পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> o A. প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩২২ [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড · - o സാഹ SMMMMSMSMSMSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS S - সুলতান", বা “সাহিত্য-খলিফা” হইয় যান না। কেবল খোসা বা বাহিরের আবরণটা দ্বারা বিচার না করিয়৷ যেমম মানুষটার ভিতরে কি জিনিষ আছে তাহ দেখা কৰ্ত্তব্য, তেমনি লেখকদেরও কেবলমাত্র ভাষা দ্বারাই বিচার করিলে অবিচার হয়। তাহাদের লেখার মধ্যে | ཝརྩ༨ চিন্তা, মহং ভাব, মহং আদর্শ, জ্ঞান, রস, সৌন্দৰ্য্য, আছে কি না-আছে, তাহ দেখা নিতান্ত অনাবশ্বক ন৷ হইতেও পারে । g w “রচনার বই শাস্ত্রীমহাশয় বলেন – বাঙ্গলায় রচনার বই বড় কম, নাই বলিলেও হয়। যে কথানি সেকেলে বই আছে, প্রায়ই তৰ্জ্জম। বাঙ্গালী নানা বিষয়ে ভাবিয় চিন্তিয় হেল্প সাহেবের মত বা এডিসন সাহেবের মত রচনা লিপিতেছে— এ ত দেখা যায় না। যাহা কিছু আছে এক কমলাকাস্তের দপ্তরে— অতুল্য অমূল্য। আর ত দেখি না। আমাদের দেশের লোক এ পপট কেন ছাড়িয়া দিতেছে, ৰুঝিতে পারি না ।

  • বোধ হয় প্রবন্ধের “সেকেলে বই"গুলির উপর শাস্ত্রী মহাশয় অবিচার করিয়াছেন। বঙ্কিমবাবুর বিস্তর প্রবন্ধ আছে। সে গুলিত তর্জম নয়। ভূদেববাবুর সামাজিক প্রবন্ধ, আচার প্রবন্ধ, পরিবারিক প্রবন্ধ, এইসকল চিন্তাপূর্ণ বহিও ত তর্জমা নয়। শাস্ত্রী মহাশয় “সাহেবী" বাঙ্গলার বিরোধী। সেইজন্য বলিতে সাহস হইতেছে যে হেল্পস "সাহেব” বা এডিসন "সাহেব"দিগের { চের রচনা না হইলেও বাংলায় ভাল ভাল সন্দর্ভ আছে। কমলাকাস্তের দপ্তরে "অতুল্য অমূল্য" জিনিষ থাকিতে পারে। কিন্তু পরিহাস ও তৎসদৃশ রসে ভরা অন্য ধরণের ভাল রচনা বাংলায় আরো আছে। কোন গ্রন্থ ব রচনাকে ভাল হইণ্ডে হইলে স্বদেশী বা বিদেশী আর কোনটির মত হইতে হইবে, এরূপ মনে হয় না। | জীবিত লেখকদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম করিতে সাহস হয় না; যদিও তাহার অনেক গদ্য রচনা খুব মূল্যবান স্বত্ববাদেও সমজার বিদেশীরাও তাহার মূল্য বুদ্ধিয়াছে। কেননা, বঙ্গ দেশে রবিবাবুকে তুচ্ছঙ্গান ন৷ করিলে বিজ্ঞ হওয়া যায় না। এইজন্য তাহাকে বাদ দিয়া জিজ্ঞাসা করি, রামেন্দ্রম্বন্দর ত্ৰিবেদী মহাশয়ও কি ভাবিদ চিন্তিয়া রচনা লিখেন নাই ? -

