পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীমতী সরোজিনী নাইডু ঐ সজনীকান্ত দাস চল্লিশ বৎসর পূৰ্ব্বে ভারতে যখন রাষ্ট্ৰীয় মহাসভার পত্তন হয়, তখন খুব অধিকসংখ্যক লোক ইহাতে যোগদান করে নাই। ভারতবর্ষের কল্যাণকামী দু’একটি বিদেশী ভারত-বন্ধু ও স্বাধীনতা-স্বপ্নবিভোর কয়েকটি স্বদেশী যুবক মিলিয়া এই প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করেন । তাহার পর আজ চল্লিশ বৎসর ধরিয়া নানা ঘাতপ্রতিঘাতের আলিগলির মধ্য দিয়া এই প্রতিষ্ঠানটি দেশের সদর রাস্তায় আসিয়া পৌছিয়াছে ; সেই কয়েকটি প্রাণীর আন্দোলন আজ নিখিল ভারতীয় আন্দোলনে পরিণত হইয়াছে। এই সভার নেতৃত্ব-পদ আমরা পরম গৌরবের আসন বলিয়া মনে করি । ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশের অনেক মনস্বীর ভাগ্যে এই মহাসম্মান লাভ ঘটিয়াছে, কিন্তু এবার এই প্রথম একজন ভারতীয় মহিলা এই গৌরবের আসন পাইয়াছেন । কংগ্রেস আরম্ভ হইবার কয়েক বৎসরের মধ্যে শ্ৰীমতী স্বর্ণকুমারী দেবী যখন প্রথম মহিলা-সভ্যরূপে সেখানে উপস্থিত হন, তখনকার দিনে তাহাকে বিপুল সম্মান দেওয়া হইয়াছিল। শ্ৰীমতী সরোজিনী দেবী আজ সেই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হইয়াছেন। ভারতের নারী-জাতি যে শুধু অন্তঃপুরিকা গৃহিণী হইয়াই চিরকাল বাচিয়া থাকিবে না, কি রাষ্ট্রনীতি ক্ষেত্রে, কি সমাজ সংস্কা রক্ষেত্রে বাহিরেও যে তাঁহাদের প্রয়োজন আছে শ্ৰীমতী সরোজিনী নাইডুকে সভাপতির পদ দিয়া এই সত্যটুকুকে মানিয়া লইয়া দেশবাসীগণ নিজেরাও ধন্ত হইয়াছেন । সরোজিনী দেবীও এই মহাগৌরবের আসন অর্জন করিয়া জাতীয় আন্দোলন-ক্ষেত্রে প্রথম পথ-প্রদর্শকরূপে ভারতবর্ষের নারী-সমাজের চিরকৃতজ্ঞতা ভাজন হইলেন। ভারতের অতি আল্পসংখ্যক নারীরই তাহার মতন যশোবিমণ্ডিত হুইবার সৌভাগ্য বটিয়াছে। যে রাষ্ট্রনীতি ক্ষেত্রে এতকাল পুরুষেরই একাধিপত্য ছিল, সেখানে আপনার রুতিত্ব প্রদর্শন করিয়া সরোজিনী দেবী ভারতের নারীগণের মহিমা অক্ষুঞ্জ রাখিয়াছেন । তিনি তঁfহার অভিভাষণের প্রারম্ভেই বলিয়াছেন— छांखlब्र अप्षांब्रन|१ 5ाप्लेiviांवJब्रि ‘–আমি জানি যে দেশে ও বিদেশে স্বদেশের কল্যাণ কামনায় আমি যে সামান্ত চেষ্টা করিয়াছি, শুধু তাহার জগুই আপনার এই মঙ্গগৌরবের আসন আমাকে দেন নাই—ভারতীয় নারী-সমাজকে আপনার সম্মাণ দেখাইতে চাহিয়াছেন ও ইহাতে স্বীকার করিয়া লইতেছেন যে, কি সামাজিক, কি পারিবারিক, কি রাষ্ট্রনৈতিক সকল বিভাগেই পুরুষের পাশে নারীর সমান অধিকার অাছে।...আমাকে সন্মানিত কুরিয়া আপনার ভারতের পুরাতন প্রথারই