পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్రీ: e violent Non-Co-operation Policy) for srgi gāzes ইংরেজের সর্বনাশের হেতু হুইল না । অতএব তাহাকে অহিংসা নীতি কিরূপে বলিব ? বেয়োনেটের (bayonet) খোচায় হত্যা না করিয়া থাইতে না দিয়া পেটে মারিয়া হত্য করাকে যদি হিংসা-বৃত্তি বলিলে দোষাবহ না হয়, তবে মহাত্মা গান্ধীর তথাকথিত অহিংস নীতি ও সৰ্ব্বতোভাবে হিংসাপূর্ণ—এই কথা বলিলে আশা করি, পাঠকবর্গ কিছু মনে করিবেন না। মহাত্মজীর নীতি লিখিতে, পড়িতে ও বলিতে বেশ, কিন্তু সাধারণ কাৰ্য্যক্ষেত্রে উহার প্রচলন অসম্ভব বলিয়াই আমাদের মনে হয়। অর্জুন যখন অহিংসা পরায়ণ হইবার প্রয়াসী, তখন শ্ৰীকৃষ্ণ বলিলেন, “কাধাতে জবশ: কৰ্ম্ম সৰ্ব্ব: প্রকৃতিজৈ গুণৈ:” অর্থাৎ রাগদ্বেধাদি স্বাভাবিক গুণসমূহ সকলকেই অবশ করিয়া কৰ্ম্ম করাইয়া থাকে । ইহার প্রমাণ বর্তমান সময়েও অনেক দেখিতে পাওয়া যায়। মহাত্মাজী ভারতের সর্বত্র অহিংসা নীতি প্রচার করিতেছেন, র্তাহার উপস্থিতিকালেই হিন্দু মুসলমান, হিন্দু-পাশী পরস্পর মারামারি কাটাকাটি করিতেছে ; তাহাজের স্বভাবই তাঁহাদিগকে অবশ করিয়া ঐরূপ হিংসাদি কাৰ্য্য করাইতেছে। তবে কি নিব-সাধারণকে হিংসাদি ব্যাপার হইতে নিবৃত্ত করিবায় চেষ্টা কবা উচিত নছে ? তাহা কেন ? ঐ হিংসাদি চেষ্টা পরস্পরের মধ্যে হানাহানি না করিয়া স্বদেশ ও স্বজাতির মঙ্গলের জন্য কোনো মহত্তর কার্ধ্যে নিয়োজিত ইষ্টতে পারে। কার্ধ দুইপ্রকার-নিবৃত্তি মূলক ও প্রবৃত্তিমূলক। নিবৃত্তিমূলক কার্ধ্যে জোর করিয়া সকলকেই প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩২ [ ২৫শ ভাগ, ২য় খণ্ড নিযুক্ত করা যায় না ; সুতরাং প্রবৃত্তিমূলক কর্থের ভিতর দিয়া ধীরে-ধীরে তাহাদিগকে নিবৃত্তি-মার্গে আনয়ন করাই ভারতীয় শাস্ত্রের বিশেষত্ব । অবশ্য, র্যাহারা মহাত্মাঙ্গীর ন্তায় নিবৃত্তি-মার্গ অফলম্বন করিয়া একেবারে অহিংস হইতে পারেন তাহাদের কথা স্বতন্ত্র ; কিন্তু সেরূপ ব্যক্তির সংখ্যা সৰ্ব্বদেশে সৰ্ব্বকালে অতি মুষ্টিমেয়। ভারতীয় রাষ্ট্রনীতিতে মহাত্মা গান্ধীর অহিংস মতবাদ সংক্ষেপে অfমরা যথাসাধ্য আলোচনা করিয়াছি। তাহাতে বুঝিয়াছি, ক্ষত্রিধৰ্ম্ম জাতির মন হইতে নিঃশেষে মুছয়। ফেলিবার চেষ্টা করা কোনোরূপেই সঙ্গত নহে । সত্ত্বগুণপ্রধান ব্রাহ্মণ, রজোগুণপ্রধান ক্ষত্রিয়, রজ ও ক্রম মিশ্রিত বৈঙ্গ, এবং তমোগুণ-প্রধান শূদ্ৰ, এই চারি বিভাগকেই সযত্নে রক্ষা ও পুষ্ট করিয়া কোনো জাতিকে উন্নতির পথে লইয়া গেলে সেই জাতি একদিন পরিপূর্ণ অখণ্ড জাতিতে পরিণত হইবে ; তন্মধ্যে কোনো-একটি ভাবকে বর্জন করিলে সেই জাতির অঙ্গহানি ও অসম্পূর্ণতা অবশুম্ভাবী। পুরাকালে হিন্দুদার্শনিকগণ ক্ষত্রিভাব জাতির অক্তরে জাগাইয়া দেশবিদেশে ভ্রমণ করিতেন। উপসংহারে ঐযুক্ত বিনয়কুমার সরকারের কথার প্রতিধ্বনি করিয়া বলি– “যাহারা হিন্দুচিত্তের সমরপিপাসা এবং হিংসাযোগবিষয়ক বাস্তব তথ্যের দিকে জক্ষেপ না করিয়া ভারতীয় চিত্ত্বাধfয়ার বিশ্লেষণ করিতে বসেন, র্তাহারা হিন্দুদর্শনের আলোচনায় অনধিকারী বিবেচিত হইবেন । অস্তুতঃপক্ষে র্তাহাজের প্রচারিত হিন্দুদর্শন একদেশদশী ; আংশিক এবং ভ্ৰমাত্মক থাকিতে বাধ্য ।”