পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

48v Joo- -- - - আমরা বরং শৈশবস্থলভ কৌতূহলের বশবৰ্ত্তী হইয়। ছ.একটা উদ্ভিদ খুজিয়া বাহির করিতাম। অন্যান্য दियग्र १फ़्ड्रेदांद्र সময় যেমন করিতেন, উদ্ভিদবিচারের ঘণ্টাতেও তেমনি পণ্ডিত মহাশয় চট-জুতা হইতে প। দুখানি বাহির করিয়া টেবিলের উপর তুলিয়া দিতেন, এবং এইরূপ জিজ্ঞাসা করিতেন, "মূল কাহাকে বলে ?" আমরা অমনি মুখস্থ বলিতে আরম্ভ করিতাম, "উদ্ভিদের যে অংশটি মৃত্তিকার মধ্যে প্রোথিত থাকে, যাহার বলে উদ্ভিদ মৃত্তিকার উপর সোজা থাকে, এবং যদার মূৰ্ত্তিকার রস শরীরস্থ করিয়া উদ্ভিদ জীবিত থাকে, তাহাকে মূল কহে ।" তথন পণ্ডিত মহাশয় হয় ত আবার প্রশ্ন করিতেন, “মূলের এই সংজ্ঞায় কি কি দোষ আছে ?” তথন আমরা আবার গ্রামোফোনের মত বলিতাম, "মূলের উক্ত প্রকার নির্বাচন করিলে তৎসম্বন্ধে কতকগুলি অপত্তি লক্ষিত হয়। যথা :– গিরিগুহা বা গৃহাদির উপরিভাগ হইতে লম্বমান উদ্ভিদের মূল অধোধাবিত না হইয়৷ উৰ্দ্ধে উঠে। এতদ্ভিন্ন বায়ব্য এবং জলীয় উদ্ভিদের মূল মৃত্তিক পৰ্য্যস্ত নামিতে না পারে (এরূপ সচরাচরই ঘটিয়া থাকে), স্বতরাং সে স্থলে উক্ত উদ্ভিদ পোষণসামগ্ৰী মৃত্তিকা হইতে আকর্ষণ করে না।" চল্লিশ বৎসর পূৰ্ব্বে আমাদের বৈজ্ঞানিক শিক্ষা এইরূপ চমৎকার প্রণালীতে সম্পন্ন হইত। গত চল্লিশ বৎসরের মধ্যে পৃথিবীতে কত আশ্চৰ্য্য পরিবর্তন হইয়াছে। এই চল্লিশ বৎসরে জাপান “সেকেলে" অবস্থা হইতে আধুনিক তম জাতিদের প্রথমশ্রেণীর মধ্যে আসিয়া পড়িয়াছে। এমন যে স্থিতিশীল দেশ চীন, তাহাও ঘুম ভাঙ্গিবার পর চোখ, রগড়াইয়া চারিদিকে দৃষ্টিপাত করি। ঘর গুছাইয়া নিজের বিষয়কৰ্ম্মে মন দিয়াছে। কিন্তু আমাদের বাংলা স্থলগুলিতে বৈজ্ঞানিক শিক্ষা পূৰ্ব্ববং চলিতেছে। বাংলাঙ্গুলগুলির কথা এইজন্য বলিতেছি, যে, দেশের অধিকাংশ ছাত্রের শিক্ষা বাংলা স্কুল পাঠশালাতেই হয় ; কলেজে পড়িবার স্বযোগ কয়জনের হয় ? অতএব শিক্ষার সংস্কার করিতে হইলে ঐ পাঠশালা ও বাংলা বিদ্যালয় হইতেই আরম্ভ করিতে হইবে। পাঠশালা ও বাংলা বিদ্যালয়ে খুব অল্প বিজ্ঞান শিখান হয়, তাহাতে ক্ষতি নাই, কিন্তু উহা পৰ্য্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা দ্বার। শিক্ষা দিতে হুইবে । প্রবাসী-ভাদ্র, ১৩২২ [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড তজন্য সামাঙ্ক যাহা জিনিসপত্র, সরঞ্জাম ও ধঙ্গের প্রয়োজন হইবে, তাহ গবৰ্ণমেণ্টকে দিতে হইবে। - ইংরেজী বিদ্যালয়গুলিতে বিজ্ঞান শিখাইবার ত কোন প্রয়োজনই অম্বষ্কৃত হয় না; কারণ মাটিকুলেশ্বন বা প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য বিজ্ঞান শিখিতে হয় না। ছাত্রের বিজ্ঞানের একটি বর্ণ না জানিয়া এম.