পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

০৭:৫৪, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)~------- --০৭:৫৪, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)SumitaBot (আলাপ)... --> - - ঠেকে ঠোকর খেয়ে পেয়েছে। যার মরেনি সে জানে না। | বাব, মা কোথায়? মা মরে গেছে ?—তিন বছরের মেয়েটি তাতীর দাড় ধরে তাতীর মুখ উঠিয়ে চোখে চোখ রেখে বলে—ই বাবা, মা নেই, মা মরে গেছে ?—শুনে |o o শুকনে কাঠে জল আসে, তপ্ত পাথর ঘেমে উঠে, ডাকাত আর শিদেল চোর সরে পড়ে, জলন্ত আগুন জল হয়ে যায়। মেয়েন্থটিকে তাতী-বে বিয়ের আগেই সঙ্গে রেখে খেল * । বেীএর মা বেলা হলে এক-একদিন তাতীর - মারোধে দিত | -- নিকট প্রতিবাসী, স্বজাতি, সম্বন্ধ খুজলে পাওয়া যায়। দূর সম্বন্ধ। তাতী বিয়ে করল তাতী-বোঁকে। বেীএর ম৷ বড় লক্ষ্মী। । যাটবছর আর দশ বছর। তফাত তত বেশি কি ? তিন বারে তিনটা ফুলগাছের সঙ্গে বিয়ে ধরলে তাতীর এই তাতী-বে। সপ্তম পত্নী—ষাটের কোলে ঠিক যেন ছেলের মেয়ে ছটর বিয়ে হয়েছে। বিয়ে দিয়ে জাতী টাক -ر । অল্প বস্ত্রের দুঃখ । সব কেড়ে নিয়েছে। কেড়ে - ~, ... v...., ....... ..., ... «... তাতী-বে। যা চায় তা পায় না। অভাবে অসম্ভাব - -- م و অধিক বাড়তে লাগল। মেয়ে দুটিকে হিংসা করতে লাগল। জামাই এলে তাতীকে তিরস্কার করে। - - তাতী তখনও অধিক অশক্ত হয় নি। দুকথা চড়া করে - বলে তাতী-বোঁকে | o তাতী বলে—থাট থাও শোও - - - - ঘুমাও ঘর কর, বিয়ে-করা ধৰ্ম্মপত্নী ধৰ্ম্মের দিকে দৃষ্টি রাখ। সংসার দুজনারই। অভাব অনাটন স্বথ দুঃখ দুজনারই সমান বুঝতে হবে। তাতী-বোঁ এতে রাজী নয়। কুলী ভাল সাওতালের স্ত্রী মাটি কাটে মজুরি করে স্বামীর তরে। তাতী-বে। এক-একদিন বগলামূৰ্ত্তি—তাতীর জিব টেনে - . বার করে। তাতী-বে। ছিন্নমস্তা—বটি কাটারি ধরে। পাড়ার

  • দিয়ে ভয় দেপায়, তাতীকে ফেরে ফেলতে যায়। চেকীদার ডাকে। কাতী নিতান্ত দুৰ্ব্বল হতে লাগল। ভাবনা শরীর শুকিয়ে তুলতে লাগল।

