পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩১ বাকীপুরের “পুরোপ্তানের বাঙালী পালোয়ানগণ-সৰ্ব্বনিম্ন পংক্তির বাম দিক হইতে তৃতীয় ব্যক্তি বর্ষাতি বাবু” আছে । শ্ৰীযুক্ত স্বরেশচন্দ্র কবিরাজ বি এ, মহাশয় ১৮৭২ খৃষ্টাব্দে এই ব্যায়ামাগারের প্রতিষ্ঠা করেন । র্তাহার বয়স এক্ষণে প্রায় ৭১ বৎসর হইবে । যৌবনে র্তাহার স্তায় বলশালী বাঙ্গালী বিহার-অঞ্চলে ছিলেন না বলিয়া এখনওঁ একটা প্রখ্যাতি আছে। এই শূরোদ্যানের একজন প্রধান কৰ্ম্মী ছিলেন বাৰু বিনোদবিহারী মজুমদার। তিনি অৰ্দ্ধশতাব্দীকাল ধরিয়া সম্পাদকের কার্য্য করিয়া পরলোকগমন করিয়াছেন । স্বরেশ-বাবুর কীৰ্ত্তি “শুরোদ্যান” আজিও বিদ্যমান এবং স্থপরিচালিত । এখানে দেশী ও বিলাতী উভয় প্রথার ব্যায়াম-শিক্ষার স্থব্যবস্থা আছে। এই ব্যাখামাগারে যোগ দিয়া আজ অৰ্দ্ধশতাব্বাধিক ধরিয়া যে শত-শত বালক স্বাস্থ্যোন্নতি করিয়াছে তন্মধ্যে আমাদের বর্তমান প্রবন্ধের বিষয়ীভূত বাৰু অমরনাথ রায় অন্যতম। তিনি বাকীপুরের প্রসিদ্ধ রায় পরিবারের সন্তান। তাহারা উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধের মধ্যে বাকীপুরে আসিয়া বাল স্থাপন করিয়া ছিলেন । এই বংশের বহু সস্তান অঙ্গ বিহার সরকারের নানা বিভাগে কৰ্ম্ম লইয়া নানা-স্থান-প্রবাসী হইয়াছেন। অমরনাথ বাবু ১৮৬৫ খৃষ্টাব্দে পিতার কৰ্ম্মস্থান . মোতিহারীতে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন । তিনি পাটনার সার্ভে স্কুল-এক্ষণে “বিহার স্কুল অফ ইঞ্জিনীয়ারিং”—হইতে পরীক্ষায় পাশ করিয়া ওভারসীয়ারি পদে নিযুক্ত হইয়া র্তাহার ভ্রাতা ৮ শুামনাথ রায়, এম্-এ, মহাশয়ের কৰ্ম্মস্থান মুজঃফরপুর-প্রবাসী হন। পাটনায় অবস্থানকালে অমর-বাবু “শুরোদানে" যোগদান করেন এবং অল্পদিনের মধ্যে একজন বলবান পুরুষ বলিয়া প্রসিদ্ধি লাভ করেন। একদিকে তাহার বিশাল বক্ষ, উন্নত গ্রীব ও ললাট, দীর্ঘ স্বগঠিত পেশল দেহ প্তাহার বীর্য্যব্যঞ্জক শারীরিক সৌন্দৰ্য্য সম্পাদন করিয়৷ র্তাহাকে স্বদর্শন করিয়াছিল, অন্যদিকে র্তাহার ধীরনম্র অমান্ত্ৰিক প্রকৃতি তাহাকে আবালবৃদ্ধ সকলের প্রিয় এবং বাঙ্গালী বিহারী সকলেরই নিকট সন্মানিত করিয়াছিল।