এ, ডিলিট্‌, পিএইচ, ডি, প্রভৃতি কত কি বড় বড় উপাধি পাইতে পারে,-- বৈজ্ঞানিক যুগে আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষার এমনি স্ববন্দোবস্ত ! তাহ অপেক্ষা আরও স্ববন্দোবস্ত এই যে লাহোর কলিকাতার পূৰ্ব্বে, পশ্চিমে, উত্তরে, দক্ষিণে, উদ্ধে বা অধোতে, কিম্ব পৃথিবী রসগোল্লার মত, বা শিংছাড়ার মত, বা লুচির মত, কিম্বা গজার মত, তাহ না জানিয়াও ছাত্রের এম-এ, এম.এস.সি, ইত্যাদি কত কি হইতে পারে। কারণ ভূগোল না জানিয়াও ছাত্রছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করিতে পারে, এবং তাছার পর আর ভূগোল জানার প্রয়োজন হয় না। বিখ্যাত প্রাচ্যবিদ্যাবিং আচাৰ্য্য ওল্ডেনবার্গ বেথুন কলেজ দেপিতে গি৷ মূখন শুনিয়াছিলেন যে সেখানে বিজ্ঞান শিখান হয় না, তখন কতক গণ, যেন অসম্ভব কিছু একটা শুনিলেন এই ভাবে,* করিয়া দাড়াইয়া ছিলেন। তবু ত উহ। কেবল মেয়েদের কলেজ, এবং তাহাতেই তিনি এত বিশ্মিত হইয়াছিলেন। যদি পাশ্চাত্য দেশের বিধান লোকের শুনে যে আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়-সকলের অধিকাংশ উপাধিধারী বিজ্ঞানের এক বর্ণও জানে না, তাহা হইলে তাহার। কি মনে করিবে জানি না। সত্য বটে, সকলে সকল বিষয়ে পণ্ডিত হইতে পারে না; কিন্তু তাহা হইলেও প্রধান প্রধান সকল বিষয়ের কিছু জ্ঞান সকল শিক্ষিত লোকেরই থাকা কৰ্ত্তব্য। এইজন্ম *ाy•ाजl, दात्रल-विमrाजघ्न ७ ३५८द्रछौदिशालग्र-भकcण পৰ্য্যবেক্ষণ ও পরীক্ষার সাহায্যে অল্প অল্প বিজ্ঞান শিক্ষা দেওয়া উচিত। এরূপ করিলে সৰ্ব্বপ্রধান স্বফল এই হুইবে যে আমাদের দেশের লোকের। “সেকেলে” জাতি না থাকিয়া আধুনিক উন্নতিশীল জাতিদের সমকক্ষ হইবাৰ উপায়স্বরূপ বৈজ্ঞানিক শিক্ষা পাইৰে। এই বিশ্বে সৰ্ব্বত্র নিয়মের রাজত্ব, স্বপ্নের মত অসম্বন্ধ যা তা কোথাও ৫ম সংখ্যা] -- ৰিবিধ প্রসঙ্গ—অভিভাবক বৃদ্ধির সম্ভাবনা SMMMMSS SSMM কিছু ঘটে না, ক্রমশ: লোকের এইরূপ ধারণা জন্মিয় অনেক কুসংস্কার নিমূল হইবে, আহুসঙ্গিক স্বফল এই হইৰে যে বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে শিল্পদ্রব্য প্রস্থত করিবার প্রণালী লোককে শিখান অপেক্ষাকৃত সহজ হইবে। আরও অনেক বিষয়ে সুবিধা হইবে। এখন যাহার এ এস সি, বি-এ সি পাস করে তাইদের অনেকে আবার আইন পড়িয়া উকীল হয়, বা কেরাণীগিরি করে, বৈজ্ঞানিক কোন রকমের কাজ অল্প লোকেই পায়। কিন্তু সমুদয় भtन ऋcन पनि विजान अफ़ान श्प्र, ऊाश श्tन অনেক এমএস সি, বি.এস সি, বিজ্ঞানের শিক্ষকতা করিতে পারে। পাঠশালা ও বাংলাবিদ্যালয়ে যদি *R** s ofta ( observation and experiment ) সাহায্যে বিজ্ঞান শিখান হয়, তাহা হইলে বিজ্ঞানজানা অনেক এন্টেন্স পাস ছেলে তথায় শিক্ষকতা করিতে পারে। বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে শিল্পদ্রব্য প্রস্বত করিবার জঙ্গ যদি কতকগুলি কারখানা চলিতে থাকে, তাহা হইলে তাহান্তেও ২৪ জন করিয়া বি-এস্ সি, এমএস সি কাজ পাইতে পারে; যেমন বেঙ্গল কেমিক্যাল এগু, কণমাসিউটিক্যাল ওয়ার্কসে কয়েকজন রসায়নশাস্ত্ৰবিং