প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩২২

        • ーヘ、ヘヘ・ハーヘ・ヘヘ**ヘヘヘヘヘア・ヘヘヘヘ・・・

- [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড । ১ম সংখ্যা ] । '-*******ヘヘヘ「***ヘヘヘヘ"・ヘヘヘヘヘヘ* --- o ーヘヘヘヘ ----------------- ----- - - চিন্তার সমান নাই শরীর-শোষিক তাতী মনে করলে তুলসী-গাছের কাছে দুঃখের কান্ন৷ ." - حذ মাতার সমান নাই শরীর-পোষিক ক্লাবে। যত্ন করে তুলসীগছ আনলে। জালার ভিতরে কাস্তার সমান নাই শরীর-তোষিক । কাস্ত। তাতীর খোস্ত হইয়াছে। রোজ রক্তপাত করে। - মারব বললেই তাতী মার খায়। সইকে সঙ্গে নেয় তাতী-বে। . কাদম্বিনী আর তাতী-বোঁ দুজনেই তাতীর জীবন্ত মূৰ্ত্তিমান । যম, মনে পড়লে তাতী ভয় পায়। কল্পনায় আনা যায় না | জালার কাছে বসে থাকে। ---- - - - - এমন শাসন করতে লাগল দুজনে । তাতী ইট খুজে তুড়ি গেঁথে তুলসীমঞ্চ তোয়ের করলে। হিন্দুর বিয়ে বখেয়া শেলাই। কাপড় ছিড়ে যায় শেলাই খোলে না। সুতায় টান মারলে শেলাই আরও | বাড়বার কথা, তাতী-বেী তুমি এমন হলে কেন? মনে । করতাম মেয়ে মায়ের গুণ পায়, তোমার মা যে স্বয়ং লক্ষ্মী ছিলেন দেখেছি । তোমার বাপ অর্থলোভী পিশাচ । তোমার বিয়েতেই তার চরিত্রের পরিচয় পেয়েছি। তোমার মার মত ছিল না, এজন্যে ভালমানুষের মেয়ে । মার খেয়ে পিঠে কাপড় চাপা দিয়েছে। মুখে তার কথা । ছিল না। তাতী-বে, তুমি মায়ের ধারায় যাওনি, বাপের ধারা বেশ পেয়েছ ! - তাতী-বেী ছাতারে, কাল-পেচা, কাদা-খোচ, কাঠ ঠোকুর, হাড়িচাচা, ডোমচিল, শিকরে, শকুনি-চিন্থি করে ডান তুলে ঝাপটা মেরে সব নিবালে। অন্ধকার তাতীর ভিটে । অন্ধকার হলেই লোকে আলো খোজে, অসুখ হলেই | স্বথের অন্বেষণ করে। অভাব হলেই স্বভাব বদলিয়ে। ফেলে। এখন ঘোর অন্ধকার তাতীর বাড়ীতে। তাতীর । আর কেউ নেই। পাড়াপড়সী বাড়ীতে আসতে সাহস । করে না। অস্বথ অত্যন্ত, মুখের কোনও কিছু নেই। " অভাব নিত্যই, স্বভাব তাই সরে পড়ল। তাতীর শক্র । তাতী-বে তাতীর পরম মিত্রের অনুসন্ধানে তাঁতীকে | পাঠাতে লাগল। মহিম-স্তোত্রে পুষ্পদপ্ত অমঙ্গল্য শীল ভৰতু তব নামৈবমথিলং—মন্টাই | ভাল হয় মহাদেব, তোমার নামে। তাতী-বোঁএর নির্যাতনে - তাতী নিরুপায়। প্রতিবাসীর সঙ্গে কথা বলতে দেখলে তাতী-বোঁ তাতীকে মারে । - সাপ, ব্যাঙ, বিছার আড্ডা—এই ছলে তাতী-বে। আবার - , সেটি ভেঙ্গে দিলে। মাটিতে গাছ লাগালে। তাতী-বে। অধিক শক্ত হয়। দুঃখ দরিদ্রতায় পতী পত্নীর সহৃদয়ত ' তার উপর জঞ্জাল চাপিয়ে গাছটিকে নষ্ট করলে । বনের পশু শৃগাল কুকুরকে কে যেন কি ইঙ্গিত করে দিলে। ঘর দুয়ার এরা ময়লা করতে লাগল। ইছর চুচে শক্রতা করতে লাগল। ব্যাঙ নাচে চেঙ ডাকে। অলক্ষিত ভাবে আবর্জন আসে । আহার করছে এমন সময় গুবরে-পোকা ভাতে পড়ে, প্রদীপ নিবায়। তাতী