প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩২ [ ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড কতু পথতরুচ্ছায়ে খেলা-ধর করেছি রচনা, শেষ না হইতে খেলা চলিয়া এসেছি অন্তমনা অশেষের টানে ॥ আজি মোর ক্লাস্তি ঘেরি’ দিবসের অস্তিম প্রহর গোধুলির ছায়ায় ধুসর। হে গম্ভীর, আসিয়াছি তোমারি সোনার সিংহদ্বারে যেখানে দিনান্ত-রবি আপন চরম নমস্কারে তোমার চরণে নত হ’ল । যেথা রিক্ত নিঃস্ব দিবা প্রাচীন ভিক্ষুর জীর্ণবেশে নুতন প্রাণের লাগি তোমার প্রাঙ্গণ-তলে এসে বলে “দ্বার খোলো ৷” দিনের আড়ালে থেকে কি চেয়েছি পাইনি উদ্দেশ আজ সে সন্ধান হোক শেষ । হে চির-নিৰ্ম্মল, তব শান্তি দিয়ে স্পর্শ কর চোখ, দৃষ্টির সম্মুখে মম এইবার নির্বারিত হোকৃ আঁধারের আলোক-ভাণ্ডার । নিয়ে যাও সেইখানে নিঃশব্দের গৃঢ় গুহা ত’তে যেখানে বিশ্বের কণ্ঠে নিঃসরিছে চিরন্তন স্রোতে সঙ্গীত তোমার ॥ দিনের সংগ্ৰহ হ’তে আজি কোন অৰ্ঘ্য নিয়ে যাই তোমার মন্দিরে, ভাবি তাই । কত না শ্রেষ্ঠীর হাতে পেয়েছি কীৰ্ত্তির পুরস্কার, সযত্নে এসেছি বহে সেইসব রত্ন অলঙ্কার, ফিরিয়াছি দেশ হ’তে দেশে । শেষে আজ চেয়ে দেখি, যবে মোর যাত্ৰা হ’ল সারা, দিনের আলোর সাথে মান হ’য়ে এসেছে তাহারা তব জনরে এসে।
পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।