পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] মুক্তিলাভ ԵրՑ দাড়াইয়াছে। ভগবান, রক্ষা করে, চিরপ্রার্থিত মুক্তি হইতে বঞ্চিত করিও না, তাহাকে পরিত্রাণ করে। এই ছেলেটিকে কোথাও দিবার জন্ত রতনদাস ভারি शाख झ्झेब्रां ॐfठेण । ( २ ) এই কয়মাসের মধ্যে নিমাই গ্রামের সব চিনিয়া ফেলিয়াছে । ছেলেটি ভারি শান্তস্বভাবের ছিল, কথাবার্তাও তাহার বড় স্বন্দর ছিল ; সেইজন্য সে সকলেরই মনজরে পড়িয়া গিয়াছিল। তাহাকে যতটা দূরে রাখা হইবে ভাবা হইয়াছিল, ততটা দূরে সে রহিল না ; দিনদিন যেন সে গ্রামের লোকের খুব কাছে আসিয়া পড়িল । to প্রতণদাস তাহাকে কোথাও বিদায় করিয়া দিবার জন্ত ধে অস্থির হইয় উঠিয়াছে, তাঙ্গ সে একটুও জানিতে পারে নাই। রতনদাসের গম্ভীর মুখখান দেখিয়া সে আর ততটা সাহস করিয়া তাহার কাছে ঘেঁসিতে পারে মাই, সে রকম অসঙ্কোচে কথাও বলিতে পারে নাই । রতনদাস তাহাকে খাইতে দিত, সে-রকম জোর করিয়া আর ধরিয়া খাওয়াইত না। অাগে নিজের কাছেই তাহাকে শোয়াইত, এখন একটু তফাতে তাহার বিছানা করিয়া দেয় । ছেলেমাস্থ্য, রাত্রে একদিন ভয় পাইয়া কাদিয়া বলিয়াছিল,—‘বাবা', আমি তোমার কাছে আগেকার মতন শোবো।” রতনদাস খুব জোরে একটা ধমকু দিয়া উঠিতেই সে ভয়ে চুপ করিয়া গিয়াছিল। আসল কথা—রতনদাস আর এই পরের ছেলের মায়ায় জড়াইবে না। ভগবান তাহাকে সংসারের নিয়মানুসারেই বাধন পরাইয়া দিয়াছিলেন, আবার একেএকে নিজের হাতেই সকল বাধন খসাইয়া দিয়াছেন, এখন স্বেচ্ছায় আর মায়ার বাধনে পড়িতে সে চায় না । ছেলেটার পানে সমস্ত দিন আর সে চোখ তুলিয়াও চায় না। রাত্রে পৃথক বিছানায় গুইয়া পড়িয়া সে ঘুমাইয়া পড়ে, রতনদাস এক ঘুম দিয়া উঠিয়া প্রদীপ জালাইয় তামাক খাইতে-খাইতে অস্তমনস্কভাবে তাহার পানে চাহিয়া ভাবে--বেচারাকে ওখানে শোওয়ানো উচিত नष्क्ष् । cछ्रणभांछ्ष,-छब्र श्रृंहेिञ्च ब्रांप्ज खेटैिब्रl *८फ़, সে-সময়ে তাহার গায়ে হাত থাকিলে সে নিশ্চিন্তভাবে তাহার বুকের মধ্যে মাথাটা রাখিয়া আবার ঘুমাইয় পড়ে। একদিন ধমক খাইয়। সে আর র্কাদিতে পারে ন, ভাকিতে পারে না, ভয়ে-ভয়ে উপুড় হুইয়া পড়িয়া হুই হাতে বালিশটাকে আঁকড়াইয়া ধরিয়! আবার ঘুমাইয়া পড়ে। আহা, এরকম করাটা কি রতনদাসের উচিত হইতেছে ? ও ষে নেহাৎ ছেলেমান্বষ—” ভাবিতে-ভাবিতে চট্‌ করিয়া মনে জাগিয়া উঠে রঞ্জি ভরতের কথা। না না, এ তফাতেই থাক, বুকের মধ্যে পরের ছেলেকে অঁাকৃড়াইয়া ধরিয়া কাঙ্গ নাই । এই ধে সমস্ত ভালোবাসাটা দিয়া সে এই ছেলেটিকে ধরিবে,তাহার পর সে পরের ছেলে যখন চলিয়া যাইবে তখন তাহার উপায় কি হইবে ? ভগবানের নাম করা ধাইবে না, এই পবের ছেলেটার ভাবনায় সে সব ভুলিয়া যাইবে --- মনটা তাহার নিমিষে কঠিন হইয়া উঠিত, সে জোর করিয়া দৃষ্টি ফিরাইয়া আনিয়া অন্যদিকে চাহিত, আলে৷ নিভাইয়া দিয়া সে শুইয়া পড়িত। জোর করিয়া ভগবানের নাম করিতে চাহিত-এ-বাধম দিয়ে না প্ৰভু ! - • স্থায় রে! এই নামের মধ্যে-প্রার্থনার মধ্যে মনে হইত বেচার অদূরে বিছানার উপর একৃলাটি পড়িয়া আছে। এই অন্ধকারে ঘুম ভাঙিয়া গিয়া সে ওয়ে তাহাকে ডাকিত না । খড়ফড় করিয়া উঠিয়া সে আলে। জালিয়া দিত। বেচারা শিশুটিকে সব হইতে বঞ্চিত করিতে তাহার প্রাণে বড় ব্যথা বাজিত । সে ত সব রকমে তাঁহাকে দূরে রাখিয়াই চলিতেছে, একটা আলো—তা জালাইয়া রাখিতে দোষ কি ? পরের গরু আসিয়া তাহার চোখের সাম্নে বাগানের বেড়া ভাঙিয়া ফেলিল, মাচার উপর লাউগাছ, কুমড়-গাছ ফলেস্কুলে ভরিয়া উঠিয়াছিল, তাহার সম্মুখে সেই গাছগুলি খাইতে লাগিল ; সে দেখিল, কিন্তু তাড়াষ্টল না, নিমাই গঙ্ক তাড়াইয়া দিতে গেল,—রতনদাস বঁাশ লইয়া তাহাকে তাড়া করিয়া গেল—“খাচ্ছে থাকু না কেন, তোর তাতে কি, কেন তুই গরু তাড়াতে ষাবি ?" কেই বৈরাগী পাশ দিয়া যাইতে-যাইতে আমন স্বন্দর