পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] পলিটিক্যাল অভিনয় করিয়াছি ; একটি ধিন্দু যতটুকু স্থান অধিকার করে আমার জীবনে পলিটিক্সের স্থান ততটুকুও न८श् (** ১৯১৫ সালের আগষ্টের শেষাশেধি লুজোৰ্ণে ভtহার সঙিত দেখা করিতে গিয়াছিলাম। তিনি অতীব সমাদরের সহিত আমার অভ্যর্থনা করিলেন। তিনি বিপুলকায় ও শক্তিশালী পুরুষ ছিলেন। কপাট-পৃষ্ঠ, নাতিদীর্ঘ লোহিতচৰ্ম্ম, শ্বেতশ্বাশ্র স্পিটলারের গোফের স্বর্ণ ৪ তখনও নষ্ট হয় নাই ; চুল পশ্চাঙ্গিকে ফিরনি ছিল ; দেখিলেই সহান্তগর্বিত সরল অভিজাত্যের প্রতিমূৰ্ত্তি বলিয়া মনে হইত। ১৯১৫ সালে হোডলার (Hodler) তাহার যে ছবিখানি আঁকিয়াছিলেন তাহা তাহার নিখুঁত প্রতিকৃতি । মিষ্ট ও গম্ভীরভাষী স্পিটলার যেন সেী গুল্প ও দয়ার অবতার ছিলেন। অথচ সে দয়া সংস্কহ বাঙ্গ-পরিহাসেব লোভ সংবরণ করিতে পারিজ না । স্ত্রীজাতিকে তিনি অসাধারণ সম্মান করিতেন । তিনি চমৎকার ফরাসী বলিতে পারিতেন । দুই কন্যা ও স্ত্রীকে লইয়। তিনি সম্পূর্ণ নির্জনবাস করিতেন । সাহিত্যিকদের সহবাস বর্জন করিয়া চলিতেন এবং তাহার প্রয়োজন ও অনুভব কবিভেন না । লুজিাৰ্ণে মস্তিষ্কবান লোকদের সহিত আলাপেৰ স্থযোগ আছে কি না জিজ্ঞাসা করাতে তিনি বলিয়াছিলেন—“ন, ভগবানকে ধন্যবাদ ।” লুঙ্গিার্ণেও র্তাহার বাড়ীখানি তিনি লতাপাতা ও গাছপালা দিয়া এমন আচ্ছন্ন করিয়া রাখিয়াছিলেন যে মনে হইত বাড়ীটি সহরের বাহিরে অবস্থিত। স্পিটলার নির্জনতাপ্রিয় হইলেও সাধারণ লোকের জীবনযাত্রার সঙ্গে পরিচিত হইতে ভালবাসিতেন, প্রতিদিন প্রাতে ৭টার সময় তিনি বাজারে গিয়া ফলমূলাদি ক্রয় করিতেন ও সে সময় নানাবিধ লোকের সহিত আলাপ করিয়া আনন্দ পাইতেন। তিনি অত্যন্ত গৃহপ্রিয় ( ঘরমুখে, ) ছিলেন। তাহার যৌবনে মাত্র এক বৎসর জার্মাণীতে, ছুই কি তিন বৎসর কুষিয়ায়, আটদিন প্যারিসে, ইটালীর পস্পিয়াই কাল স্পিটলার-বিংশ শতাব্দীর এপিকৃ প্রতিভা ૨૮:૪


পৰ্য্যস্ত ভ্রমণ করিতে আটদিন-ইহাই তাহার জীবনের বিদেশ ভ্রমণের তালিকা ৷ কিন্তু স্বইটজারল্যাণ্ডে তিনি ইটিয়া প্রচুর ভ্রমণ করিতেন এবং একই পথে বার বার গিয়াও বিরক্ত হইতেন না-তিনি তাহার পরিচিত পৰ্ব্বত, তাহার নিজস্ব ক্ষুদ্র ডিট্রসেনব্যর্গ (Dietchenberg) হইতেই পুথিবীর যাবতীয় শোভা ও সৌন্দৰ্ঘ্য, সকল প্রকারের দৃশ্য আহরণ করিয়া লইতেন। স্বইটজারল্যাণ্ডেই তাহার আত্মীয় সংখ্যা অতি অল্প ছিল ; সুইটজারল্যাণ্ডের বাহিরে একেবারেই ছিল না বলা চলে। জাৰ্ম্মানীতে হাইনগার্টনার (Weingartner) স্পিটলারকে পরিচিত করিয়া দেন ; ইহার প্রতি স্পিটলায় সৰ্ব্বদা হৃদয়ে কৃতজ্ঞতা পোষণ করিতেন যদিও টুমুংিকে তাহার রাষ্ট্রীয় উক্তি (জার্শ্বাণীর বিরুদ্ধে) প্রকাশিত হইবার পর হাইনগার্টনার একটী উগ্র প্রকাশ্য পত্র লিখিয়া তাহার সহিত বন্ধুত্বের শেষ করিয়া দেন । স্পিটলারের কাব্যগুলির প্রশংসায় তিনি বিরত হন নাই বটে তবে তিনি বলিতেন যে কবি মাহুযটা সে প্রশংসার যোগ্য নহে। “এই কাব্যগুলি স্পিটলার লেখে নাই—কোনো দেবতা তাহাতে ভর করিয়া এইগুলি লিথাইয়াছেন”—নিশ্চয়ই সে কোনো জাৰ্ম্মান দেবতা ! স্পিটলার ঝাঝাল ব্যঙ্গের সহিত উত্তর করেন—“আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে জাৰ্ম্মানদেবতা একজন স্বইসের স্বন্ধে ভর করিবার হীনতা স্বীকার করিলেন— যে সুইস আবার ফরাসী, ইংরেজ ও রাপিয়ানদের সহিত পরিচিত ও তাহীদের প্রতি শ্রদ্ধাসম্পন্ন ; অথচ সেই দেবতা ছিণ্ডেনবাগ, ম্যtcকনসেন এগু কোং মহোদয়গণকে অনুগ্রহ করিলেন না ।” আধুনিক জাৰ্ম্মানীকে তিনি মোটেই ভালবাসিতেন না যদিও এখানেই সৰ্ব্বপ্রথম র্তাহার প্রতিভা আদৃত হইয়াছিল। সেখানকার সঙ্কীর্ণতা ও “পণ্ডিত মুখামি দেখিয়া তিনি ক্ষুন্ন হইয়াছিলেন। জাৰ্মানীর কথা হইলেই তিনি অত্যন্ত অবজ্ঞার সহিত বলিভেন, “এখানে কবির কাব্য না পড়িয়া লোকে তাহার সম্বন্ধে সমালোচনা সাহিত্য পাঠ করে” (তিনি বহুবার নাকি এই উক্তির যাথার্থ প্রমাণ পাইয়াছেন ; এমন কি গায়টে এবং তাঙ্কার সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