পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] চাকের মতন হ’য়ে উঠল—বাহিরে দিব্য নিরীহ, fকন্তু ভিতরে বিষ-মক্ষিকার প্রচ্ছন্ন গুsরণ। কোট্‌ অব ওয়ার্ডসের কবল থেকে জমিদারী নিষ্কৃতি ਮਿਕ আনন্দ-উৎসবে ভূরিভোজন ও নগদ দক্ষিণ লাভ করে পরম সন্তুষ্ট হ’য়ে গ্রামবাসীদের মিন্দা-রটনার উগ্র পৃষ্ঠাটা আর একবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে চাচ্ছিল, কিন্তু পরের দ্বাদশীতেই বিধবা ধনিষ্ঠার পারণউপলক্ষে গ্রামের দ্বাদশটি ব্রাহ্মণের নিমন্ত্রণ হওয়াতে ব্রাহ্মণদের অন্তত মনের বাসনা মনের মধ্যেষ্ট চেপে রাখতে হ’ল; কারণ দ্বাদশার সংখ্যা মাসে দুটা এবং গ্রামে ব্রাহ্মণের সংখ্যাও খুব অধিক নয়—প্রত্যেকেই পালার প্রত্যাশ৷ রাখে ; জমিদার-বাড়ীর ভোজে মুখ খুলবার লোভে ব্রাহ্মণরা এখন মুখ বুজ তে বাধ্য হ’ল । যে দ্বাদশ জন ব্রাহ্মণ নিমন্ত্রিত হ’ল তাদের কয়েক জন ধনিষ্ঠারই কৰ্ম্মচারী এবং তাদের অন্যতম অনল । ধনিষ্ঠ নিজে দাড়িয়ে থেকে ব্রাহ্মণভোজন করিয়ে দক্ষিণাস্ত কবুলে। ব্রাহ্মণের ধনবৰ্তী যুবতী বিধবার এই ধৰ্ম্মনিষ্ঠা দেখে ধন্য-ধন্ত কবৃতে-কবৃতে বিদায় হ’ল । কেবল কোনো কথা বললে a། গম্ভীর অনল ; তবু তার প্রসন্ন মন চুপি চুপি বলছিল—কত্রীঠাকুবাণীব ব্রাহ্মণে ভক্তি অক্ষয় হোক, আমি এক-ঘেয়ে ভাতে-ভাত-খাওয়া মুখটা মাঝেমাঝে বদলে নিই। o অনঙ্গ কলির ব্রাহ্মণ হ’লেও তার মানসিক আশীৰ্ব্বাদ ধে অমোঘ তার পরিচয় আবাব পনেরো দিম পরেই ফিরে’ দ্বাদশীতে পাওয়া গেল । এবার পূৰ্ব্ব দ্বাদশীর নিমন্ত্রিত একাদশ ব্রাহ্মণকে বাদ দিয়ে অপর একাদশকে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে, কিন্তু দ্বাদশ সংখ্যা পূর্ধণ করছে অনল । ব্ৰাহ্মণরা যখন ভোজন শেষ করে’ এনেছে এবং তাদেব পাতে দই-সন্দেশ দেওয়া হচ্ছে তখন মাধবী দাসী ব্রাহ্মণদের উদ্বেশ করে’ বলে উঠ ল—এই চন্ধরপুলি আর মনোতর রাণীমা নিজের হাতে তৈরী করেছেন । অম্নি ব্রাহ্মণের সেই দুষ্ট মিষ্টায়ের তারিফ করতে মুখর হয়ে উঠল, যারা তখনও ভেঙে মুখে দেয়নি এবং এমন-কি যাদের পাতে তখনও সন্দেশ পড়েনি তারা পৰ্য্যন্ত মিষ্টায়ের মহিমা কীৰ্ত্তনে যোগ দিলে ; কেবল नझेछठम ఫె> k একটিও 'কথা বললে না অনল, কিন্তু সে খেলে সকলের চেয়ে বেশী । একজন ব্রাহ্মণ হেসে অনলকে বললে—অনল-বা, রাণীমার নিজের হাডের তৈরী সন্দেশ +েমন হয়েছে আপনি ত কিছু বললেন না ? o অনল ঈষৎ হেসে বললে--একে ত কথা বলবার অবসর নেই, বাগ ফক্স এখন রসন হ’য়ে অন্য কৰ্ম্মে ব্যাপৃত, তার উপর আবার বাক্যের চেয়ে ব্যবহারের প্রমাণটাকেই আমি প্রধান মনে করি । অনলের কথা শুনে অপর ব্রাহ্মণের উচ্চারবে হেসে উঠল, এবং ধনিষ্ঠ। লজ্জা পেয়ে রাঙা মুখ নত করে চোখের কোণ দিয়ে একবার অনলকে দেখে নিলে । দুদিন পরেই আবার শিবরাত্রির পারণ। আবার দ্বাদশ ব্রাহ্মণের নিমন্ত্রণ। পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব বারের ব্রাহ্মণের বাদ পড়ে একাদশ নূতনের নিমন্ত্রণ হ’ল ; কিন্তু এবারও দ্বাদশ হ’ল অনল । মাসে দুবার কি তিনবাব ব্রাহ্মণদেরকে শুধু থাইয়ে ও কিঞ্চিং দক্ষিণ দিয়ে ধনিষ্ঠার মন তৃপ্ত হতে পারছিল না। ধনিষ্ঠ কুল-পুরোহিতকে ডাকিয়ে গলায় কাপড় দিয়ে ভক্তিভরে প্রণাম করে নিবেদন করলে—আমার এ জন্মের মতন ত কপাল পুণ্ডে’ গেল ; আসছে জন্মটা যাচ্ছে এমন দুঃখ না পাই, তার ব্যবস্থা আপনাকে করে’ দিতে হবে । আমি ত্রত-নিয়ম দান-ধ্যান করতে চাই । আfমর্ণবধবা মাছুয, এক মুঠি আলো চাল হ’লেই আমার যথেষ্ট, এত টাকা নিয়ে আমি কবুব কি ? ২। আমি হাতে তুলে দিতে পারব, তাই আমার পর-সন্মের জন্যে স্তোল। থাকবে । পুরোহি ঠাকুব ভার ধর্মী ধজমানের শুভমতির পরিচয় পেয়ে স্বপ্রসন্ন মুখে পুম্পিত্যগ্র টিকি ছলিয়ে বললে –এ মা তোমারই উপযুক্ত কথা ! হবে না কেন ?—যেমন শ্বশুর-কুল তেমনি পিতৃকুল ! তোমাব ধৰ্ম্মনিষ্ঠাতে দুই কুলই উজ্জল হবে ...•••••• ধনিষ্ঠা নিজের প্রশংসাবাদ শুনে লজ্জিত হ’য়ে বললে— ফেব্রততে আমি খুব দান করতে পারি, এমন একটা ব্ৰত বেছে আমাকে শিগগীর বলবেন।