পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্য। ] নষ্টচন্দ্র ○ 。 ? দিলে ; আপনার প্রতি তার আর বিশ্বাস রইল না । যদিই বা তার মনের এই ক্ষীণ অঙ্গরাগ তার মগ্নচৈতন্ধের মধ্যেষ্ট সুপ্ত গুপ্ত থাকৃত, কিন্তু একবার যখন তাকে খুঁচিয়ে জাগানো হয়েছে তখন তাকে আর লুকিয়ে রাখা যাবে না। যদি কোনো অসাবধান মুহুর্তে সে আত্মসম্বরণ করতে না পারে তবে ধনিষ্ঠ। তাকে কী হীন অপদার্থ ভাববেন ? তার কাছে সম্মান হারানো অপেক্ষা মৃত্যু শ্রেয়, অন্ত সকল-প্রকার দুঃখ বরণীয়। আজ অনিল যেরকমভাবে তাকে বচনীয় করলে, এমনি যদি কেউ র্তাকে ইঙ্গিতেও খোটা দেয়, তবে তিনি তাকেই বা কি ভাববেন ? তার পর সে তার সম্মুখে গেলে তিনি কি আর তাকে আগের মতন সন্মান সমাদর করতে পারবেন ? দুশ্চরিত্রকে কেউ কখনো সম্মান করতে পারে, যার জন্যে মাস্থ্য দুশ্চরিত্র হয় সেও তাকে ঘৃণা করে । অতএব আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে প্রথtভাগে ধিক্ থাক। ধনিষ্ঠা fক এই জন্তেষ্ট তার কাছে পড়া বন্ধ করে” দিয়েছিলেন ? তার বদলে ইরকাস্ককে জমিদারীর কাগজপন্ন সই করাতে আদেশ করেছিলেন ? ধিক্ মূঢ় ধিক, আগে সে এই ব্যাপারটা বুঝতে পারেনি। কী দারুণ অপমান মাথায় বহন করে” সে বেড়িয়েছে ! লোকে তার মুখের কালী দেখে হুেসেছে, কিন্তু মূঢ় সে বুঝতে পারেনি, কখনো নিজের হৃদয়দপণের দিকে চেয়ে দেখেনি সেখানে তার কী কুংসিত কলঙ্কলিপ্ত বিভীষণ মূৰ্ত্তি প্রতিফলিত হয়েছে ! চিঙ্কায় মানিতে লজ্জায় অনলের অস্তুর পূর্ণ হয়ে উঠল। ভোরবেলা যখন কাক-কোকিল ডেকে উঠল তখন সে ছাদ থেকে নীচে নেমে এসে মাঠের মধ্যে বেরিয়ে পড়ল । ধনিষ্ঠ তখন সবে পূজার ঘর থেকে বেরিয়েছে, একজন ভৃত্য এসে খবর দিলে—হুরকাস্ত-বাৰু পেশকার মশায় এসেছেন । 48 এমন অসময়ে পেশকার এসেছে ! এমন কি জরুরী কাজ! ধনিষ্ঠ আশ্চৰ্য্য হয়ে বললে—তাকে আপিসषट्ब्र निट्च ख्वांश्च । ՊԸաՆ ধনিষ্ঠ আপিস-ঘরে গিয়ে অপেক্ষা করতে লাগল। ক্ষণকাল পরেই পেশকার প্রবেশ করলে । পেশক্ষারকে দেখেই ধনিষ্ঠ জিজ্ঞাস্ক দৃষ্টিতে তার মুখেৰ দিকে চাইলে । পেশকার বললে—ম্যানেজার-বাৰু এই চিঠিটা আপনাকে এখনই দিতে বললেন, কি জরুরী কথা আছে। পেশকার একখানা চিঠি ধনিষ্ঠার সাম্নে রেখে মিলে । ধনিষ্ঠ হাতীর দাতের ফারফোর জাফরীকাটা একখানা কাগজ-কাট ছুরী দিয়ে সেই চিঠি কেটে চিঠি বার কয়ে' পড়ঙ্গে লাগল— মহামহিমাময়ী রাণী শ্ৰীমতী ধনিষ্ঠ দেবী মহোদয়ার সমীপে বহুল সন্মান ও বিনয়পূর্বক নিবেদন, বিশেষ প্রয়োজনীয় কোনো কারণবশতঃ আমি আর মহাশয়ার আশ্রয়ে থাকিয়া কৰ্ম্ম করিতে অক্ষম হইয়া পড়িয়াছি । অতএব অধীনের বিনীত মিবেদন এই অধীনকে আদা গুইতেই কৰ্ম্মে অবসর গ্রহণ করিতে অকুমতি দিয়া অনুগ্রহ প্রদর্শন করিবেন। আমি কাহাকে আমার কৰ্ম্মের ভার বুঝাইয়া দিয়া অব্যাহতি লাভ করিব তাঙ্গও জানিবার অনুমতি প্রার্থনা করি। আমি আজক্ট বামুন্দিয়া পরিত্যাগ করিয়া যাইবার অল্পমতি প্রার্থনা করিতেছি । এবং গৌরীকে সঙ্গে লইয়া যাইতে অনুমতি করিলে অযুগুইীত হইব । গৌরীকে আপনি অনুগ্রহ করিয়া যে-সব অলঙ্কারাদি বহুমূল্য সামগ্রী পহার দিয়াছেন, তাহ! এখন আপনার নিকট রাখিলেই আমুগৃহীত হইব। গৌরীর বিবাহ হইয়া গেলে আপনি সংবাদ পাইবেন ; তখন ইচ্ছা হয় তাহাকে আপনার যাহা দেয় দিবেন । আপনি আমার উপর যে অনুগ্রহ ও করুণা বর্ষণ করিয়া সম্মাণিত করিয়াছেন তাহার জন্ত আজীবন কৃতজ্ঞ থাকিব । আজ্ঞাধীন ভৃত্য ঐ অনল ঘোষাল । চিঠি পড়তে পড়তে ধনিষ্ঠার মুখে হৃদয়ের সমস্ত রক্ত গিয়ে জড়ো হলে, তার হৃৎপিণ্ড বেদনায় টনটন করতে লাগল। তার মনে হলো এই আকস্মিক আঘাতে তার