পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8bや স্বাস্থ্য রক্ষা কহিন্তে গ: কাৰ্পণা অবলম্বন করিলে চলিবে কেন ? যাহাতে দেশে আই রোগের বিস্তার মা ধটিতে পারে ৪ বৰ্ত্তমান ৰোগীয় সংখ্যা • ক্রমিয়া যায়, সেইজন্য ফিলিপাইন-দ্বীপের অতুকবণে আমাদিগকে দেশের বিভিন্ন স্থানে, লোকালয় গুইক্রে দূরে, কুষ্ঠী-বস্থি প্রতিষ্ঠা করিতে হইবে । ইহাকে স্বযুগ এবং স্থাসম্ভব আরাম দায়ক করিতে হুইবে, কুষ্টিগণ যাহাতে স্বেচ্ছায় সেখানে যাইতে চাষ্টে, এইরূপ সুখ-সুবিধার ব্যবস্থা করিতে झडेgरु । সেখানে নূতন এবং পুখতন রোগীদিগকে পৃথকৃ করিয়া রাগিতে ইবে, স্ত্রী-পুরুষ সম্মিলন নিষিদ্ধ করিতে হুইবে । তারপর নূতন প্রণালী-অনুসারে চিকিৎসা করিতে হুইবে, যতদিন না রোগীর দেহ সৰ্ব্বপ্রকার রোগww4-sfers ans catostą"{s (sympton free and suminfective ) হইয়া বায় । দেশের সকল কুষ্ঠীকে বন্ধ করিয়া রাখা হয়ত ব্যয়বাহুল্যবশতঃ, কোনোদিনই সম্ভব হুইবে না, কিন্তু যে-সকল কুণ্ঠরোগী রাস্তায়-এাস্তায় ভিক্ষা করে, রেল-ষ্টীমারে ধাতায়াক্ত করে, অন্ততঃ তাহাদিগকেও রোগ সম্পূর্ণরূপে সারিয়া যাইবার পর আরো ছয় মাস পৰ্য্যন্ত আবদ্ধ রাখা উচিত । কুষ্ঠাশ্রম “s “Mission to Lepers” এতদিন পর্যাঙ্ক এদেশে কুণ্ঠদের সেবা, চিকিৎসা কিংবা ভরণপোষণের জন্য র্যাঙ্গার চেষ্টা করিয়াছেন, উাহারা অধিকাংশই খৃষ্টান মিশনারী । ভারতীয়গণ অঙ্গ্যাপি এই বিষয়ে বড়-একটা উদ্যম দেখান নাই । আর কুষ্ঠাঁদের জন্ত সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক কাৰ্য্য করিয়াছেন Mission মাসের সেপ্টেম্বর মাসে মিশনের পঞ্চাশৎ বর্ষ পূর্ণ গুইল । প্রথমে অতি ক্ষুদ্রভাবে আরম্ভ করিয়া আজ তাঙ্গার যে বিশাল প্রতিষ্ঠান গড়িয়া তুলিয়াছেন, ভাস্ক ভাবিলে ধিস্মিত হইতে হয় । ঘদিও দ্বাদশটি বিভিন্ন দেশে ইহার সেবাসদন আছে, তবু sারতবর্ষই প্রধানতঃ ইহার কার্য্যক্ষেত্র । দীর্ঘ পঞ্চাশ বৎসর ধরিয়া—যর্থন কুষ্ঠাদের জন্ত ব্যবস্থাষ্ট ছিল না,— to lepers | প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩২ . [२¢* छॉ१, २घ्न थ७ আজ পৰ্য্যন্ত সমভাবে ইহার একান্ত নিঃসহায়, সৰ্ব্বজনপরিত্যক্ত শত শত কুষ্ঠর গুপ্ত যাহা করিয়াছেন তাহার তুলনা নাই । ইহাদেরই সৎদৃষ্টান্ত এবং অক্লাস্ত চেষ্টার ফলে আজ দেশে কুষ্ঠাদিগের জন্য একটা মৃত্যকার বেদনা-বোধ জন্মিয়াছে, ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়িয়া উঠিতেছে । সম্প্রতি ইংলণ্ডে ব্রিটিশ এম্পায়ার লেপ বুসি রিলিফ এসোসিয়েশন নামে একটি নূতন সমিতির প্রতিষ্ঠা হইয়াছে। প্রিন্স অব ওয়েলস্ ইংরে পৃষ্ঠপোষক । ভারতবর্ষেও ইহার একটি শাখা সমিতি শীঘ্রই স্থাপিত হুইবে, এবং বড়লাট এই সমিতির জন্ম আর্থিক সাহাধ্য প্রার্থনা করিবেন। বৰ্ত্তমানে ভারতে কুষ্ঠাশ্রমের সংখ্যা ৯২, ভষ্মধ্যে ৪১টি এইসকল আশ্রমে ধত কুণ্ঠ, বাস করে, তাহীদের ব্যয়ভার মিশন বহন করিয়া থাকেন ! সমাজের নির্য্যাতন, রোগের যন্ত্রণা, হতাশ্বাস মিলিয়া কুষ্ঠার জীবন দুর্ভর করিয়া তোলে। ধই দেখে সেই দূর দূর করে ; কেহ আশ্রয় দেয় না, কেহ একটা আশার কথ: বলে না । তদুপরি অক্ষমতার জন্তু জীবনধারণ অসম্ভব হুইয়া উঠে। তখন এইসকল খঞ্জ, গলিত হস্ত-পদ কুষ্টরোগী আসিয়া আশ্রমে আশ্রয় লয় । সেখানে জীবনের অবশিষ্ট দিন কয়ট বেশ শাস্তিতেই কাটায়। এষ্ট-সকল আশ্রমে জাতিধৰ্ম্ম-নির্বিশেবে সকল প্রকাং কুষ্ঠাকেই আশ্রয় প্রদান করা হইয়া থাকে, ইহাদের দৈহিক ও আত্মিক উন্নতি সাধন মিশনের লক্ষ্য । ইহাদের দুঃখময় জীবন যথাসম্ভব স্বর্থ-ও শান্তিপূর্ণ করিবার চেষ্টা আশ্রমকর্তৃপক্ষ করিয়া থাকেন। আশ্রমে কাহাকেণ্ড জোর করিয়া রাখা হয় না । ধেকেহ ইচ্ছা করিয়া আশ্রমে যায় তাহাকেই থাকিতে দেওয়া হয়, এবং রোগমুক্ত হইলেই, কিংবা ইচ্ছা হইলে তৎপূৰ্ব্বেষ্ট আশ্রম ত্যাগ করিতে পারে । বস্তুতঃ কাহারও ব্যক্তিগত স্বাধীনভার উপর কখনো হস্তক্ষেপ করা হয় না। ধৰ্ম্ম-সম্বন্ধে এখানে কোনরূপ জোর-জবরদস্তি নাই । মিশনের নিয়মাবলীর ৩নং নিয়মের দ্বিতীয় অংশে এই কথা বলা হইয়াছে যে, আশ্রমস্থ কোন কুণ্ঠকে খৃষ্টীয় ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ-শ্রবণে বাধ্য করা হইবে না। তবে এ কথা বলা Mission to Lepersa;