পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Qやりと。 প্রবাসী—মাদ, ১৩৩২ [ ২৫শ ভাগ, ২য় খণ্ড ইহা যেমন আংশিক সত্য, যে, ভারতীয় শিক্ষিত যুবকেরা ফৌজী অফিসার না হইলে স্বরাজ পূর্ণলব্ধ হইতে পারে না ; অন্যদিকে ইহাও তেমনি কি আংশিক সত্য নহে, যে, স্বরাজলব্ধ ন হইলে আমাদের শিক্ষিত যুবক ফৌজী অফিসারের স্বরাজ-সেবক না হইয়া ইংরেজ সেবক হইবে —যেমন জেনার্যাল ডাম্বারের অধীন সিপাহীরা হইয়াছিল ? অতঃপর শ্ৰীমতী সঙ্গোজিনী নাইডু বলিতেছেন, যে, আমাদের শিক্ষিত যুবকদিগকে আরও অধিক সংখ্যায় সামরিক বিদ্য। শিখাইবার বিষয় আলোচনা করিবার নিমিত্ত যে কমিটি বসিয়াছে, তাহার নিদ্ধারণ যাহাই হউক, আমাদের নিজে হইতে স্বেচ্ছাকৃত জাতীয় বাহিনী গঠন করা উচিত ; এখন আমাদের যে-সব বেসরকারী স্বেচ্ছসেবক (ভলাটিয়ার ) আছে, তাহাদিগকেই কেন্দ্রস্বরূপ করিয়া এই বাহিনী গঠিত হইতে পারে। এ বিষয়ে বক্তব্য এই, যে, একদল লোকের নাম রেজিষ্টারী করা হয় ত চলিতে পারে, কিন্তু গবন্মেস্ট ভাহাদিগকে কোন প্রকার খন্দুক বা তদ্বিধ অস্ত্র কিনিতে ও তাহ লইয়া কুচকাওয়াজ করিতে দিবেন না ; বাহিনী খুব বড় হইলে শুধু লাঠি লইয়া ড্রিল করিতেও দিবেন কি না সন্দেহ। বীরভূম জেলায় স্বরুল ও তাহার নিকটবর্তী স্থানসমূহের গ্রামে ম্যালেরিয়া দূর করিবার চেষ্ট, স্বাস্থ্যের উন্নতি করিবার চেষ্টা, উন্নত প্রণালীর কুবির জ্ঞান বিস্তার চেষ্টা ইত্যাদির জন্ত ছোট ছোট ছেলেদিগকে লইয়া ব্ৰতীবালকের দল গঠন করা হইয়াছে। মশা মারিবার এই উদ্যোগ ব্যপদেশে কামান পাত হইতেছে কি মা, সম্ভবতঃ তাহা নিৰ্দ্ধারণ করিবার জন্ত বীরভূম জেলার পুলিস ও শাসন বিভাগ হইতে ব্ৰতীবালকদল সম্বন্ধে জিজ্ঞাসাবাদ হইয়া গিয়াছে। অতএব স্বেচ্ছাবুত বেসরকারী বাহিনী গঠন করিতে গেলে সৰ্বকার-পক্ষ তৎসম্বন্ধে কিরূপ উপায় অবলম্বন করিবেন, তাহ অনুমেয় । নাইডু মহাশয় আরও বলেন, ভারতীয় জাতিকে দেশরক্ষার জন্ত প্রস্তুত করিবার নিমিত্ত সমুদ্রযুদ্ধ এবং আকাশযুদ্ধ শিখাইবার কথাও আলোচনা করা উচিত। তাহা জবশুই উচিত। কিন্তু এরূপ শিক্ষা বেসরকারী উপায়ে দেওয়া যাইতে পারে না ; কেননা, সরকার বাহাদুর কংগ্রেসকে যুদ্ধজাহাজ ও এরোপ্লেন কিনিতে দিবেন না । ভারতবর্ষের মত পৰ্ব্বাধীন দেশে আকাশে, ডাঙায়, জলে ও জলের নীচে যুদ্ধ শিক্ষা বিশ্ৰেণী গবন্মেন্টের মজি ভিন্ন হইতে পারে না। ইহা দুঃখ ও লজ্জার বিষয় হুইলেও, সভ্য কথা। অবশ্য গবক্সেণ্ট ষাহাতে আমাদের স্বরাজ-লাভ ও যুদ্ধশিক্ষা-লাভ উভয়েই রাজী হন, তাহার জন্ত উহার উপর নানা রকমের চাপ প্রয়োগ করিতে হইবে । কোন কোন পরদেশী জাতি স্থধোগ পাইলে ভারত আক্রমণ করিতে পারে, ইহা না তুলিয়া, তাহার জন্তু প্রস্তুত থাকাও আবশ্যক। কিন্তু ইহাও বিশ্বত হইলে চলিবে না, যে, স্বদেশ-রক্ষার জন্ত আমাদের সভ্য জগতের শ্রদ্ধা ও প্রীতি লাভ করাও দরকার। বর্তমানে ইউরোপের যে-সব ক্ষুদ্র জাতিকে প্রবল জাতির সহজেই পরাস্ত করিতে পারে, যেমন পোর্ভগীজ, স্বইড, ডেন, নকুইজিয়ান, তাহাদিগকে প্রবল জাতিরা যে সচরাচর আক্রমণ করিবার চিন্তা করে না, তাহার অন্ততম কারণ অবগু এই, যে, তাহারাও প্রবল জাতিদের মত খৃষ্টিয়ান ও শ্বেতকায়। কিন্তু ইহাও একট। কারণ, ধে, তাহাদের প্রতি প্রবল জাতিদের কতকটা শ্রদ্ধা আছে, কিছু প্রতি আছে। আমরা কেবল আমাদের পূৰ্ব্বপুরুষদের কৃতিত্বের জোরে জগতের যথেষ্ট শ্রদ্ধা ও প্রীতি পাইতে পারি না , আমাদিগকেও বৰ্ত্তমান সময়ে এমন কিছু করিতে হইবে যাহার দ্বারা আমরা অন্ত সকল জাতির সম্মান পাইতে পারি এবং যাহার জন্ত তাহার মনে করিতে বাধ্য হয়, যে, বর্তমান কালের ভারতবর্ষের হৃদয়মনের দান না পাইলে জগৎ অপেক্ষাকৃত দরিত্র থাকিয়া যাইবে । দক্ষিণ আফ্রিকায় ও অন্যান্ত বিদেশে যে-সব ভারতীয় লোক বাস করে এবং যাহার সেই সেই দেশের শ্বেডকায়দের দ্বারা নানা প্রকারে লাঞ্ছিত ও নানা অন্ধবিধাগ্রন্ত হয়, তাহাজের প্রতি কৰ্ত্তব্য সাধন কংগ্রেসের ষষ্ঠ কৰ্ত্তব্য বলিয়া সভাপতির অভিভাষণে উল্লিখিত হইয়াছে। जांभद्रा च-लांगक छांछि झहेtण uहेणब खांब्रडौcब्रव्र जछ যাহা করিতে পারিতাম, বর্তমান অবস্থায় তাহ পারি না