পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8২৬ প্রবাসী--আষাঢ়, ১৩২২ [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড SMMMMSMSMSMSMSMSMSMSMSMSMSJMSMMSMMSMMSMSMSMSMSMSMSMSMSMSMMSMMSMMSMSMS সে দরের ব্যতিক্রম করা খুচরা ব্যবসায়ীদের পক্ষে বা ক্রেতাদের পক্ষে বড় সহজসাপ্য হয় না। সকল দেশেই এই রকমে কোনও কোনও দ্রব্যের দর অনেক সময়ে বেশ চড়া থাকে। অামাদের দেশেও এরূপ যে হইতেছে না, তা বল। যায় না। বড় বড় পাইকারী বাজার-প্রভূ'দের লোভে ও শক্তিতে কি হইতেছে ন হইতেছে, তাহা সৰ্ব্বদা আমরা দেখিতে বা বুঝিতে পারি না। তবে সকলের গোচরে চলতি বাজারে এক ব্যবসায়ের মধ্যে যাহারা আছেন, তাহাদের মধ্যে মিলের লক্ষণ আমরা মধ্যে মধ্যে বেশ দেখিতে পাই। ধরুন, কলিকাতার দুধের বাজারের অবস্থা, সৰ্ব্বত্রই ‘ফাট’ নামে অভিহিত দুধ টাকায় চারিসের এখনও পাওয়া যায়। দুধ এমন একটা জিনিষ, যাহা মজুত রাধা যায় না, যাহা ঠিক সমান বাধা ব্যয়ে সমান পরিমাণেও প্রতিদিন উৎপন্ন হয় না। অথচ কয়েক বংসর যাবং আমরা দেখিতেছি, কলিকাতায় দুধের দর বারমাস সমান চারি আনা সেরে চলিতেছে। এই বৃহং কলিকাতায় কোথাও একটি দিন তাহার পার্থক্য কিছু হয় না। কলিকাতার দুগ্ধব্যবসায়ীদের মধ্যে একটা মিল ব্যতীত এমন হইতে পারে না। তারপর কলিকাতার কয়লার বাজার। আজ ২৩ বংসর যাবৎ দেখা যাইতেছে, কলিকাতার কয়লার দর কখনও বাড়ে, কখনও কমে। যেদিন বাড়ে, সৰ্ব্বত্র সমান ভাবে বাড়ে,—আবার যেদিন কাম, সৰ্ব্বত্র সমানভাবে কমে। ইহাতেও কয়লাব্যবসায়ীদের মধ্যে একটা মিলের আভাস পাওয়া যায়। অবশ্য কয়লা দোকানে দোকানে উৎপন্ন হয় না, খনি হইতেই আমদানী হয় । খনির কৰ্ত্তা ও * आभानौब्र कéद्रा३ तृविघ्ना इंशद्र मद्र निकिंछे कtद्रन। কিন্তু দোকানদারদের মধ্যেও যে কিছু একটা মিল নাই, এমন বলা যায় না। প্রত্যহ প্রতি দোকানে নূতন কয়লা অাসে না। অথচ সহসা একদিন প্রাতঃকালে দেথা যায় সৰ্ব্বত্র প্রায় সমানভাবে কয়লার দর বাড়িয়াছে বা नाभिग्राप्छ ! भिन्न बाउँौउ 4भन श्९य शष्टत नग्न । नश् नृडेखि ७भन भांGप्रा बा३८द । किरू नृडेखि दाज़ाइंग्रा अवक অতিদীর্ঘ করিয়া ফল নাই । তবে দুই চারি জনের, বা কোনও সম্প্রদায়ের, কোনও ব্যবসায়ের উপরে এই একচেটিয়া প্রভৃত্বে অতিরিক্ত চড়া দর বেশী দিন থাকিতে পারে না। ব্যবসায়ী মাত্রেই লাভ চান,—কত দরে বিক্রয় করিলে মোটের উপর সব-চেয়ে বেশী লাভ হইবে, তাহারা ইহাই হিসাব করিয়া বিক্রেয় জিনিষের দর নির্দিষ্ট করেন। জিনিষ কম বিক্ৰী হইয়৷ মোটের উপর লাভ কম হইবে, এত বেশী দর চড়াইয়া র্তাহার কখনও রাখেন না। যদি খরচ পোষায়, আর খাটনি পোষায়, তবে সাধারণ লোকের সাধ্যের অতিরিক্ত দরে ইহার কখনও জিনিষ বিক্রয় করিতে চান না । কি খরচ তাহদের করিতে হয় এবং খাটনি পোষাইতে তারা কত