- 5 প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩২ .F فس যখন ছোট ছিলেম, মনে পড়ে বিশ্বজগৎ আমার কাছে প্রতিদিন অন্ধকার রাত্রির গর্ভ থেকে নূতন দেহ ধ’রে জন্ম নিত। পরিচয় আর অপরিচয় আমার মনের , ‘মধ্যে এক হ’য়ে মিলেছিল। আমার সেই শিশুকাল পঞ্চিকর কাল। তখন পথের শেষের দিকে লক্ষ্য খুজিনি, পথের আশেপাশে চেয়ে চেয়ে চলছি, যেন কোন আবছায়ার ভি স্তর থেকে আচমকা দেখা দেবে একটা “কি জানি," একটা “হয়তো।” বারান্দার কোণে খানিকটা ধুলো জড়ো করে আতার বীচি পু’ভে রোজ জল দিয়েছি আজ যেটা আছে বীজ কাল সেটা হ'বে গাছ, ছেলেবেলায় সে একটা মস্ত “কি জানি”র দলে ছিল। সেই কি জানিকে দেখাই সত্য দেখা। সত্যের দিকে চেয়ে যে বলে জানি সেও তাকে হারায়, যে বলে জানিনে সেও করে ভুল, আমাদের ঋষিরা এই বলেন। ধে বলে খুব জানি সেই অবোধ সোন ফেলে চাদরের গ্রন্থিকে পাওয়া --মনে করে, যে বলে কিছুই জানিনে সে তো চাদরটাকে স্বদ্ধ খুইয়ে বসে। আমি ঈশোপনিষদের এই মানেই বুঝি। “জানিনা” যপন “জানির” আঁচলে গঠিছড়া বেঁধে দেখা দেয় তখনি মন বলে ধন্য হলেম । পেয়েছি মনে করার মত হারানে। আর নেষ্ট । এই জন্যেই ਾਂ ধেমন-ক’রে হারিয়েছে এমন আর যুরোপের কোনো জাত নয়। ভারতবর্ষের মধ্যে যে-একটা চিরকেলে রহস্য আছে সেট। তার কাছথেকে স’রে গেল । তার ফৌজের গাঠের মধ্যে যে বন্ধটাকে কযে বধিতে পারলে সেইটেকেই সে সম্পূর্ণ । ভারতবর্ষ ব’লে বুক ফুলিয়ে গদীয়ান হ’য়ে বসে রইল। ভারতবর্ষ সম্বন্ধে তার বিস্ময় নেই, অবজ্ঞা যথেষ্ট আছে । রাষ্ট্রীয় স্বার্থের বাইরে ইংরেজ ভারত সম্বন্ধে যত অল্প আলোচনা করেছে এমন ফ্রান্স করেনি জৰ্ম্মণি করেনি । পোলিটিশনের চশমার বাইরে ভারতবর্ষ ইংরেজঞ্জাভির গোচরে আছে একথাটা তার দৈনিক সাপ্তাহিক মাগিক কাগজ পড়ে দেখলে বোঝা যায় না। এর একমাত্র কারণ, ভারতবর্ষে ইংরেজের প্রয়োজন অষ্ট্যৰ বেশি। প্রয়োজন সাধনের দেখা নিছক পাওয়ারই [ ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড দেখা, তার মধ্যে না-পাওয়ার আমেজ মেই।” এই জন্তেই একে সত্যের দেখা বলা যায় না। এই দেখায় সত্য নেই ব’লেই ত’তে বিস্ময় নেই, শ্রদ্ধা নেই । প্রয়োজনের সম্বন্ধ হচ্ছে কেবলি গ্রহণের সম্বন্ধ, তাতে লোভ আছে আনন্দ নেই। সত্যের সম্বন্ধ স্থচ্ছে পাওয়া এবং দেওয়ার মিলিত সম্বন্ধ, কেননা আনন্দই মন খুলে দিতে জানে । এই কারণেই দেখতে পাই ভারতবর্ষের প্রতি ইংরেজের ব্যক্তিগত বদান্ততার অদ্ভুত অভাব o একথা নিয়ে নালিশ করা বৃথা, এইটেই স্বাভাবিক। ইংরেজের লোভ যে-ভারতবর্ষকে পেয়েছে ইংরেজের আত্মা সেই-ভারতবর্ষকে হারিয়েছে। এইজন্যেই ভারতবর্ষে ইংরেজের লাভ, ভারতবর্ষে ইংরেজের গৰ্ব্ব, ভারত্ন বর্ষে ইংরেজের ক্লেশ । এষ্টজন্তে ভারতবর্ষকে স্বাস্থ্য দেওয়া, শিক্ষা দেওয়া, মুক্তি দেওয়া সম্বন্ধে ইংরেঞ্জের ত্যাগ দুঃসাধ্য, কিন্তু শাস্তি দেওয়া সম্বন্ধে ইংরেজের ক্রোধ অত্যন্ত সহজ। ইংরেজ ধনী বাংলা দেশের রক্তনেংড়ানো পাটের বাজারে শতকবা চার পাচশো টাকা মুনফা শুষে নিয়েও যে-দেশের স্বর্থ স্বচ্ছন্দতার জন্তে এক পয়সাও ফিরিয়ে দেয় না, তার দুভিক্ষে বন্যায় মারী মড়কে যার কড়ে আঙুলের প্রান্তও বিচলিত হয় না, যখন সেই শিক্ষাহীন স্বাস্থ্যহীন উপবাসক্লিষ্ট বাংলাদেশের বুকের উপর পুলিসের জাত বসিয়ে রক্তচক্ষু কর্তৃপক্ষ কড়া আইন পাস করেন তখন সেই বিলাসী ধনী স্ফীত মুনফার উপর আরামের আসন পেতে বাহবা দিতে থাকে, বলে “এই ও পাব চালে ভারত শাসন * এইটেই স্বাভাবিক। কেননা ঐ ধনী বাংলা দেশকে একেবারেই দেখতে পায়নি, তার মোটা মুনফার ওপারে বাংলাদেশ আড়াল পড়ে.গেছে। বাংলাদেশের প্রাণের নিকেতনে যেখানে ক্ষুধাতৃষ্ণার কাল্পী, বাংলাদেশের হৃদয়ের মাঝখানে যেখানে তার সুখদুঃখের বাসা, সেখানে মানুষের প্রতি মানুষের মৈন্ত্রীর একটা বড় রাস্ত আছে, সেখানে ধৰ্শ্ববুদ্ধির বড় দাবী বিষয়বুদ্ধির গরজের চেয়ে বেশি একথা জানবার ও ভাববার মতো তার সময়ও নেই শ্রদ্ধাও নেই। তাই যখনি দেখে ঘরোয়ুনীর ব্যবস্থা कt*ांब्रङइ कब्र झटक्क डथनि यूनक-द९नएलब्रां शूलकिङ रु'रब्र
পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।