- ব্রাহ্মণ মহাসম্মিলন ** * ব্রাহ্মণ মহাসম্মিলনের তৃতীয় বাৰ্ষিক অধিবেশন গত মাসে বীরভূম জেলার সাইথিয়ায় হইয়াছিল। নানাস্থান হইতে প্রায় ২০০ ব্রাহ্মণ পণ্ডিত আসিয়াছিলেন। সভাস্থলে সৰ্ব্বসমেত প্রায় ২০ ০০ লোক উপস্থিত হইয়াছিলেন । এবার সমুদ্ৰ-যাত্র বৈধ কি না, এবম্বিধ কোন প্রশ্নের উত্থাপন না হওয়ায় কোন বাদবিতও হয় নাই। সভাপতি শ্ৰীযুক্ত পণ্ডিত শশধর তর্কচূড়ামণি, দারিদ্র্যব্রতধারী জ্ঞানী তপশ্চর্য্যাপরায়ণ আধ্যাত্মিকশক্তিসম্পন্ন প্রাচীন ব্রাহ্মণগণের আদর্শ সকলকে অনুসরণ করিতে বলেন। তিনি যখন পণগ্রাহী বরের পিতামাতার কঠোর ব্যবহারের বর্ণনা করিতে থাকেন, তখন সকলেরই হৃদয় বিচলিত হইয়াছিল। তিনি বলেন, পণের টাকা সংগ্ৰহ করিতে পিতা মাতার কষ্ট দেখিয়া, নববধূর মন শ্বশুরবাড়ীর লোকদের উপর প্রথম হইতেই বিরূপ হইয়া যায়, এবং তজন্য পরিণামে অতিশয় কুফল ফলে। পুষ্করিণী খনন, গোপালন, গোচারণের ভূমি রক্ষা, হিন্দুধৰ্ম্ম শিক্ষাদান, প্রভৃতি নানা বিষয়ে তিনি উপদেশ দেন । পণ বা যৌতুক আদায় করা শাস্ত্রে নিষিদ্ধ এবং পাপকাগ্য, এই মৰ্ম্মে একটি প্রস্তাব ধাৰ্য্য হয়। বৰ্ত্তমান টোলগুলির রক্ষা ও উন্নতির চেষ্টা করা উচিত বলিয়া সভা স্থির করেন। আমাদের বিবেচনায় টোলগুলিতে কিছু লৌকিক বিদ্য, যেমন কিছু অঙ্ক, ভূগোল ও ইতিহাস, শিখান হইলে ভাল হয় । জমীদারদিগকে অনুরোধ করা হয় যেন তাহারা প্রত্যেক গ্রামে কিছু নিষ্কর গোচারণভূমি রক্ষার বন্দোবস্ত করেন। টোলের অধ্যাপকদিগকে । গৃহে গোপালন করিতে অনুরোধ করা হয়। ব্রাহ্মণদিগকে নিত্য সন্ধ্যা-বন্দনাদি করিতে এবং পবিত্রচরিত্র সংযমী ও সদাচারী হইতে অনুরোধ করা হয়। ব্রাহ্মণমহাসম্মিলনের এই-সকল অনুরোধ যদি সকলে পালন করেন, তাহা হইলে দেশের কল্যাণ হয়। সভাপতি মহাশয় শেষ বক্তৃতায় সকলকে, নিজ নিজ স্বার্থ চিন্তা না করিয়া, আপন আপন নাম জাহির করিবার চেষ্ট৷ না করিয়া, নিৰ্ম্মল চিত্তে হিন্দুসমাজ ও হিন্দুধর্শ্বের উন্নতির জন্য যত্নশীল হইতে উপদেশ দেন। - ১ম সংখ্যা ] MSMMSMMSMMSMSMS বঙ্গীয় প্রাদেশিক সমিতি এবার কৃষ্ণনগরে বঙ্গীয় প্রাদেশিক সমিতির অধিবেশন হইয়াছিল। প্রতিনিধি বা দশক অন্যান্য স্থানের মত বেশী হয় নাই। কিন্তু তজ্জন্য কৃষ্ণনগরবাসীরা দামী নহেন। নদীয়া জেলা ও কৃষ্ণনগর ম্যালেরিয়ায় উংসর হইতে বসিয়াছে ; কিন্তু কৃষ্ণনগরে সমিতির উদ্যোগকৰ্ত্তার আশ্চর্য উৎসাহ ও সেবানিষ্ঠ প্রদর্শন করিয়াছেন । “সঞ্জীবনী" বলেন— আজকাল