চান, তাও অনেক পরিমাণে টাকার দামের উপরে নির্ভর করে। টাকার দাম যে পরিমাণে কম হইবে, সেই পরিমাণে টাকা খরচ তাহাদিগকে বেশী করিতে হইবে, টাকার হিসাবে র্তাহার বেশী চাহিবেন । সুতরাং এ স্থলেও টাকার দামের হ্রাস বৃদ্ধির কথা আসিয়া পড়িতেছে। অপ্রাচুর্য্য এবং ব্যবসায়ীদের একচেটিয়া প্রভূত্ব প্রভৃতি কারণ বাজারদর যেটুকু চড়াইয়া রাথিয়াছে, সেটুকু নামান দুঃসাধ্য হইলেও অসাধ্য নয়। কিন্তু চলতি টাকা বাড়িয়া, টাকার দাম কমিয়া, বাজারদর যাহা চড়িয়া গিয়াছে, তাহা আর কমার সম্ভাবনা নাই। কম দূরে থাক, যেরূপ দেখা যাইতেছে, তাহাতে আরও কিছু বাড়িতে পারে। পৃথিবীর সর্বত্রই মধ্যে মধ্যে এইরূপ বাজারদর স্থায়ীভাবে চড়িয়াছে। বৰ্ত্তমান যুগে যে খুবই চড়িয়াছে, তাহাও ঠিক। ইহাতে সৰ্ব্বশ্রেণীর লোকেরই যে সমান কষ্ট হয়, তা নয়। কোনও কোন ও শ্রেণী বরং ইহাতে বিশেষ লাভবানই হইয়া থাকেন। যাহার উৎপাদনে এবং বিনিময়ে নিযুক্ত থাকেন, অর্থাং ব্যবসায় বাণিজ্যাদি করেন, সাধারণতঃ তাহারাই, বাজারদর চড়াতে, লাভবান হন। কিন্তু যাহারা নির্দিষ্ট হারে মাসিক বেতনে, অথবা দৈনিক বা ঠিক মজুরীতে কাজকৰ্ম্ম করিয়া জীবিকা অর্জন করেন,—র্তাহাদিগকে দর চড়ায় কিছুকাল বড় কষ্ট পাইতে হয়। কারণ দর যেহারে চড়ে, তাহদের বেতন বা মজুরী সে হারে বড় চড়িতে পারে না । যতদিন বাজারদরে এবং তাহাদের আয়ের হারে একটা সামঞ্জস্য ন হইয়া দাড়ায়, ততদিন তাহদিগকে বড় কষ্ট পাইতে হয় । ৩য় সংখ্যা ] আমাদের দেশেও ठिंक এই অবস্থা श्ग्रा দাড়াইয়াছে | যাহার উৎপাদন বিনিময় প্রভৃতি বিবিধ ব্যবসায়বাণিজ্যে জীবি । অর্জন করিতেছেন, তাহারা বাজারদর বৃদ্ধিতে সাধারণত: কোনও কষ্ট পাইতেছেন না। কিন্তু যাহার নির্দিষ্ট হারের বেতনে বা মজুরীতে কাজকৰ্ম্ম করিয়া জীবিকা অর্জন করেন, তাহাদের পক্ষে এই বাজারদরের বুদ্ধি অসহনীয় হইয়া উঠিয়াছে। ইহাদের মধ্যেও যাহার যে পরিমাণে বাজারদরের সঙ্গে আপনাদের আয় বাড়াইতে পারিয়াছেন, তাহদের ক্লেশ তত কম হইতেছে। অনেক সাধারণ কাজকর্শ্বের মধ্যে আমরা দেখিতে পাই, এইরূপ আয়ের হার বেশ বাড়িয়াছে। দিন-মজুরের মজুরী এখন দ্বিগুণ বাড়িয়াছে,—যেখানে বাড়ে নাই, সেখানে তার কাজের সময় কমাইয়। ক্ষতি পোষাইয় নেয়। ভৃত্য আগে যে বেতনে মিলিত, এখন তায় মেলে না, বেতন অনেক বেশী দিতে হয়। আরার তার কাজ কম করে, কথা বলিলে উন্ট। দুকথা শুনাইয় দেয়, কথায় কথায় কাজ ছাড়িয়াও চলিয়া যায়। নাপিত আগে একপয়সায় কামাইত, এখন দুপয়সা করিয়া নেয়। ধোপারা কাপড় কাচিতে দেশী দাম চায়,—আবার কাপড় ছিড়িয়া হারাইয়া চুরি করিয়াও বেশ চলিয়া যাইতেছে। কুলির এখন মোট বহিতে বেশী পয়সা নেয়। লোকের কাজে ইহাদের যত দরকার হয়, লোকে তত ইহাদের পায় না। বরং ইহার যত চায়, তার বেশী কাজ পায় । কাজেই ইহার সহজেই