১ম সংখ্য। ] ৗন বৈরাগী—চলতে চলতেই डाब বা-কিছু পাওয়া। ড়ের রাস্তায় চলতে চলুতে সে হঠাৎ পেয়েছে প্রাণকে, ifণর রাস্তায় চলতে চলতে সে হঠাৎ পেয়েছে মাচযকে । লাঁ বদ্ধ কুরে যদি সে জমাতে থাকে তা হ’লেই হুষ্টি ’য়ে ওঠে জঞ্জাল । তখনি প্রলয়ের ঝাটার তলব ড়ে । ● বিশ্বের মধ্যে একটা দিক আছে যেটা ভার স্থাবর বস্তুর থাৎ বিষয় সম্পত্তির দিক নয় ; যেটা তার চলচ্চিত্তের নিত্য প্রকাশের দিক । যেখানে আলো ছায়া স্বর, যেখানে মৃত্য ীত বর্ণ গন্ধ, ধেখামে আভাস ইঙ্গিত । ধেগানে বিশ্ববাউলের ক তারার ঝঙ্কার পুথের বঁাকে বাকে বেঞ্জে বেজে ওঠে, যখানে সেই বৈরাগীর উত্তরায়ের গেরুয়া, রঙ বাতাসে fতাসে ঢেউ খেলিয়ে উড়ে যায় । মাতুষের ভিতরকার বরাগীও আপন কাব্যে গানে ছবিতে তারি জবাব দিতে তৃে পথে চলে, তেমনিতরোই গানের নাচে রূপের সের ভঙ্গীতে । বিষয়ী লোক আপন খাজাঞ্চিখানায় ব’সে খন তা শোনে তখন অবাক হ’য়ে জিজ্ঞাসা করে, “বিষয়টা ? এতে মুনফা কী আছে, এতে কী প্রমাণ করে ?” পশ্চিম্যাস্ত্রীর ডায়ারী ని , অধরকে ধরার জায়গা সে খোজে তার মুঞ্জ-বাধা থলিতে, তার চামড়া-বাধানো খাতায় । নিজের মনটা যখন ৰুৈরাগী -হয়নি তখন বিশ্ববৈরাগীর বাণী কোনো কাজে লাগে না । তাই দেখেছি খোলা রাস্তার বাঁশিতে হঠাৎ-হাওয়ায় যেগান বনের মৰ্ম্মরে নদীর কল্পোলের সঙ্গে সঙ্গে বেজেছে, ঘে-গান ভোরের শুকতারার পিছে পিছে অরুণ আলোর পথ দিয়ে চ’লে গেল, সহরের দরবারে ঝাড়-লণ্ঠনের আলোতে • তারা ঠাই পেল না ; ওস্তাদের বললে, “এ কিছুই না,” প্রবণের বললে, “এর মানে নেই!” কিছু নয়ই ত বটে, কোনো মানে নেই, সে-কথা থাটি ; সোনার মতো নিকষে কষা যায় না, পাটের বস্তার মতো দাড়িপাল্লায় ওজন চলে না। কিন্তু বৈরাগী জানে, অধর রসেই ওর রস। কতবার ভাবি, গান তো এসেছে গলায় কিন্তু শোনাবার লগ্ন রচনা করতে তো পারিনে ; কান যদি বা খোলা থাকে আনমনার মন পাওয়া যাবে কোথায় ? সে-মন যদি তার গদি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড় তে পারে তবেই তো যা’ বলা যায় না তাই সে শুনবে, যা জানা যায় না তাই সে বুঝ বে। আগুেস জাহাজ ১৮ অক্টোবর আনমনা গে, আনমন, তোমার কাছে আমার বাণীর মালাখানি আনিব না । বাৰ্ত্ত আমার ব্যর্থ হবে, সত্য আমার বুঝবে কবে, তোমারো মন জানব না, আনমনা গো, আনমনা ৷ লগ্ন যদি হয় অমুকুল মৌন মধুর সাঝে, নয়ন তোমার মগ্ন যখন স্নান আলোর মাঝে, দেব তোমায় শাস্তমুরের সাত্বনা, আনমনা গো, আনমনা ৷
পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।