পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

మే$ట్ర আসাম প্রদেশে বাঙালীর শিক্ষা আসাম প্রদেশের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার ৩২টি উচ্চবিদ্যালয়ের মধ্যে ১৫টিতে অসমীয়া ভাষার সাহায্যে, শিক্ষা দেওয়া হয় এবং ১৭টিতে বাংলা ও অসমীয় উভয় ভাষাতেই শিক্ষা দেওয়া হয়। এই ১৭টির নীচের শ্রেণীগুলিতে কেবল অসমীয়া ভাষার সাহায্যে শিক্ষা দেওয়া হয় । যাহাদের মাতৃভাষা অসমীয়া তাহদের শিক্ষা অবশুই অসমীয়ার সাহায্যে দেওয়া উচিত । কিন্তু যে-সকল ছাত্রের মাতৃভাষা বাংলা তাহাঁদের শিক্ষা বাংষ্ক ভাযার সাহায্যেই দেওয়৷ স্বাভাবিক ও স্কায়সঙ্গত। ঐ ১৭টি বিদ্যালয়ে বাঙালী শিক্ষকের সংখ্যা কম, ইহা বলিয়া আসাম-গবন্মেণ্ট নিষ্কৃতি পাইতে পারেন না। যথেষ্টসংখ্যক বাঙালী শিক্ষক নিযুক্ত করুন। আসাম প্রদেশের বাসিন্দাদের মধ্যে বাংলাভাষাভাষীদের সংখ্যা অন্ত যে-কোন ভাষাভাষীদের চেয়ে বেশী, এবং তাহাদের অধিকাংশ - তথাকার স্থায়ী অধিবাসী ও গবষ্মেণ্ট অন্য সকলের মত তাহাদের নিকট হইতেও ট্যাক্স পাইয়া থাকেন। স্বতরাং অন্য সকলের ছেলেমেয়েদের শিক্ষার জন্য যেমন, তেমনি তাহদেরও ছেলেমেয়েদের শিক্ষার জন্ত বন্দোবস্ত ও ব্যয় কুরিতে আসাম-গবশ্নেস্ট বাধ্য । , রাজবন্দীদের ভবিষ্যৎ রাজবন্দীদের সম্বন্ধে কোন কথা উঠিলে, সরকারপক্ষ ধরিয়া লন; যে, তাহারা সৰ্ব্বজ্ঞ এবং খবরের কাগজওয়ালার বা অন্য আন্দোলনকারীরা অজ্ঞ । সম্প্রতি বঙ্গের গবর্ণরও এই প্রকার কথা বলিয়াছেন। আমরা তাহা মনে করি না। গবর্ণর রাজবন্দীদের মধ্যে কতকগুলি যুবকের জন্য যেরূপ শিক্ষার ব্যবস্থা করা : তাহাতে যদি তাহাদের ভবিষ্যৎ উজ্জল- আমরা বিশেষ কিছু আশা করি না। . যাহাঁদের শক্তি আছে ও যাহাঁদের শক্তি নাই--এরূপ উভয় পক্ষের মধ্যে তর্ক স্বফলপ্রদ হয় না । স্বতরাং আমরা তর্ক করিব না । কেবল ইহাই বলিব, যে, গবন্মেণ্ট ভ্ৰমাতীত ও অভ্রান্ত কোন কালে ছিলেন না, এখনও নাই। جسد مي " নূতন শিক্ষারিপোর্টে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৯৩৩-৩৪ সালের বার্ষিক বঙ্গীয় শিক্ষারিপোর্ট বাহির হইয়াছে। তাহাতে এক বৎসরেরও অধিক পুৰ্ব্বে কোন রকম শিক্ষালয় বঙ্গে কত ছিল, এবং তাহাতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাই বা কত ছিল, লেখা আছে। ১লা জাগষ্টের বিবৃতিটিতে বলা হইয়ছে..