পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] বারাওরি ধারে গিয়ে চুপ করে বসল। সে বসে-বলে’ দেখতে লাগল তার বাড়ীর প্রকাও হাতাঘের উচু পাচিলের ওপারে স্থবিস্তীর্ণ মাঠ ; সবুজ মাঠের উপর শীত-কালের পড়ন্ত-রৌঞ্জ ফিকে সোনালী আভা ছড়িয়ে দিয়েছে ; এক পাল গরু নিবিষ্ট মনে খুটে খুঁটে ঘাস খাচ্ছে আর সৈন্যদলের সমতালে পা ফেলে চলে যাওয়ার মতন একসঙ্গে অনেকগুলি ল্যাজ দুলিয়ে গায়ের মশামাছি তাড়াচ্ছে ; মাঠের মাঝখানে পত্ৰহীন নিরাভরণ একটা শিমুল গাছের তলায় গুটি-কতক রাখাল ছেলে ডাগু-গুলি খেলছে ; মাঠটিকে চক্রাকারে ঘিরে রেলের লাইন উধাও হয়ে দিগন্তে মিলিয়ে গেছে ; রেল-লাইনের ধারে-ধারে জোড়া-জোড়া লোহার খুটি আশ্রয় করে-করে’ টেলিগ্রাফের তার নীল আকাশের গায়ে আশ মানি রঙের শাড়ির আজি-কাট। পাড়ের মতন দেখাচ্ছে ; একটা নীলকণ্ঠ পাখী তারের উপর চুপ করে বসে’ ছিল, একটা ফিঙে এসে তার এলাকায় অনধিকার প্রবেশ করাতেই নীলকণ্ঠ যেন বিরক্ত হয়ে দুটি নীল পাখা মেলে আকাশের একটি টুক্‌রার মতন ঠিকরে উড়ে গেল আর তার পাখার উপর পড়ন্ত রৌদ্র ঝিকৃমিকিয়ে উঠল ; রেল-লাইনের ওপারে সবুযে-ক্ষেতে হলদে ফুলের ফরাস পাতা হয়েছে ; সবৃসে-ক্ষেতের পাশেই রেলের কুলিদের খান পাঁচ সাত নীচুনীচু খোড়েী-ঘর, একথান ঘরের চালের খানিকটা খড় ঝড়ে উড়ে গেছে, সেখানটায় একখানা দরম চাপ৷ দেওয়া রয়েছে ; একখানা ঘরের বেড়া নেই, কেবল খুটির মাথায় ঝুপ সি দুখান চাল আছে, সেইখানি ওদের গোয়ালঘর ; বাড়ীর পিছনে গোটা-কতক কলা-গাছ, ছিন্ন-বসন দরিত্রের মতন শতছিন্ন পাতাগুলি শীতের হাওয়ায় হিহি করে’ কাপ ছে ; কলা-গাছের পাশেই একটা কুল-গাছ ; কতকগুলি ছেলে ক্রমাগত লাঠি আর ঢ়িল ছুড়ে-ছুড়ে সেই কুল-গাছটির সহিষ্ণুতা আর দানশীলতার কঠোর পরীক্ষা কবৃছে ; সবুযে-ক্ষেতের পাশেই গুটিকতক স্ত্রীলোক— একজন সামনের দিকে ঝুঁকে ক্রমাগত তাড়াতাড়ি হাতের নীচে হাত রাখছে, ঐখানে বোধ হয় একটা কুয়ো আছে, ঐ কুয়ো থেকে ও জল তুলছে ; একটি মেয়ে ক্রমাগত ঝুঁকছে আর সোজা হচ্ছে—বোধ হয় সে কাপড় কাচছে ; नझेफठम ৬২১ একটি মেয়ে এতক্ষণ দাড়িয়ে ছিল,এইবার সে স্কুকে একটা মাটির কলসী তুলে ভান কাখে করলে, জায় একটু এগিয়ে গিয়ে সেই কলসীর জঙ্গট কপির ক্ষেতে ঢেলে দিলে, ক্রমাগতই জল ঢালা আর জল তোলা চলছে—এত পরিশ্রম করে’ ওরা বাবুদেরকে দু-চার পয়সা দামের কপি খাওয়ায় ; কয়লার মতন কালো সম্পূর্ণ উলঙ্গ একটি শিশু এসে ক্ষেত্রে-জল-সেচনকারিণী মাতার কাপড় চেপে ধরূলে ; মা এই অল্প কারণেই বিরক্ত হয়ে শিশুর পিঠে এক কিল কবিয়ে দিলে ; ছেলেটিও অমনি সেই ক্ষেতের মধ্যেই পা ছড়িয়ে বলে পড়ল, এবং দূর থেকে দেখ তে এবং শুনতে পাওয়া না গেলেও এটা অল্পমান করা সহজ ষে সে চীৎকারে গগন বিীর্ণ করছে ; ঝুপ সি ঘরের ভিতর থেকে স্বল্পবস্ত্রপরিহিত একটি পুরুষ স্থকে হাতে করে বেরিয়ে এল আর ছেলেটিকে নড়া ধরে’ কোলে তুলে নিলে এবং তার দিকে দৃকপাত মাত্র না করে দাড়িয়ে-দাড়িয়ে তামাক টানতে লাগল ; অল্পক্ষণ পরে ক্ষেত্রে জলসেচন সমাপ্ত করে শিশুর মা শিশুর কাছে ফিরে এল এবং শূন্ত কলসীটা মাটিতে নামিয়ে স্বামীর কোল থেকে ছেলেকে কোলে নিলে ; শূন্ত কলসীটা মুখ লুটিয়ে মাটিতে গড়িয়ে পড়ল ; সেদিকে ভ্ৰক্ষেপ না করে’ স্বামী-পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে গৃহিণী গৃহে চলে’ গেল । অল্পক্ষণ পরে একজন পুরুষ র্কাধের উপর একটি মাটির কলসী এক হাতে ধরে অপর হাত একটি স্ত্রীলোকের কাধের উপর রেখে সেই কুয়োর ধারে এল—সে বোধ হয় অন্ধ, সেও বাড়ীর বা ক্ষেতের জন্য জল নিতে এসেছে ! এইসব দেখে ধনিষ্ঠার মনটা গৌরীকে কাছে পাবার জন্তে উতলা হয়ে উঠল ; সে হতাশার একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেললে । দেখতে-দেখতে শীতের সন্ধ্য। অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে উঠল। ছ’টার ট্রেন ঝড়ের মতন শব্দ তুলে চোখের সামনে দিয়ে ছুটে চলে গেল ; অন্ধ এর ভিতর দিয়ে আলোকিত গাড়ীগুলি পরীস্থানের সে-দ্বধামায়া রচনা করে অন্ধকারেই মিলিয়ে গেল । ধনিষ্ঠা অন্ধকারে একূল বসে-বসে ভাব ছিল—জামার यनि ७कül cछ्एल कि ८भरघ्न थांकुङ ! cशोब्रैौ शनि श्रांभांब्र মেয়ে হত ! গৌরী পরের মেয়ে হয়েছে, হোক, কিন্তু