এম্-এ ৰাজ করিতেছেন । বৈজ্ঞানিক পরীক্ষণযন্ত্রের কারখান । চলিত কথায় বলে, কান টানলে মাথা আসে। কোন একট। দিকে দেশের উন্নতি করিতে গেলেই দেখা যায় ষে আর কোন কোন দিকে উন্নতি না করিলে তাহা সম্ভবপর হয় না। বিজ্ঞান শিখাইবার জন্য যে-সকল বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করিতে হয়, তাহার নিমিত্ত নানাবিধ যজ্ঞের (apparatus ) প্রয়োজন হয় । বিদেশ হইতে যক্ষ আনাইতে হইলে অনেক খরচ পড়ে। আমাদের দেশের ব্যৱহাৰ সম্ভবপর নয়।--ঘস্থসকল এদেশেই নিৰ্ম্মিত হওয়া উচিত। বাংলা ও ইংরেজী শিক্ষালয়-সঞ্চলে বৈজ্ঞানিক যজ্ঞের প্রয়োজন হইলে, একটি কারখানার সম্বৎসরের কাজ বেণ-চলিতে পারে। -- যথনিৰ্ম্মাণ করিবার কারিগরের DBB DDBB B BBBB BBBB BB BB BBBBB 8న আবিষ্কৃত যে সকল যন্ত্ৰ দেখিয়া ইউরোপ আমেরিকার বৈজ্ঞানিকের বিশ্বিত হইয়াছেন, সেগুলি সমস্তই ভারতবর্ষে দেশী মিীর দ্বারা নিৰ্ম্মিত । কোন জিনিষের জন্য বিদেশের উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করিলে আর-এক রকমের ব্যাঘাত হয়। তাহার একটি দৃষ্টান্ত দিতেছি। যুদ্ধের পূৰ্ব্বে ইংলণ্ডের বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষালয়-সকলে জামেনী হইতে বিস্তর বৈজ্ঞানিক যন্ত্র আমদানী হইত। ঐ সকল কল ইংলণ্ডে প্রস্থত হয় না। এখন যুদ্ধ চলিতেছে বলিয়৷ বিলাতের কোন কোন কলেজের পরীক্ষাগারে জামেনী হইতে আমদানী বৈজ্ঞানিক ধন্থ ভাঙ্গিয় বা বিগড়িয়া যাওয়ায় ঐ যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষাকার্য বন্ধ রাখিতে হইয়াছে। ইহা দ্বারা বুঝা যাইতেছে যে যতটা সম্ভব নিজের দেশের আবশ্যক সবজিনিষ দেশেই প্রস্তুত করা উচিত। যতটা সম্ভব" এইজন্য বলিতেছি যে সবজিনিষ সবদেশে-প্রস্তুত করা স্বসাধ্য নয়। তাহার চেষ্টা করিতে গেলে তাহার ব্যয়ও অনেক সময় অত্যন্ত বেশী পড়ে। অভিভাবক বৃদ্ধির সন্তাবনা। কিছুদিন হইতে বিলাতের রাজমন্ত্রীরা বলিয়া আসিতেছেন যে যুদ্ধের শেষে যখন সন্ধি হইবে, তখন সন্ধির সৰ্বগুলি সম্বন্ধে ব্রিটিশ উপনিবেশসকলের মত লণ্ডয়া হইবে, কারণ তাহারা যুদ্ধে ইংলণ্ডের অনেক সাহায্য করিতেছে। উপনিবেশ-সমূহের লোকদের আগে ভারতবর্ষের লোকের অর্থ দিয়া, লড়িয়া, রক্ত দিয়া, প্রাণ দিয়া, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সাহায্য করিয়াছে। কিন্তু কেহ একথা বলিতেছেন-ন৷ যে সদ্ধির সৰ্বগুলি সম্বন্ধে ভারতবর্ষেরও -মত লওয়া হইবে । ভারতসচিব চেম্বালেন সাহেৰ, যিনি ভারতবাসীর প্রদত্ত ট্যাক্স হইতে মোট বেতন পান, তিনিও চুপ করিম্ব আছেন। সম্প্রতি উপনিবেশসচিব ঐযুক্ত বোনার ল সাহেব সন্ধির সপ্ত সম্বন্ধে পরামর্শদানের অধিকার ছাড়া উপনিবেশগুলিকে আরও একটি উচ্চ অধিকারের আশা দিয়াছেন। তিনি বলিয়াছেন, তাহারা সাম্রাজ্যশাসনের কার্ষ্য ও তজ্জনিত সম্মানের অংশীদার হইবে “share with the Motherland (they would