পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] AMADDMMMA AMAg MMAAA AAASS তোমার পূর্ব পুরুষগণের ধমনীতে-ধমনীতে পবিত্র আর্যশোণিত অনাবিল আবেগে ছুটিা চলিত, তখন র্তাহারা বৰলে আজ জাবৃত করিয়া উচ্চকণ্ঠে বেদগান করিতেকরিতে বনে-বনে মেষ ও কামধেনু-সদৃশ গাভৗগণকে চরাইয়া দিন যাপন করিতেন।. কি স্বখের দিন ছিল তখন ! তখন গাছে-গাছে ফল ফলিত, নদীতে জল ছিল, এবং সেই জলে বিবিধ কত স্বম্বাছ মৎসকুল মনের আনন্দে বিচরণ করিত। আর আজ ! আহো ! সে-কথা আর বলিয়া কাজ নাই।” ইত্যাদি এদিকে বাবা বেজায় চটিয়া গেলেন। তিনি তাহার ই-আই-জার-এর বড় সাহেবকে অনেক বলিয়া-কহিয়৷ আমার জন্ত মানকর ষ্টেশনে একটি টিকিট কালেক্টারির কাজ জোগাড় করিলেন,—মাসিক বেতন ৩-২। আর আমি কিনা তাহা পায়ে ঠেলিলাম! বাবা বলিলেন, তিনি আর আমার মুখ দেখিবেন না। তখন মনে-মনে করুণার হাসি হাসিয়া ভাবিলাম, “তায় বৃদ্ধ ! তুমি কি জানিবে এই তরুণ হৃদয়ের আরব টাটুর মতন উদাম আকাঙ্ক্ষার কথা ! তোমার প্রাণমন সব শুখাইয়া গিয়াছে, চোখ অন্ধ হইয়া গিয়াছে, তাই কিছু দেখিতে পাও না, কিছু অনুভব করিতেও পারো না। কিন্তু একদিন দেখিবে ভোমার এই পুত্র তোমার শৃঙ্খলিতা পদদলিতা মাতাকে কেমন করিয়া দেশ-শত্রুর কবল হইতে রক্ষা করিবে!” মনে-মনে এই কথাগুলি বলিলাম বটে, কিন্তু মুখ ফুটিয়া বলিবার ভরসা হইল না, কারণ বাবা-ঠাকুরের দেহবলের খ্যাতি ছিল। প্রথম-প্রথম আমি প্রুফ দেখা শিক্ষা করিতাম । তাহার পর ক্রমে সংবাদ সংশোধন করা শিখিতে লাগিলাম। এই সময় একদিন প্রধান সম্পাদক আমাকে বলিলেন “ওহে, অনেক সংবাদ প্রায়ই আসে, যা খুব দরকারী, কিন্তু অনিল সেগুলোকে ভালো ক'রে সংশোধন ক’রে বসাতে পারে না, তুমি বাপু একদিন এই কাজটি করে দেখাও ত কেমন পারে " আমি ভাবিলাম—কি খড়িবাজ লোক বাৰা ! আমি ষে ঐ কাজটা ভালো ক'রে করতে পারি, সেটা সোজা কথায় বলবেন না, ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বলা চাই, সম্পাদকি বুদ্ধি আর কারে বলে ! এমন ক'রে সংবাদ সংশোধন সাংবাদিকের ডায়ারি ף5טא कद्रूष cष-ई, नवांशे ७८कबां८ब्र चबाद् ३'८ग्न यांरब, कोहे কি কাগজের কাটুতিও কিছু-কিছু বেড়ে যাবে। একদিন একটি সংবাদ আসিল, তাহ। এই : "মাক্সাজবাজারে চিনির দর পড়িয়াছে।” এই এক লাইন সংবাদ কাহারো চোখে পড়িবে না—অথচ এই সংবাদের উপর কত লোকের কত আশা-ছয়াশা নির্ভর করিতেছে । আমি সংবাদটিকে অতি মনোহর এবং ছন্দোময় করিয়া লিখিলাম — পতন ! ভীষণ পতন ! কারুর পৌষ মাস কারুর সর্বনাশ । ‘সংসারের চাকা অবিরাম ঘুরিতেছে-কখনও স্থির হইয়া নাই। আজ ধে-বুক্ষে ফল ফলিল, কাল সে-বৃক্ষ ফলহীন হইল। আজ যে কুমারী বালিকা, কাল সে সপ্ত সপ্তানের গৌরবময়ী জননী, তাহার পর দিন সেই জননী আর নাই! কিন্তু তাহার সেই সপ্ত সস্তান কত শততে পরিণত হইল । নীতে এই জোয়ার আসিল, খানিক পরে দেখ, ভাটার টানে জোয়ার ভাসিয়া গেল। আজ তোমার দেহে রেশমী জাম, কাল ভূমি খালি-পাধে পথে দাড়াইয়া আছ! চাঙ্গিয় দেখ উজ্জল স্বৰ্য্যালোক কঁাচা ধানের ক্ষেতে সোনা ঢালিয়া দিয়াছে—আবার একটুপরে দেখ ঋত্রির গভীর তিমির-পরম্বা কালো-চাদরে মাঠ-ঘাট আবৃত করিয়া দিয়াছে— আজ যে জিনিসের দাম চড়া, কাল তাঁহার দাম পড়িয়া গিয়াছে। সত্য-সত্যই তাহাই আঙ্গ ঘটিয়াছে—মান্দ্রাজের বাজারে হাহাকার! কিন্তু ঘরেঘরে মুচকি হাসির লঙ্কর, কারণ চিনির দাম পড়িয়াছে। নিজের লেখা বার-বার পড়িলাম—বেশ লাগিল । ধেমুনি ভাষার চট, ভেম্বনি বর্ণনার ঘটী! কেই কাহাকেও ছাড়াইতে পারে নাই, কিন্তু দুই চমৎকার! ছাপার অক্ষরে যখন প্রাফ দেখিলাম, তখন আমি আমার এই অদ্ভূত, চমৎকার, সংবাদ-সংশোধনের ক্ষমতা দেখিয়া অবাকৃ হইয়া গেলাম। এবার আটকায় কে ? কাল সম্পাদক নিশ্চয়ই ছুপুরে আমায় ডাকিবেন—তা’র পর বলিবেন "–তা দেখ তুমিই ঐ সংবাদ-সংশোধনের কাজটা নাও, আর—হঁ্যা, ম্যাখ,