মফঃস্থলের ছাত্রগণ আর দেশের পূজনীয় বাক্তিদের সেবা করিতে পারেন না। স্বতরাং কৃষ্ণনগরের উকীল, ডাক্তার, মোক্তার উকীলের মোহরের, তালুকদার, জমিদারগণই ভলাটিয়ারের কার্য নিৰ্ব্বাহ করিয়াছিলেন। তাহার। প্রতিনিধিদের মোট বহিয়াছেন, স্বানের সময় তৈল গামছ আনিয় দিয়াছেন, আহারের সময় ভূতোর কার্য করিয়াছেন, দিন রাত্রি হুকুম তামিল করিয়াছেন। ভদ্র যুবকগণ পদমর্যাদা ভুলিয় গিয়া দেশবাসীর সেবা করিয়াছেন। এই এক পুণ্যে এই মৃত দেশে নবজীবনের সঞ্চার হইতেছে। কৃষ্ণনগরের উকীলসম্প্রদায় ঐখয্যের জন্য তেমন সুবিধাত নহেন । তৰুণ্ঠাহার। আপনাদের মধ্য হইতে প্রায় ১২ শত টাক দেশপুজার জন্য দান করিয়াছেন । নদীয় জেলার সর্বশ্রেণীর লোক আনন্দমনে টাকা দিয়াছিলেন, কৰ্ম্মকর্তৃগণ প্রতিনিধিদের মুখস্বচ্ছন্দতার জন্য প্রচুর আয়োজন করিয়াছিলেন। পান, ডাব, বরফ, সোড়, লেমনেড, কাহারও চাহিতে হয় নাই, ভলাটিয়ারগণ স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয় প্রতিনিধিদিগের নিকট উহা উপস্থিত করিতেন। কৃষ্ণনগরের প্রসিদ্ধ সরপুঠিয়, সরভাজ, বরফি, রসগোল প্রভৃতি প্রাতে, মধ্যাহ্নে, বৈকালে, রাত্রিতে প্রচুর পরিমাণে পরিবেষণ করিয়াছেন। প্রতিনিধিদের আদর সমাদরের কোন ফটী হয় নাই। কৰ্ম্মকর্তৃগণ গাড়ীর এমন আয়োজন করিয়াছিলেন যে, কাহারও এক পদ অসের হওয়ার প্রয়োজন হইলে আমনই গাড়ী হাজির করিতেন । প্রতিনিধিদের বাসস্থান হইতে ধড়িয়া নদী ১.৭ মিনিটের পথ। যাহার নদীতে স্নান রিতে যাইতেন ক্টাহাদিগকে কৰ্ম্মকৰ্ত্তার হাটিয়া যাইতে দেন নাই। প্রতিনিধিদের বাসের জন্য সহরের উংকুণ্ঠ স্থান মনোনীত হইয়াছিল। জমিদার ঐযুক্ত নফরচন্দ্র পাল চৌধুরী, বিপ্রদাস পাল চৌধুরী, ও টাউন হলের প্রশস্ত পরিষ্কৃত বাটতে প্রতিনিধিগণ অবস্থিতি করিয়াছিলেন। কৃষ্ণনগর-রাজবাটীর চারিদিকে গভীর পরিখা। এই পরিথার তীরে হুবুহুং ঠাকুরবাট । ঠাকুরবাট এমন বৃহৎ যে তিন সহস্ৰ লোক অনায়াসে উপবেশন করিতে পারে। ঠাকুরবাটীতেই প্রাদেশিক সমিতির অধিবেশনস্থান নির্দিষ্ট হইয়াছিল। কৃষ্ণনগরের একটি বিষয় অতি অসাধারণ। সংকৰ্ম্মশীল উকীল শ্ৰীযুক্ত বেচারাম লাহিড়ী মহাশয়ের পত্নী স্বয়ং বঙ্গলক্ষ্মীর কাপড় পাত BB BBS BBB BBBBB S BBBBBBB BBBBB BB BDD করিয়াছিলেন এবং বারিষ্ঠার মিঃ বি, কে লাহিড়ীর পত্নী স্বহস্তে প্রতিনিধিদের জন্য রেলমনিৰ্ম্মিত স্তবক নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। এই নারীদ্বয়কে আমরা নমস্কার করি । বঙ্গে সেবার ইচ্ছ। আবালবৃদ্ধবনিতা সকল শ্রেণীর লোকের প্রাণে জাগিয়াছে। কিন্তু দেশের মঙ্গলের জন্য নানা - বিবিধ প্রসঙ্গ—যুদ্ধের শিক্ষা ও বঙ্গের অভাব


