পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ম সংখ্যা ] সভ্যতা দিবসের মান-আলো, কালো হয়ে আসে চারিধার – ক্ষণতরে পরে ধরা মৌন স্তব্ধতার স্থিস্কি মান আবরণ, শাস্ত হ’য়ে আসে ক্ষুব্ধ মন ; আকাশে স্তিমিত তারা গাঢ়তর করে অন্ধকার ; সহসা উঠিল জলি’ বক্ষে শূন্ততার শত-শত বহ্নিদ্বীপ ; আঁধারের ললাটেতে পরাইল অগ্নি-টিপ মায়া জাদুকরী যেন মায়ামন্ত্র-বলে । অমনি হেরিস্থ জলে-স্থলে প্রচণ্ড তাড়না তব, হে সভ্যতা হে চিরচঞ্চল হে বাত্যা প্রবল । যতদূর দৃষ্টি যায়— বিচিত্র আলোর মালা এ-নয়ন ছায়, কতু জলে কহু বা মিলায় রক্ত, নীল, পীত, শ্বেত বিদ্যুতের আলো । ধরণী-গরল-ধোয়া গগনের বক্ষ করে কালো । সারি-মারি হর্থ্যরাজি উচ্চে শির তুলি' ভুলিতেছে ধরণীর ধূলি ভুলিতেছে ভিত্তি নিম্নে মৃত্তিকা-গহবরে ! ধরে-থরে ছুটে প্রাণপণ মহিষের অসংখ্য বাহন— তোমার অপূৰ্ব্ব স্বষ্টি । কোথা কিছু নাহি স্থির যতদুর চলে দৃষ্টি, চলেছে নিখিল বিশ্ব অস্থির চঞ্চল পদক্ষেপে অশান্ত উদ্দাম নৃত্যে ধরা উঠে কেঁপে । গতি-মদে আত্মহারা অবিশ্রাম ছুটিছে তাহারা ; ধনগৰ্ব্বে যন্ত্র-বলে আনিছে সকল স্বষ্টি নিজ করতলে । বিশ্বের সৌন্দর্ঘ্য সব টুটিয়া লুটিয়া চলেছে ছুটিয়া, মুহূৰ্ত্ত দাড়াতে নাহি চায়— কে মরিছে চক্রাঘাতে, ধূলাশায়ী হ’ল কে ঝঞ্চায়, 巴公 পথপাশ্বে কে করে ক্ৰন্দন, • शांब्रिजा-बकन ভিক্ষ-ঝুলি দিল কারে, . মৃত্যুর নিষ্ফল হাহাকারে কে কোথায় হতেছে জর্জর, দেখিবার নাহি অবসর ঝটিকার বেগ তব সম্মুখে ঠেলিছে অনিবার । শুনিতেছি বারম্বার যন্ত্র-তরণীর বংশীধ্বনি গঙ্গাবক্ষ করে আলোড়ন | গগন-প্রাঙ্গণ উঠিছে কাপিয়া থাকিস্বা-থাকিয়া বিচিত্র যন্ত্রের কত বিচিত্র ধ্বনিতে । কে পারে গণিতে এই শব্দ তরঙ্গের মাঝে কোথা বাজে নিখিলের অস্ফুট ক্ৰন্দন আকুল স্পন্দন, "স্তব্ধ মূক প্রকৃতির মৌন ‘হায় হায়, অসীম গগনপ্রান্তে কোথায় মিলায় তোমার প্রচণ্ড ঝঙ্কাঘাতে । তারি সাথে-সাথে শুনিলাম বংশী-ধ্বনি যন্ত্র-কারাগারে নররূপী যন্ত্র যত চলে সারে-সারে ডালি দিতে মনুষ্যত্ব-শেষ-কণাটুকু ওই তব বঁাশীর ইঙ্গিতে । দুর্গগুপে শুনিলাম কামান-গর্জন শূন্যতার বক্ষ চিরি তোমারি তর্জন ক্ষীণপ্রাণ মানুষের ক্ষুদ্র প্রাণ নিতে বিরাট তোমার যন্ত্র ব্যোমমার্গ রহে তরঙ্গিতে। দেখিলাম সারি-সারি তালে-তালে চলে দলে-দলে