বে তাতীর উপর খড়গহস্ত। এ সমস্ত অপরাধ তাতীর। ঘাট পথ নোংরা। বিছানায় আবর্জন । তাতী-বোঁ ক্ষেপে | উঠে। স্নান করে তিনবার শীতকালে। শুচিবাই রোগ জন্মাল। তাতী-বোএর গলাবাজীতে পাড়া কাপতে থাকে। নিত্যই কোন্দল। পাড়ার সকলেই তাতী-বেীএর * শত্ৰু । তাতী-বেী লোকের কাছে মুখ দেখাতে সাহসী নয় । ছল করে শুয়ে থাকে। বেলায় উঠে । নিকটে ব্রাহ্মণের বাড়ী । নিত্য দেবসেবা অতিথসেবা হয়ে থাকে। প্রত্যহ দুইবেল। তুলসীতলায় তাতী এই ব্রাহ্মণের বাড়ীতে প্রণাম করে। প্রণাম করে ঠাকুরঘরে। প্রণাম করে ব্রাহ্মণীকে । ব্রাহ্মণকন্যারা যত্ন করে’ তাতীকে আহার দেন। তাতী-বে। তাতে নিজের নিন্দার কারণ বুঝে। তাতীকে যেতে দিতে চায় না ব্রাহ্মণের বাড়ীতে । তাতী একদিন তুলসীগাছে রাধাকৃষ্ণের যুগলমূৰ্ত্তি দেখতে পেলে । ভাল করে দেখতে চাইলে, দেখতে পেলে না। ভাবলে তাতীর ভ্রম হয়েছে। একথা কাকেও তাতী বললে না। মনের দৌড় সৎপথে নিয়ে যায়। আবার সেই দৌড় দৌড়ে নিয়ে যায় নরকে। মন কখন কি করে তাতী-বে। -- কাহারও সহিত পরামর্শ করে না। মন সদাই স্বা তাতী-বোঁএর কঠোর তাড়নায় তাতীর । বেড়াচ্ছে স্বাধীনতার তরে। । স্বপ্ন দেখে। স্বপ্নে উত্তম জিনিষ থায়, উত্তম সুগন্ধ ! পায়, সেবা করে দাস-দাসীতে। স্বপ্নে দেখে নারায়ণ | চতুভুজ। - o o ব্রাহ্মণ-বাড়ীতে সে কথা গল্প করতে লাগল। তাতীর । লাবণ্য বাড়তে থাকল। আনন্দ সৰ্ব্বদাই, পাগল নয়। লোকে তাকে পাগল বলতে লাগল। ভিমরতি ধরেছে— আশীবছরের তাতী । • - - - - - o বাড়ীর কর্তা তাঁতীকে বুঝিয়ে দিলেন-তুলসীগাছেই । সেই নারায়ণমূৰ্ত্তি আছে। প্রহ্নাদের স্ফটিকস্তম্ভের গল্প । করলেন। ভগবান যে ফুলে ফলে গাছে পাল বাতাসে মনের মধ্যে অন্তৰ্য্যামী । --- জন্ম মৃত্যু ভেঙ্গে-গড়। নূতন কর, নূতন আধার দেহা । স্তর মাত্র । মনটাকে দেহান্তর করে? অন্য একটা আধারে । অর্পণ করতে পারলে সেই আধার হতে নূতন একটা --- R ो * - -o - - - - --- সহ করতে হয় না। মন তখন ভেঙ্গে গড় হয়। মনের । - -- - নূতন জন্ম হয়। । _ একদিন সন্ধ্যাকালে তুলসীতলায় তাতী প্রণাম করছে। কে যেন তাকে বললে “তুমি কি চাও?” গাছটি ੋਂ বাগানের মধ্যে। বাগানটি বেশ বড়, ছোট ছোট ফুল গাছ। মাঝখানে তুলসী গাছ। টগর করবী জবা সেফ , লিক বক বকুল ধারে ধারে আছে। তুলসী-গাছটি অনেক - o দিনের। অধিক ত্ব না করলে তুলসীগছ এতবড় হয় । ন, এতদিন বাচে না। ব্রাহ্মণের বড় যত্বের সামগ্রী এই ৷ তুলসীগাছ। বেলগাছ একটু তফাতে। । তাতী সেদিন ঘরে এসেই এই কথা তাতী-বেীকে . বললে। তাতী-বেী উড়িয়ে দিলে, বললে—তাতীর মরবার । আর দেরী নেই। ঠাট্ট করে সোনার সিংহাসন্স চেয়ে নিতে । বললে। কর্কশ কথা মিশিয়ে কঠোর তাড়না করতে লাগল। * তাতী চুপ করে রইল। - । পরদিন সকাল-বেল তাতী আবার জিজ্ঞাসা করলে— ।