পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] দিতে পারে বলে’ জোর গলায় স্পর্তা করে বেড়ায় । এহেন জানো-দিদি কিছুদিন গ্রামে অস্থপস্থিত ছিল—শিষ্যবাড়ী ও তীর্থস্থান পৰ্য্যটনে বেরিয়েছিল। একদিন বিকালে ধনিষ্ঠ গৌরীকে নিয়ে পড়তে বসবার আয়োজন করছে, এমন সময় বিপুল-কলেবর জানো-দিদির আবির্ভাব হ’লো ; প্রয়াগ থেকে সদ্য প্রত্যাগমনের সাক্ষীস্বরূপ তার প্রকাও মাথাটি নেড়া ; মাথায় কাপড় নেই ; যেন কোনো পালোয়ান কুস্তির আখড়ায় এসে অবতীর্ণ হচ্ছে। জানো-দিদিকে দূর থেকে আসতে দেখেই ধনিষ্ঠা তাড়াতাড়ি উঠে কয়েক পা এগিরে গেল। জানো ধনিষ্ঠাকে প্রথম সম্ভাষণ করে' বললে—ঐ দূর থেকেই পেশাম করে, ধে মেলেচ্ছ নিয়ে জয়-জয় কর্ছ। ধনিষ্ঠ জানো-দিদির প্রথম সম্ভাষণেই বুঝতে পারলে ধে জাদূরেল জানেী-দিদি যুদ্ধার্থিনী ইয়েই তার বাড়ীতে শুভাগমন করেছেন । দপিতা ধনিষ্ঠার প্রফুল্ল মুখ তৎগণাং কঠোর হয়ে উঠল, সে গম্ভীরভাবে বললে—আমি શ્વનામ ઃ છેfiન જttના-ff, માબા દ્વિ યાન્ન-દાત્ર +1:ছই লোয়ানো যায় ! এতবড় পদ্ধার কথা জানো-বামনীর মুখের সাম্ ন কেউ কখনো বলভে সাহস করেনি, ভাই সে এই কায়েতনীর কথা শুনে একেবারে থ হয়ে গেল। কিন্তু সে বেশীক্ষণ দমে থাকৃধার পাত্রা নয়, সে হুতুমধুমে পাখীর মতন গম্ভীর গলায় বলে উঠল—ত তুমি শাজকাল ধে-রকম বিবি সাহেব হয়ে উঠেছ, ভাতে ভোমার কাছে বেরাস্তন-কক্সাণ্ড যে-পে হবেই তো ? সেদিনকের এঙ্কল্পত্তি মেয়ে, গাল টিপলে দুধ বেরোয়, উনি চান স্বানে-বামনীকে ডিঙিয়ে চলতে ! ওলো ছড়ি, তোর শ্বশুরকে আমি হ’তে দেখেছি--------- ধনিষ্ঠ এধার হেসে বললে—ভাতে কি ? ঘুঘুডাঙার আশধ-গাছটাও ত অনেক-কেঙ্গে, অনেককেই ও ইন্তে দেখেছে ; ভা হ’লে ত তাকেও পেয়াম করতে হয়। জানো বলিল—এণ্ড তোমার মেম-সাহেবের মতন কথা হলো। আশা-গাছ হলেন সাক্ষাৎ ভগমান, ৰিষ্টুর অবতার ; তাকে পেয়াম করলে উচ্ছন্ন যাবার পথ বদ্ধ হয়ে যাবে ধে । তা বুলি নাত-বে, এত অহঙ্কার দ্বগ্নহারী নষ্টচন্দ্র ዓ সন না। একে ভরা যৌবন, তায় এস্তার টাকা হাতে পড়েছে, ধরাখানাকে শরাখানা ভাব ছ। কিন্তু ভগমান, তো আর সাধন চক্কৰ্ত্তী নয় ধে তোমার চোখ-ব্লাঙানীতে ভয় পাৰে ! জানে-বামনীই ডরায় না তা দগ্নহারী মধুসূদন ত অনেক দূরের কথা! সাধন চক্ৰবৰ্ত্তীর উল্লেখ শুনে ধনিষ্ঠ কৌতুহলী হয়ে উঠল ; তার মনে হ’ল এই সব-জাঙ্ক জানোর কাছ থেকে গায়ের অনেক খবর শুনতে পাওয়া যাবে ; তাই সে জানোর অভিসম্পাত গ্রাহের মধ্যে না এনে হেসে বললে— তা জানো-দিদি, এতদিন পরে তাঁখিধৰ্ম্ম করে এলে, সেইসব কথা বলে শুনি ; তান বাড়ীতে পা দিয়েই গাণ-মন্দ দিতে স্বরু করলে। তা আমাকে গাল দিয়ে আর করূবে কি ? আমার না স্বামী, না পুত্তর। বিষয় ? সেও তো আমার নয়—ধার বিষয় তিনি উইল করে রেখে গেছেন— আমি ধদি পুষ্যিপুস্তুর মৃ নিই, তা হ’লে সমস্ত বিষয় দিয়ে এই গায়ে ছেলেদের কলেজ,মেয়ে-স্কুল,হাস্পীভাগ, অম্লছভর প্রতিষ্ঠা করা হবে ; পুষ্যিপুত্তর আমিনেৰো না; যার সম্পত্তি উiং ইচ্ছা-অনুসারে খয়রাড করবার আয়োজন হচ্ছে—তুমি ভে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সব খবরই জানে, এণ্ড শুনেছ বোধ হয় । জানো অস্থম্ভব ধ বৃতে লাগল, আজ তার যাত্ৰাট বড় অশুভক্ষণে হয়েছে ; সে বার-বার এই একরভি মেয়ের কাছে হেরে যাচ্ছে। সে একটু ধৰ্মী মুখে বললে—হঁ্য। তা তো সবই শুনেছি। দান ধ্যান বেবুতে ধৰ্ম্মও খুব কবৃছ শুনছি ; কিন্তু ভার সঙ্গে আবার মেলেচ্ছ ছোমু-নাড়া করছ, কেউ যদি তোমার মতন মেলেচ্ছ যজাতে না পারছে তাকে অপমান করছ, এ-সব কি ভালো হচ্ছে ভাই ? ধনিষ্ঠ হেসে বললে-জানো-দিদি, তোমার তিরষ্কার আর উপদেশ তো অল্পক্ষণে শেষ হবে না, তা একটু বলে হ’ত না ? জানো যখন কথা বলে, তখন মনে হয় সে যেন একমুখ খাবার চিবতে-চিবতে কথা বলছে ; সে ভারী গলায় বললে—তুমি তোমার বাড়ীম বে মেলেচ্ছ মেড়ে রেখেছ তা বসি কেমন করে ভাই, আমাদের তো ইহকাল-পর কালের ভয় আছে।