যে, মোটামুটি ৬%ess প্রাথমিক বিদ্যালয়কে কমাইয়া ১৬০০০ কর হুইবে । কিন্তু বাস্তৰিক ১৯৩৩-৩৪ সালেই তাহাদের সংখ্যা ছিৰূ. ৬৪৩২• ; এখন আরও বাড়িয়া থাকিবে । - প্রবাসী SNలీeR বঙ্গে ব্যবস্থাপক সভার আসন বিলি । অন্য সমুদয় প্রদেশের মত বঙ্গের গ্রাম-অঞ্চলে ও নগর অঞ্চলে ব্যবস্থাপক সভার সাম্প্রদায়িক ও “সাধারণ” আসন গুলি বণ্টন করিয়া দিবার জন্য এক কমিটি নিযুক্ত হইয়াছে তাহাকে নাম দেওয়া হইয়াছে, ডিলিমিটেশুন কমিটি তাহার কাছে বাংলা-গবয়েন্টের যে প্রস্তাবগুলি যাইবে, তাহা চমৎকার। সাম্প্রদায়িক বাটোয়ার দ্বারা ত হিন্দুদের উপর খুব অবিচার হইয়াছেই, এখন আবার বাণিজ্যিক আসনগুলির বণ্টনেও হিন্দুদিগকে বঞ্চিত করা হইয়াছে। তাহার উপর, যে নগর-অঞ্চলে, প্রধানতঃ শিক্ষিত হিন্দুরা ও তাঁহাদের নেতারা অধিকসংখ্যায় বাল করে, তাহাকে আসন কম দিয়া নিরক্ষরণেকবহুল গ্রাম-অঞ্চলে আসন বেশী দেওঁয়া হইতেছে । - - কলিকাতার কথা ধরুন । বৰ্ত্তমুনে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় কলিকাতার প্রতিনিধি, মোট নির্বাচিত প্রতিনিধি ১১৪ জনের মধ্যে, ২ জন মুসলমান ও ৬ জন অমুসলমান, মোট আট জন । অতঃপর বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সভ্যসংখ্যা বাড়িয়া হইবে ২৫০ । বাংলা-গবন্ধটি ইহাতে কলিকাতাকে আগেকার সমান প্রতিনিধিও দিতে চান না—যদিও অনেক বেশী দেওয়াই উচিত। এখন দিবার প্রস্তাব করিতেছেন, ২টি মুসলমানদিগকে এবং ৪টি “সাধারণ” অর্থাৎ প্রধানতঃ হিন্দুদিগকে । মুসলমানদের বেলায় কিছু কমিল না—হিন্দুর বেলায় কমিল । তাহাতে প্রতি ১৩১••• মুসলমান একটি, এবং প্রতি ১৯৯০ ১০ হিন্দু একটি আসন পাইল । এক এক জন মুসলমান দেড় জন হিন্দুর সমৃiন । উভয় সম্প্রদায়ের শিক্ষার ও উভ প্রদত্ত ট্যাক্সের প্রভেদ ত ধরাই হয় নাই । আরও যে-সব অবিচার হইয়াছে, তাহ। সেপ্টেম্বরের মডার্ণ রিভিয়ুতে এতদ্বিষয়ক প্রবন্ধে শ্ৰীযুক্ত যতীন্দ্রমোহন দত্ত দেখাইয়াছেন। - গ্রাহকগণের প্রতি নিবেদন র্যাহারা বৈশাখ হইতে আশ্বিন পৰ্য্যন্ত ষান্মাসিক গ্রাহক আছেন, আশা করি, আগামী ছয় মাসের জন্যও তাহা গ্রাহক থাকিবেন এবং আগামী ছয় মাসের মূল্য ৩• সঞ্জী তিন টাকা মনি-অর্ডার যোগে পাঠাইয়া দিবেন। মনি-জর্ডার ফুপনে তাহদের স্ব-স্ব গ্রাহক নম্বর উল্লেখ না করিলে টাকা' জমা করিবার পক্ষে অন্ধবিধা হয়। * - যাহারা আগামী ৫ই আশ্বিনের মধ্যে টাকা পাঠাইবেন না, তাহাদের নামে কাৰ্ত্তিক সংখ্যা ভিঃ-পি-তে পাঠান হইবে। ঐ সংখ্যা ৬ই অশ্বিন প্রকাশিত হইবে। র্যাহার অতঃপর গ্রাহক থাকিতে অনিচ্ছুক, তাহারা লে-কথা দয়া করিয় ৩রা জাম্বিনের পূর্বেই আমাদিগকে জানাইবেন। ভিং-পিতে টাকা পাইতে কখন কখন বিলম্ব ঘটে, স্বতরাং গ্রাহকদের প্রবাসী পাইতে গোলমাল হয়। . মুনি-অর্ডায়েই টাকা পাঠান সুবিধাজনক। ইতি—ঞ্জরামানন্দ চট্টোপাধ্যায় প্রবাসীর স্বত্বাধিকাৰী ।