- - - - -


-------------

জনের হৃদয়ের এই ইচ্ছার সমবেত শক্তিকে যেরূপে প্রয়োগ করিতে হইবে, তাহার এখনও সুব্যবস্থা হইতেছে না। - যুদ্ধের শিক্ষা ও বঙ্গের অভাব আমরা গত বৎসরের কোন কোন মাসের প্রবাসীতে - যুদ্ধের হিতাহিতের বিচার করিয়াছিলাম। দেখাইতে চেষ্টা করিয়াছিলাম যে যুদ্ধের দ্বারা মাহুষের যে উপকার হয়, বা । যুদ্ধের সময় মাহুষের বীরত্ব আদি যেসকল সদগুণ প্রকাশ । পায়, সেইরূপ উপকার লাভ এবং সেইরূপ সদগুণের বিকাশ শাস্তির সময়ে অন্য প্রকার কার্য্যেও হইতে পারে। এ পর্যন্ত একটি বিষয়ে যুদ্ধের প্রাধান্ত রহিয়াছে। যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হইবার সময় এবং প্রকৃত যুদ্ধের সময় মাহুষের মধ্যে যেমন নেতৃত্ব, যেমন দল বাধিবার শক্তি, যেমন - অকাতরে অবিচারে বাধ্যতা, যেমন একটি উদ্বেশ্ব সাধনের জন্য লক্ষ লক্ষ লোকের একাগ্র চেষ্ট দেখা যায়, শাস্তির সময়ে কোনও কার্যাক্ষেত্রে তাহ দেখা যায় না। যুদ্ধের জন্য আয়োজনকালে ও যুদ্ধের সময়ে লক্ষিত এই সব গুণ ও শক্তি যে শাস্তির সময়েও বিকাপত এবং প্রযুক্ত হইতে । পারে, তাহার একটি দৃষ্টান্ত পানামার স্বাস্থ্যোন্নতির জন্ত । সকল চেষ্টায় প্রমাণিত হইয়াছে। ইহার বৃত্তান্ত স্বাস্থ্যের উন্নতি প্রদ্ধে দৃষ্ট হইবে। কিন্তু সাধারণত ঐসব - গুণ যুদ্ধক্ষেত্রেই দেখা যায়। এইজন্য অনেকে মনে । করেন, যো-জাতির মধ্যে নেতৃত্বশক্তি, স্বশস্থলভাবে কাৰ্য্য করিবার শক্তি, দল বাধিবার শক্তি, এবং বাধ্যতা · যেমন দেখা যায়, যুদ্ধে অনভ্যস্ত জাতির মধ্যে - তেমন দেখা যায় না। সেই কারণেই কেহ কেহ অহমান । করেন যে বোম্বাই ও পঞ্চাবে লোকহিতচেষ্ট৷ যেমন । সুশৃঙ্খল, প্রবল, নিয়মিত, বিস্তৃত, এবং সমস্ত বৎসর ব্যাপিয়া । অবিরাম, বাঙ্গলা দেশে তেমন নয়। অথচ বাঙ্গলার । যুবকের সাহসে, কশ্মিষ্ঠতায়, আত্মোংসগে, নিঃস্বার্থ নেতাক আজ্ঞাহুবৰ্ত্তিতা, দেশভক্তিতে অন্যান্য প্রদেশের যুবক দের চেয়ে নিকৃষ্ট নহে । *-* - কারণ যাহাই হউক, অন্য যে-কোন দেশে যাহা হইয়াছে, - বঙ্গে ও ঠিক তাহাই হইতে পারে। , প্রেমিক, סז"ן উদারচেতা, নিঃস্বার্থ, কৰ্ম্মকুশল, বৃদ্ধিমান নেতা যেখানে ।