পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] ঢাকা মু্যনিসিপালিটির অভিনন্দনের উত্তর ᏑᏓᎵᎼ প্রকাশ করেছি। তা’র কারণ কেবল এই অভ্যস্ত বাহুল্য কথা নয় যে, দেশের হিতসাধনের চেষ্টায় tদশের অভাব ও দুঃখ দূর হতে পারে, তা’র আর-একটি গুরুত্তর কারণ এই যে, দেশের রাজ-শক্তির সঙ্গে যদি ব্যবহার করতে হয় তবে সেটা ভিক্ষুকের মতো করলে চলে না। আত্মশক্তিত্ত্বারা দেশকে যে-পরিমাণে অম্বিত্ত করতে পাৰ্বল সেই-পরিমাণেই রাজশক্তির সঙ্গে সমকক্ষভাবে আমাদেব ব্যবহার চলভে পারবে । একপক্ষে কেবল প্রার্থণা অন্তপক্ষে কেবল দাক্ষিণ্য, এর মাঝখানে যে ফাক সেট। অসীম । সে আমাদের আত্মাবমাননার প্রকাগু গহবর। তথনকার কালের রাষ্ট্রীয় উদ্যোগগুলি দুই অসমানের মিলনের সেতু নিৰ্ম্মাণ করতে লেগেছিল। আমি তখন বলেছিলাম, আসাম্যের মিলন অসম্মানের মিলন । তথনকার দেশহিতৈষীরা এই ব্যাপারে আমাকে কৰ্ম্মনাশ। ব’লে মনে-মনে বিরক্ত হয়েছিলেন। সংশয় ছিল, একথা হয়ত আপনার ভূলে গিয়ে থাকৃবেন। ভোলেননি জেনে আমি ধন্ত হয়েছি । আমার পরিচয় বর্ণনা করে আপনার আরো-একটি কথার আভাস দিয়েছেন, সেও আমার পক্ষে আনন্দের বিষয় । আমি বলেছিলাম ভিক্ষা নেবো না, নিজের শক্তিকে উদ্বোধিত করার দ্বারাই নিজের দেশকে অধিকার কবুব, এরই সঙ্গে আরো-একটি কথা জাপনিই এসে পড়ে, সে হচ্চে এই যে শুধু যে নেবো না তা নয়, দেবো। যে দিকে নিজের দারিদ্র্য আছে, অজ্ঞান আছে , অস্বাস্থ্য আছে, সেদিকে অভাবপূরণের জন্ত নিজের শক্তি সচেষ্ট হ’য়ে থাকৃবে, কিন্তু যেদিকে আমাদের পূর্ণতা সেদিকে দেবার দায়িত্বই আমাদের। আমরা যে বৰ্ব্বর , নই তা’র প্রমাণ দিভে হ’লেই ঐশ্বর্ষ্যের পরিচয় দিতে হবে। সে পরিচয় ত দানের দ্বারা। আমাদের পূর্বপুরুষেরা মান্থযকে এমন-কিছু निts cत्रंटाइन या $ि१कारणब्र नान ; अश्झांब्र कद्भवांब्र বেলায় সে-কথা আমরা বলি, ব্যবহার করবার বেলায় সেকথা আমরা তুলি, তাতেই ত আমাদের পিতামহদের গৌরবকে স্নান ক’রে দিয়ে থাকি। তারা বলেছিলেন चांष्ट्ररू गर्विड: चांश-अरु छांग्नश्रl cथ८क ग़यांदे जांभांtषद्ध بتا- لا : د: কাছে আনক । এতবড় নিমন্ত্রণ কোনো দরিদ্র করতে পারে না । তাদের সেই নিমন্ত্ৰণ ত কেবল তাদের কালের নয়, সে চিরকালের,—তাকেই কি আজ আমরা ব্যর্থ করতে বস্ব ? আজ কি দ্বার বন্ধ ক'রে এই কথাই বলতে হবে যে, আমদের যা আছে তাতে আমাদের নিজেরই চলে না, বলতে হবে পিতামহদের আমন্ত্ৰণ কালের সীমা উত্তীর্ণ হ’য়ে গেছে, আজ আমাদের নিরবচ্ছিন্ন দুৰ্গতি ! যদি আমার দেশের অধিকাংশ লোকেই এমন কথা বলে, তবুও আমার দেশের হয়েই, সেই অধিকাংশ লোকেরই প্রতিবাদ করব, ভারতবর্ষের পূর্ণ ভাওরের দ্বারে দাড়িয়ে বল্ব, আয়ন্ত সৰ্ব্বতঃ স্বাহ। আজ পৃথিবীব্যাপী দুঃথের দিনে মানুষ বল চে, শান্সি চাই। একদিন ভারতবর্ষ আত্মার মধ্যে শাস্তির মন্ত্র শুনেছিল । একদা দেশে-বিদেশে সমুদ্ৰপৰ্ব্বভ লঙ্ঘন ক’রে ভারতবর্ষ শান্তিমন্ত্র প্রচার করেছিল । ভারতবর্ষ সেদিন দূরদেশে পণ্য বিক্রয় করতে যায়নি, দেশজ করতে যায়নি, অন্তরে যে সম্পদ সে আবিষ্কার করেছিল সেই সম্পদ দান করবার পরম অধিকার প্রকাশ করতে সে গিয়েছিল। তা’র সেই সম্পদ কখনো কি নিঃশেষ হ’য়ে যেতে পারে ? বিশ্বযজ্ঞের আয়োজন ভারতবর্ষে আজ কিছুষ্ট কি বাকি নেই ? অথচ মানুষের সংসারে দূরত্বের ব্যবধান প্রতাহ সঙ্কীর্ণ হ’য়ে এসেছে,—আমরা ইচ্ছা করি আর না করি বিশ্বপূথিবী আমাদের দ্বারে এসে উপস্থিত ; আজকের দিনে তারাই ধন্ত সকল মাস্থ্যকে আতিথ্যে ডাকুবার মতো সাহস ও সম্বল যাদের আছে । তাদের নেই ষার বিষয়ী, যার স্বার্থকেই একাস্ত ক’রে জানে, জাতীয় অহমিকায় যার উন্মত্ত । কিন্তু এমন কথা যারা বলেছেন, আপনাকে সকলের মধ্যে ন জানলে সত্যকে জানা হয় ন৷ তাদের আতিথ্যের অন্ত নেই, তাদের অতিথিশালার দ্বার কখনই রুদ্ধ হ’তে পারে না । তাই আমি অতিথিবৎসল ভারতবর্ষের নামে তার হয়ে অতিথিশালা প্রতিষ্ঠার ভার নিয়েছি । এই জন্তে আমি আপনাদের সকলের কাছেই দাবী করতে এসেছি । সকলের অন্নে সকলের সম্মিলিত আয়োজনে তবেই ত এই অতিথিশালা ভারতের হতে পারে? এ গৌরব যদি আমার একগার হয়, তবে তাতে