আপনাদের আয়ের হার বাড়াইতে পারিয়াছে, এবং যাদের পয়সায় ইহারা আয় করে, তাদের খাতিরও কম করে। কিন্তু বৰ্ত্তমান বাজারদরে সব চেয়ে বেশী কষ্ট হইয়াছে, বাঙ্গালী মধ্যবিত্ত শিক্ষিত ভদ্রসম্প্রদায়ের। ইহারা অনেকেই নিদিষ্ট বাধা বেতনে কাজকৰ্ম্ম করেন। ইহাদের মধ্যে আবার বেশীর ভাগই অল্প বেতনের কেরানী বাস্থলমাষ্টার। যাহারা আইন বা চিকিৎসা ব্যবসায় করেন, তাহাদের বাধা বেতন নাই বটে, কিন্তু লোকের মামলা মোকদ্দমা কি রোগচিকিৎসার যে প্রয়োজন, অথবা তার জন্য অর্থব্যয়ের যে সামর্থ আছে, তার তুলনায় ইহাদের সংখ্যা এত বাড়িআছে ও বাড়িতেছে, যে, অনেকেরই আয় ইহাতে অত্যন্ত বাজারদর ও বর্তমান সমস্ত৷ 8 ՀԳ কম হইয়াছে। যাহার নিৰ্দ্দিষ্ট বেতনে কাজ কৰ্শ্ব করেন, তাহাদের মধ্যেও কৰ্ম্মপ্রার্থীর সংখ্যার তুলনায় প্রাপ্য কৰ্ম্মের সংখ্যা এত কম এবং প্রতিযোগিতা তাই এত বেশী হইয়াছে, যে, অনেকে কাজকৰ্ম্ম পানই না। যারা পান, তাদেরও এই প্রতিযোগিতার জন্য বেতনের হার বৃদ্ধির কোনও সম্ভাবনা দেখা যাইতেছে না। ২০২৫ টাকা বেতনের একটি কেরানীগিরি বা মাষ্টারী খালি হইলে, তার জন্য সেই কার্ঘ্যের যোগ্য বা যোগ্যেরও অধিক বিদ্যার অধিকারী বহুলোক যদি প্রার্থী হন, তবে সেরূপ কোনও কার্য্যের বেতনের হার বৃদ্ধি না পাইয়া যে হ্রাস হইবারই অধিক সম্ভাবনা একথা বলাই বাহুল্য। এইসব চাকরীর অবস্থা এখন এইরূপই श्र्ध्itछ् । পূৰ্ব্বে বাঙ্গালী মধ্যবিত্ত ভদ্র গৃহস্থের সাধারণ অবস্থা অন্যরূপ ছিল । খাদ্যাদি অতি স্বলভ ছিল, অন্যান্য প্রয়োজনও কম ছিল। যৌথ পরিবারের দায়িত্ব ও অধিকারের দাবী এমন শিথিল ছিল না, এক পরিবারে ২১ জন মাত্র কিছু অর্থ উপার্জন করিতে পারিলে অন্যান্য সকলের চলিয়া যাইত। অনেক গৃহস্থ সম্পন্ন জ্ঞাতিকুটুম্বের সাহায্যেও প্রতিপাদিত হইতেন। এখন সে অবস্থার পরিবর্তন হইয়াছে, দিনকাল আর-একরকম হইয়াছে। পৈতৃক কোনও সম্পদ নাই, এমন বয়স্ক পুরুষ মাত্রেরই কিছু-নাকিছু উপার্জনের প্রয়োজন হইয়াছে। প্রচুর ব্যবসায়বাণিজ্যের বৃদ্ধি, এবং বর্তমান রাজকীয় শাসনপদ্ধতির প্রয়োজনে বহু নূতন নূতন জীবিকার পথ বাহির হইয়াছে। এদিকে গবর্ণমেণ্টের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার বিস্তারে, এইসব কাজকর্শ্বের যোগ্যতাও অনেকে লাভ করিতেছেন। মধ্যবিত্ত ভদ্রসম্প্রদায়ের মধ্যে যাহাদের জীবিক উপার্জনের প্রয়োজন, তাহদের প্রায় সকলেই এই শিক্ষালাভ করিয়া এইসব বৃত্তির দিকে ধাবিত হইতেছেন। কিন্তু যতলোক এদিকে ধাবিত হইতেছেন, তত লোকের মত জীবিকার বৃত্তি এসব পথে হইতেছে ন,—হইবার সম্ভাবনাও নাই। কিন্তু তবু, পূৰ্ব্বাপেক্ষ অনেক অধিক লোক এখন নানাদিকে জীবিকা অর্জনের চেষ্টা করিতেছেন। ইহাতে ৩।৪১ কি ২৫৩ বৎসর পূৰ্ব্বে বাঙ্গালী ভদ্রগ্রহস্থের গড়ে যে আর্থিক আয় ছিল, তাহা এখন অনেক বাড়িয়াছে,