মক্তবে যাইতে বাধ্য করা ঘোরতর অন্তায় ও অত্যাচার হইবে, এবং ব্রিটিশ গবষ্মেন্টের ঘোষিত ধৰ্ম্মবিষয়ক নিরপেক্ষতার সম্পূর্ণ বিপরীত হইবে। প্রাথমিক পাঠশালা হইতে আরম্ভ কুরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় পৰ্যন্ত সমগ্র শিক্ষ-প্রণালীর এরূপ যোগস্থত্র রাখুন, যাহাতে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীগণ ধাপে ধাপে নিজ নিজ শক্তি অনুসারে যত দূর সাধ্য শিক্ষা লাভ করিতে পারে। সভ্য দেশসমূহের শিক্ষা-প্রণালী এইরূপ। বাংলা দেশের অধিকাংশ লোক পল্লীগ্রামবাসী বলিয়া তাহাদিগকে পীগ্রামেই পচিতে হইবে, ইহা বিধিলিপি নহে, এবং ব্রিটিশ গবক্সেণ্ট বিধাতার স্থান অধিকার করিতে চাহিলে তাহ অনধিকারচর্চা হইবে। আমরাও বলি, গ্রামে ৰাও, গ্রামে থাক। কিন্তু সে কেমন গ্রাম ? গ্রামের উৎকৃষ্ট আদর্শ মনে মুজিত করিতে হইলে এবং তাহ বাস্তৰে পরিণত করিতে হইলে স্বেরূপ প্রবাসী ১N©B২ শিক্ষার আবগুক, তাহা গ্রাম্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাওয়া যান, শিক্ষাবিভাগের কল্পিত ভবিষ্যৎ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতেও পাওয়া যাইবে না । ইউরোপের গ্রাম আমরা দেখিয়াছি। আমাদের গ্রামগুলিকে সেইরূপ করিবার অবিরত চেষ্টা করিলে, তাহার পর মানুষকে সেখানে থাকিতে, ঘাইতে, বলা শোভা পাইবে । বিদ্যালয়ে ধৰ্ম্মশিক্ষা দিবার চেষ্ট হইতে গবক্সেণ্ট বিরত হউন। যদি মুসলমানরা একান্ত চান, তাহা হইলে কেবল মুসলমান ছাত্র-ছাত্রীদের জন্ত অভিপ্রেত ও তাহাদেরই দ্বারা পূর্ণ বিদ্যালয়গুলিতে নিজেদের টাকায় তাহারা ধৰ্ম্মশিক্ষর । ব্যবস্থা করুন। সরকারী টাকায় ইহাকরানর মানে প্রধানতঃ হিন্দুর টাকার অপব্যবহার। তাহ দেশে শাস্তি স্থাপনের অনুকূল নহে। বালিক-বিদ্যালয়গুলি গবন্মেণ্ট যেন একটিও উঠাইয়া না দেন। উহা আরও বাড়া একান্ত আবশুক । ষে সব জায়গায় বালিকারা আপনা হইতে বালক-বিদ্যালয়ে যায় বা যাইবে, সেখানে বালক-বালিকাদের একত্র শিক্ষা চলুক। কিন্তু সহ-শিক্ষাকেই বালিকাদের শিক্ষার প্রধান উপায় করিবার সময় এখনও আসে নাই । গত ১লা আগষ্ট প্রকাশিত গবষ্মেন্টের বিবৃতিটি পড়িলে মনে হয়, যেন, সরকারী মতে, বেসরকারী লোকেরা বিদ্যা6 ও কলেজ স্থাপন ও পরিচালন করিয়া একটা কুকৰ্ম্ম, একটা অপরাধ, করিয়াছে। অবশু ঐ দুটি সরকারী , কাগজে স্পষ্ট করিয়া এরূপ কথা বলা হয় নাই। কিন্তু কথাগুলার স্বরটার ব্যঞ্জন ঐক্ষপ। অন্ত সব সভ্য (এবং অবস্ত স্বাধীন) দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্থাপক ও পরিচালক বেসরকারী লোকদিগকে তত্তদেশের গবন্মেটি এরূপ চক্ষে দেখেন না। শিক্ষার প্রসারক ও উৎকর্ষবিধায়ক লোকেরা সে সব দেশে উৎসাহই পায়। আমাদের দেশে গবয়েণ্ট সমুদয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানৰে পুলিসনামধারী পুলিস ও স্কুলপরিদর্শক নামধারী পুলিসের মুঠার মধ্যে জানিতে চান। যে রাজনৈতিক - কারণে গবয়েণ্ট ইহা করিতে চান, তাহার বিশদ বর্ণনা অনাবশুৰ । বর্তমানে যত বেসরকারী শিক্ষালয় আছে, তাহাদের সবগুলিকে সৰ্ব্বা তৰতরালতারক দ্বারা মুঠার মধ্যে জানিতে ও রাখিতে হইলে উভয়বিধ মজলংখ্যক পুলিস