১ম সংখ্যা निभांन - ২৯ ভাসিলিও খুব খাটিয়াছে। অবশেষে একটা হাতগাড়িতে ভজ্বাবধায়ক-মহাশয়,ঞ্জাসিয়া পৌছিলেন। ৪ জন লোক ঘণ্টায় ২০ মাইল করিয়া গাড়িটা টানিয়ছে। গাড়িট। ছুটির সেমেনের ফুটারের দিকে আসিল । সেমেন সম্মুখে লাফাইয়া পড়িয়া সামরিক কেতায় অভিবাদন করিয়া বলিল, সব ঠিক। দেখিয়া মনে হইল, সব ঠিক-ঠাক আছে । রেল-কৰ্ম্মচারী জিজ্ঞাসা করিলেন,-“এখানে কি অনেক দিন আছ?” । “মে মাসের দোসর তারিখ থেকে এখানে আছি হুজুর ।” “ੱਛ। বেশ, ধন্যবাদ । আর, ১৬৪ নম্বরে কে আছে ?” • যে-পরিদর্শক তা’র গাড়ীতে একত্র আসিয়াছিল, সে উত্তর করিল—“ভাসিলি ।”
- "ভাসিলি, যার নামে তুমি রিপোর্ট করেছিলে ?”
- ई। ८नड़े !” "আচ্ছা, ভাসিলির চেহারাটা একবার দেখা যাকৃ— এগিয়ে চল ।”
কুলির হাতল ধরিয়া ঝু কিয়া পড়িল—লাইনের নীচে দয়া গাড়ি সা-সা করিয়া চলিল। গাড়িটা যখন অদৃশ্য ইয়া গেল, তপন সেমেন্ মনে-মনে ভাবিল, এদের সঙ্গে মামাদের প্রতিবাসীর একটা যুদ্ধ বাধ বে দেখছি।” আর দুই ঘণ্টা পরে সেমেন রোদে বাহির হইল । সে দেখিল, লাইনের উপর দিয়া ইটিয়া একজন তাহার দিকে মাসিতেছে এবং তাছার মাথার উপর একটা সাদা জিনিস দেখা যাক্টতেছে। সেমেন চক্ষু বিস্ফারিত করিয়া ষ্টহা দেখিবার জন্ত চেষ্টা করিতে লাগিল। দেখিল— ভাসিলি। ভার্সিলির হাতে এক গাছ ছড়ি আছে । একটা ছোটো পুটুলি কাধের উপর দিয়া ঝোলানো রহিয়াছে এবং তাহার একটা গাল সাদা রুমাল দিয়া বাধা । সেমেন উচ্চৈঃস্বরে জিজ্ঞাসা করিল—“কোথায় যাচ্ছ প্রতিবাসী ?” ভাসিলি যখুন আরও কাছাকাছি হইল, সেমেন দেখিল সে খড়িমাটির মতো ফ্যাকাশে হইয়া গিয়াছে, আর চোখ লাল হুইয়াছে। যখন সে কথা কহিতে আরম্ভ করিল, তাহার স্বরভঙ্গ হইল। সে বলিল—“আমি সহরে যাচ্ছি— মস্কেীয়ে—শাসনবিভাগের প্রধান আফুিলে।” * “প্রধান আফিসে ? তুমি নালিশ করতে ধাচ্ছ নকি ? আমি বলছি ভাসিলি, ষেও না। ভুলে যাও–", “না ভাই, আমি ভুলব না। দেখ, আমার মুখের উপর আঘাত করেছে, যতক্ষণ না রক্ত গড়িয়ে পড়ল ততক্ষণ আঘাত করেছে । আমি যতদিন বঁচি, আমি কখনই ভুলব না-তা-ছাড়া অম্নি-অম্নি যেতে দেবে না ।” to সেমেন্ উহার হস্ত ধারণ বরিয়া বলিল—“ছাঁড়ান দেও, ভHসলি । আমি সত্য বলছি, তুমি কোনো প্রতিকার করতে পারবে না ।” “প্রতিকারের কথা কে বলছে ? আমি বেশ জানি আমি কোনো প্রতিকার করতে পারব না। নিয়তির কথা তুমি যা বলেছিলে তাই ঠিক । আমার নিজের বিশেষ কিছুই ভালো করতে পারব ন—কিন্তু কোনো একজনের ত ন্যায়ের পক্ষে দাড়ানো চাই ।” “কিন্তু তুমি কি আমাকে বলবে না, কেমন ক’রে এসব ঘট ল ?” “কেমন ক’রে ঘটল ?—তবে শোনো, তিনি এসে ত সূত্র পরিদর্শন করলেন—এই বলবেই গাড়ীটা এইখানে রেখে দিয়েছিলেন—এমন-কি, আমার ঘরের ভিতরটা পৰ্য্যন্ত দেখলেন। আমি আগে থেকেই জানতুম তিনি খুব কড়া হবেন—তাই আমি সমস্তই বেশ গুছিয়ে রেখেছিলুম। তিনি যখন চলে যাচ্ছেন সেই সময় আমি বেরিয়ে এসে নালিশটা দায়ের কবুলুম। তিনি তখনই অগ্নিমূৰ্ত্তি হ’য়ে ব’লে উঠলেন –এখানে এখন সরকারির পরিদর্শন হবে, আর তুমি কিনা তোমার সব জি-বাগান-সম্বন্ধে নালিশ করতে এলে ? আমরা রাজমন্ত্রীদের জন্ত প্রতীক্ষা করছি, আর তুমি কি সাহসে তোমার বাধা কোপির কথা নিয়ে এলে – আমি আর আত্ম-সংবরণ করতে না পেরে একটা কথা ব’লে ফেললুম-কথাটাও তেমন কিছুই খারাপ নয়—কিন্তু এই কথায় তিনি রেগে উঠে আমাকে মারলেন —এরকম ব্যাপার যেন নিত্যনিয়মিত এখানে হ’য়ে থাকে, এইভাবে আমি দাড়িয়ে রইলুম। ওরা চলে গেলে তার পর