পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যৰ ] তখন"অন্ত পক্ষ ধর্শ্ব-বুদ্ধির দোহাই পাড় লে। অর্জ সকল পক্ষই বিষের সন্ধানে উঠে পড়ে লেগেছে। যুদ্ধকালে নিরস্ত্র পুত্ববাসীদের প্রতি আকাশ থেকে অগ্নিবাণ বর্ষণ নিয়ে প্রথমে শোনা গেল ধৰ্ম্ম-বুদ্ধির নিন্দাবাণী। আজ দেখি ধাৰ্ম্মিকেরা স্বয়ং সামান্য কারণেই পল্লীবাসীদের প্রতি কথায় কথায় পাপ-বজ্ৰ সন্ধান করছে। গত যুদ্ধের সময় শত্রুর সম্বন্ধে নানা উপায়ে সজ্ঞানে সচেষ্টভাবে সত্য গোপন ওঁ মিথ্যা প্রচারের সয়তানী অস্ত্র ব্যবহার প্রকাও ভাবে পশ্চিমযাত্রীর ডায়ারী ●_ চলল। যুদ্ধ থেমেছে কিন্তু সেই সয়ুতানী জাজও থার্মে নি। এমন কি, অক্ষম ভারতবর্ধকেও প্রবলের প্রপাগাও রেয়াৎ করে না। এই সব নীতি হচ্ছে সবুর-না-করানীতি—এরা হ’ল পাপের দ্রুত চাল,—এ'র প্রতি পদেই। বাহিরে জিৎছে বটে কিন্তু সে জিৎ অস্তরের মাম্বুজকে হারিয়ে দিয়ে। মানুষ আজ নিজের মাথা থেকে জয়মাল্য খুলে নিয়ে কলের গলায় পরিয়ে দিলে। রাতল থেকে দানব ৰলছে, বাহবা । «F রথীরে কহিল গৃহী উৎকণ্ঠায় উৰ্দ্ধস্বরে ডাকি “থাম’, থাম’, কোথা তুমি রুদ্রবেগে রথ যাও হাকি, সম্মুখে আমার গৃহ ।” রথী কহে, “ঐ মোর পথ,. ঘুরে গেলে দেরী হবে, বাধা ভেঙে সিধা যাবে রথ।” গৃহী কহে, “নিদারুণ ত্বরা দেখে মোর ডর লাগে, কোথা যেতে হ’বে বল’ ” রথী কহে, “যেতে হবে আগে।” “কোনখানে, শুধাইল । রথী বলে, “কোনোখানে নহে,

  • শুধু আগে।”

“কোন তীর্থে, কোন সে মন্দিরে,” গৃহী কহে । “কোথাও না, শুধু আগে।” “কোন বন্ধু সাথে হবে দেখা?” “কারো সাথে নহে, যাব সক আগে আমি মাত্র একা ।” ঘর্ঘরিত রথবেগ গৃহভিত্তি করি দিল গ্রাস ; হাহাকারে, অভিশাপে, ধূলিজালে ক্ষুভিল বাতাস সন্ধ্যার আকাশে । আঁধারের দীপ্ত সিংহদ্বার বাগে বক্তবর্ণ অস্তপথে ছোটে রথ লক্ষ্যশূন্ত আগে ॥ ক ক্রাকোভিয়া জাহাজ– ৯ ফেব্রুয়ারী ১৯২৫ বিষয়ী লোক শতদলের পাপড়ি ছিড়ে ছিড়ে একটিএকটি ক’রে জমা করে, আর বলে “পেয়েছি।” তার সঞ্চয় মিথ্যে । সংশয়ী লোক শতদলের পাপড়ি একটি একটি করে ছি’ড়ে ছিড়ে তাকে কেটে কুটে নিংড়ে মুচ ড়ে বলে “পাইনি।” অর্থাৎ সে উন্টে দিকে চেয়ে বলে, • “নেই ।” রসিক লোক সেই শতদলের দিকে “আশ্চৰ্য্যবং পগুতি।” এই আশ্চর্য্যের মানে হ’ল পেয়েছি পাইনি ছুইই সত্য । প্রেমিক বললে“লাখ লাখ যুগ হিয়ে হিয়ে রাখস্থ তৰু হিয়ে জুড়ন না গেল।” অর্থাৎ বললে লক্ষযুগের পাওয়া অল্পকালের মধ্যেই পেয়েছি আবার সেই সঙ্গেই লক্ষযুগের না-পাওয়াণ্ড লেগেই রইল । সময়ট যে আপেক্ষিক, রসের ভাষায় সে কথাটা অনেকদিন থেকে বলা চলছে, বিজ্ঞানের ভাষায় আজ বলা হ’ল ।