3\o প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩২ ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড । করিয়া ব্যাখ্যা কে কৰে করিয়াছে ? প্রাকৃতিক সৌন্দর্ঘ্য মাহুৰ মাত্রেরই মন মুগ্ধ করে । কেননা এইপ্রকারে অনন্ত অসীম তার আনন্দ জাহাদের নিকট ব্যক্ত করিতেছেন, নতুবা এ আনন্দ আমাদের হৃদয়কে স্পর্শ করিত না । প্রেম যদি হৃদয়ে না জাগ্রত হয়, তাহা হইলে সসীমের ভিতর দিয়া অসীমের আভাস আমরা পাইতে পারি না। প্রেমই হইল অসীম ও সসীমের সেতু—প্রেম হৃদয়ে না জন্মিলে ক্ষুদ্র হইতে অনন্তে পৌছিবার আর কোনো পথ থাকে না । ইহাই হইল রবীন্দ্রনাথের গভীর বাণী । অতি ক্ষুত্র-ক্ষুত্র তুচ্ছ ঘটনা যেমন স্বর্ধ্যোদয়, বৃক্ষের ফুল, আত্মীয়-স্বজন, ভালোবাসা, ঘরকল্পার সুখ-দুঃখ, এসব একদিক দিয়া দেখিলে অতি তুচ্ছ, অতি সামান্ত ঘটনা, কিন্তু যেই প্রেম হৃদয়ে জাগে, সৌন্দর্য্য সহজেই উপভোগ করি, চক্ষু খুলিলেই বিনা-চেষ্টায় আনন্দিত হইয়া উঠি-আর তখনি সেই সঙ্গে-সঙ্গে সকল স্থখ, সকল সৌন্দর্ঘ্যের উৎসকে স্বরণ করি । তখন আবার সীমার ভিতর অসীমকে দেখার সাধনা আরম্ভ হয় । সৌন্দর্ঘ্য বোধ ব্যাপারটি অতি স্বাভাবিক হওয়া দরকার ; কেহ কাহাকেও বুঝাইয়া দিতে পারে না, সুতরাং এখানে তর্ক-যুক্তি খাটে না। সৌন্দর্ঘ্য অনুভব করিবার জিনিষ, বুঝাইবার নয় । আবার রবীন্দ্রনাথ বলিয়াছেন যে, অনন্তের ভাবনা প্ৰাণে ঠিক ধরা না গেলেও তা’র আভাসই মানুষকে এমন অনিৰ্ব্বচনীয় স্থখ-শাস্তি আনিয়া দেয়—প্রাণকে এমন সরল স্বন্দর করে যে মাতুষের হৃদয় সেই রসেই বাচিয়া থাকে এবং বৰ্দ্ধিত হয় । ভগবানের অনস্ত স্বরূপ অনেকে উপলব্ধি করিয়াছেন,—এক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ অসাধারণ নন। তিনি বুঝাইয়াছেন অনন্ত কি করিয়া আমাদের নিকট ক্ষণেক্ষণে প্রকাশিত হন, তাঙ্গকে প্রতি ক্ষুত্র পদার্থের ভিতর ক্ষুদ্র ঘটনার ভিতর মধুরভাবে অনুভব করা যায়। ইহা বলিয়াই রবীন্দ্রনাথ ক্ষণস্ত হন নাই—অনন্ত অগম্য যিনি তিনি যে আমাদের কাছে ধরা দিবার জন্ত কি করিয়া নিত্য মনোহরণ বেশে ঘুরিয়া বেড়াইতেছেন, তাহাও রবীন্দ্রনাথ প্রাণ দিয়া অঙ্কুভব করিয়াছেন । "শাস্তিনিকেতনে' আছে – •“একটা জায়গায় আমাদের পাওয়ার পন্থা আছে । সে হচ্চে যেখানে ঈশ্বর স্বয়ং নিজেকে ধরা দিয়েছেন সেখানে আমরা তাকে পাই, কেননা তিনি নিজেকে দিতে চান। ব’লেই পাই। কোথায় পাই ? বাহিরে নয়—প্রকৃতিতে नन्न, विजांनऊरख नग्न, लङिटाङ नग्न-भाई खैौबाणाञ्च । কারণ সেখানে তার আনন্দ, উার প্রেম, সেখানে তিনি নিজেকে দিতেই চান। যদি কোনো বাধা থাকে ত সে আমাদের দিকে—র্তার দিকে নয়।” এইজষ্ঠে যে প্রেমের ক্ষেত্রে ঈশ্বর আমাদের কাছে ধরা দেন—এই ধরা দেওয়ার দরুন তিনি আমাদের কাছে ছোটো হ’য়ে যান না —র্তার পাওয়ার আনন্দ নিরস্তর প্রবাহিত হয়--সেই পাওয়া নিত্যনূতন থাকে।" f আজিকালকার লেথার ভিতর রবীন্দ্রনাথের এই ভাবটি দিন-দিন ফুটতর হইয়া উঠিতেছে। ভগবান কেমন করিয়া আসেন ?— তোরা শুনিসনি কি শুনিসনি তার পায়ের ধ্বনি, সে যে আসে আসে আসে । যুগে-যুগে পলে-পলে দিনরঞ্জনী, সে ষে আসে আসে আসে । গেয়েছি গান যখন যত আপন-মনে ক্ষ্যাপার মতসকল সুরে বেজেছে তা’র আগমনী ; সে যে অসে অাসে আসে । 曾 寧 দুখের পরে পরম দুথে তারি চরণ বাজে বুকে, . স্বণে কখন বুলিয়ে সে দেয় পরশমণি ; সে সে আসে আসে আসে। আমরা কি এমন করিয়া তার নিঃশবাপদসঞ্চারে আসা দেখেছি ? ভগবানকে হৃদয়ে পাইয়া কবি বলিয়াছেন – তিনি প্রাণে না এলে কি এত শোভা হয়েছে জগতে, নইলে কি ফুলের এই রং—আমি ব্যথা পেয়েছিলাম যখন उथन उिनि थांबांच्च ऊँब्रि ~* खानिरग्नरहम । ठू:१মুখের আঘাত দিয়ে ভগবান নানা উপায়ে আমাদের সাধনা করছেন। আমরা যে কেবল তার জন্ত কেঁদে মরি তা নয়, আমাদের মন হরণ করবার জন্ত তিনি নিত্য ভিখারীর
পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।