পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪৩

ه لاولم [ २५° छां★, २भ्रे ५७ متعاع سدس-سس------------------- ح - ساساطعصته মতপরিবর্তন ও স্বমতি হইলে দ্বিতীয়বার স্বয়ম্বর সভা করিবেন, সেইজন্ত অতিথি প্লাজাদের আরও কয়েকদিবস থাকিতে আজ্ঞামিশ্রিত অনুরোধ করিয়াছিলেন ; তাহারাও অপেক্ষা করিতে স্বীকৃত হুইয়াছিলেন । সংযুক্তার মাত, মহারাণী জ্যোৎস্ন, কন্যাকে নানা কথায় তিরস্কার করিলেন ; পরে বলিলেন, "তোর ব্যবহারে তোর পিতার মানসন্ত্রম নষ্ট হইয়া গেল, রাজাদের সমাজে মুখ দেখানে ভার হইল। তুই কি নিৰ্ব্বোধ ! সভাতে এত বড়-বড় রাজা থাকিতে তুই কিনা তোর পিতার পরম শত্রু ও অপমানকারী, আমাদের বংশের শক্র, অকারণে ও অধৰ্ম্ম যুদ্ধে তোর খুল্লতাত ঘাতকের মুর্ভিকে বরণ করিলি ?” গৰ্ব্বিভা সংযুক্ত এতক্ষণ চুপ করিয়াছিল, মাতার তিরস্কার-বাক্য অগ্রাহ করিয়া কানে তোলে নাই, এখন এই কথাগুলি শুনিয়া উত্তেজিত হইয়া বলিল, “মা তুমি ভুলিতেছ, আমি যে-লে সাধারণ বালিকা নহি, আমি চক্রবর্তী রাজা জয়চন্দের কস্তা, যে-রাজা অজুলী হেলাইলে সে আদেশ সমুদ্রতীর হইতে হিমালয় পৰ্যন্ত নভশিরে মান্ত করে, আমি সেই সম্রাটু জয়চন্দের কন্যা, যাহার দ্বারে সর্বদা অগণিত ছত্র ও মুকুটধারী ক্ষত্রিম্বর নিষ্কোষিত অধিহস্তে প্রহরীর কার্য্য করে, আমি সেই দিগ্বিজয়ী বীর জয়চন্দের কথা। তুমি বলিত্তেছ, এত বড় রাজা আসিয়াছেন, কিন্তু আমি ভ সভাতে একটি৪ রাজা দেখিতে পাইলাম না। আমার চক্রবর্তী পিতার হুঙ্কার শুনিয়া যে কুকুরগুলা ভয়ে লIfজ শুটক্রিয় আমাদের স্বারে আসিয়া বসিয়াছে, আমি জয়চন্ধের কন্যা হইয়া, কোন লজ্জায় তাহাদের মধ্যে কাহারও দাসী হুষ্টতে যাইব? তাহ! ত জীবন থাকিতে পারিব না। যে সিংহ আমার পিতার মত রাজচক্রবর্ভার নিমন্ত্ৰণ-পত্রবাহক দুস্তকে অবজ্ঞা করিয়া ভাড়াইয়া দিতে সাহস করিয়াছে, কেবল সেই বীর আমার স্বামী হইবার উপযুক্ত পায়। যদি কখন তাহাকে পাই, তবে তাহার দাসী হইব, নতুবা কুকুরী হওয়া অপেক্ষ কুমারী জীবনই কার্টাইব ।” এ উক্তির উপর আর কোনও-প্রকার তর্ক চলে না, অতএব জয়চন্দ্র রাগ করিয়া কস্তাকে গঙ্গাতীরের এক প্রাসাদে জয় কয়েকটি দাসীর সহিত আবদ্ধ করিয়া রাখিলেন। কিছু কাল পরে, কনোজ হইতে কোনও পথিক দিল্লীতে গিয়া পৃষ্ঠীকে এই গল্প শুনাইল । পৃথ্বী ছদ্মবেশে কনোজে আসিয়া অন্ততঃ একবার এই অদ্ভুতচরিত্রা তেজস্বিনী ও গৰ্ব্বিতা ংযুক্তাকে দেখিবার জন্য উৎসুক হইলেন। চন্দ প্রথমে রাজাকে ছদ্মবেশে সঙ্গে লইয়া যাইতে সাহস করেন নাই,কিন্তু পৃথ্বীকে নিরস্ত করিতে না পারিয়া স্থর ও মন্ত্রীদের পরামর্শ করিতে বলিলেন, ভাবিলেন, তাহার কখনই এমন দুঃসাহসের কার্যের অম্বুমোদন করিবে না। চম্বের পরামর্শ-মত পৃথ্বী আপনার স্বর ও মন্ত্রীদের ডাকিয়া সকলের মত জিজ্ঞাসা করিলেন। সোমেশ্বপ্ন পৃথ্বীর বাল্যকাল হইতে একশত আট জন সঙ্গী করিয়া দিয়াছিলেন, ইহারা সকলেই সদ্বংশজাত বীর ও সাহসী যোদ্ধ, ইহারাই পৃথ্বীর প্রসিদ্ধ "অষ্টোত্তর স্বর” নামে পরিচিত। পৃথ্বীর এক জ্ঞাতি খুল্লতাত—কহ্নকাকী—এই স্বরদের মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষা বলবান ও সাহসী ছিলেন । তিনি স্বরদের প্রধান বানায়ক বিবেচিত হইভেন ! ইহাদের বাহুবলে পৃথ্বী এত বলীয়ান ছিলেন, যে ধতই বলবান শক্ৰ হউক না কেন, তিনি তাহার সহিত যুদ্ধ করিতে চিস্ত না করিয়াই মুহূৰ্ত্ত-মধ্যে প্রস্তুত হইতেন। সকলেই ছদ্মবেশে যাইতে নিষেধ করিলেন, বলিলেন “একজন রাজার এপ্রকার ছদ্মবেশে সেবক সাজিয়া যাওয়া উচিত নহে। ইহা ছাড়া তোমার মতন প্রসিদ্ধ রাজাকে জয়চন স্বয়ং কখন দেখেন নাই বটে,- কিন্তু সভার কেহই চিনিতে পরিবে ন, ইহা কিরূপে সম্ভব হইতে পারে?” পৃথ্বী বলিলেন, "একজন ব্রাহ্মণ কবির পানদানবাহক সেবককে প্রসিদ্ধ বীর ও বিস্ত ত রাজ্যের অধিকারী পিথোৱা বলিয়া সন্দেহ করিতে পারে, এমন মুখ কোথায় পাইবে " যখন সকলে পৃথ্বীকে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ দেখিলেন, তখন বলিলেন,"একান্ত যদি যাওয়া স্থির করিয়া থাকে, তবে আত্মরক্ষার জন্য প্রস্তুত হইয়া চল ।” পৃথ্বী আপনার সঙ্গী অষ্টোত্তর স্বর ছাড়া ঐ স্থরদের সমকক্ষ, মৃত্যুভয়হীন যোদ্ধ, ১১•• এগার শত বাছা-বাছা বীর অশ্বারোহী সঙ্গে লইলেন। তাছার স্বর ও অশ্বারোহী প্রত্যেকে ৫৭১ জন আপনাদের সমকক্ষ বীর, আপনার-আপনার আত্মীয়-কুটুম্ব সঙ্গে লইল । ইহা ছাড়া প্রত্যেক অশ্বারোহীর জন্ত, এক-একটি ধরিলেও,