১ম সংখ্যা } আপনারা লক্ষ্য করিয়া থাকিবেন, আমি হিন্দুধৰ্ম্ম ও হিন্দুসমাজকে সমানার্থকরূপে ব্যবহার করিয়াছি। তাহার •কারণ এই যে, হিন্দুধর্শের কোন নির্দিষ্ট লক্ষণ বা মতবাদ व्यां नैश्खा नाहे । कांशग्नe-कांशंब्र७ भदङ खांठिाउन মানিয়া চল, গোমাংস ভক্ষণ না করা, ব্রাহ্মণ-প্রাধান্ত স্বীকার করা, এবং বেদের অপৌরুষেয়ত্বে বিশ্বাস প্রচলিত হিন্দুধর্মের এই চতুৰ্ব্বিধ লক্ষণ । কিন্তু ডাক্তার গৌড়ের নূতন আইন-অনুসারে অসবর্ণ বিবাহ করিয়াও নিজকে ছিন্দু ব্ললিয়া পরিচয় দেওয়া চলে, বিলাত-প্রত্যাগত হিন্দুগণ, র্যাহারা এখন অনেকস্থলে সমাজে গৃহীত হইতেছেন, গোমাংস ভক্ষণ-সম্বন্ধে বৈদিক রীতি অবলম্বন করিতে দ্বিধা করেন না, দক্ষিণাত্যের অব্রাহ্মণগণ হিন্দুধৰ্ম্ম মানিয়া ও সমাজে ব্ৰক্ষণ-প্রাধান্ত মানিতে অসম্মত, এবং বেদ-সম্বন্ধে অধিকাংশ ইংবেঙ্গী-শিক্ষিত হিন্দুই আস্থবিহীন ও তাহার অভ্রান্তত্ব স্বীকার করিতে প্রস্তুত্ত নহেন । কুক্তরাং ইহার কোন-একটি লক্ষণষ্ট প্রচলিত হিন্দুধৰ্ম্মের বিশিষ্ট লক্ষণ নহে । ইহা দেখিয় কোন-কোন চিস্তাশীল পণ্ডিত বলেন যে, হিন্দুধৰ্ম্ম সামাজিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত অর্থাং কোন দেশে বা কালে অধিকাংশ হিন্দুর মধ্যে যে সামাজিক বিধি ব্যবস্থা প্রচলিত, তাহাই সেদেশের বা সে-কালের হিন্দুধৰ্ম্ম । হিন্দুধর্শ্বের এই বিশেষত্ব যদিও তাহাকে ইসলামধৰ্ম্মের ন্যায় মতের ঐক্য-জনিত একটি দৃঢ়-সম্বন্ধ শক্তিতে পরিণত হইতে দেয় নাই, তথুপি তাঙ্গর সময়োপযোগী পরিবর্তনশীলতা তাহাকে অন্তান্ত ধৰ্ম্মের সহিত জীবনসংগ্রামে টিকিয়া থাকিবার ক্ষমতা দিয়াছে। তাহারই ফলে অতি প্রাচীন আসিরীয়া, মিশর ও বাবিলন, এবং প্রাচীন গ্রীক ও রামক সভ্যতা লুপ্ত হইয়া গেলেও, স্থপ্রাচীন ভারতীয় আৰ্য্যজাতি আজিও তাহার বিশিষ্ট সভ্যওঁ ও ঐতিহ্য লইয়। জগৎসমক্ষে সগৰ্ব্বে তাহার অস্তিত্বজ্ঞাপন করিতেছে । কাল তাহার সেই গৌরবজ্যোতি অনেকটা পরিমান করিয়াছে সত্য, কিন্তু পুনরায় পূৰ্ব্বাকাশে উষার অরুণরাগের সঞ্চার হইয়াছে, আবার ভারতের সভ্যতার ধারা যুগব্যাপী জড়তা ত্যাগ করিয়া উন্নতির মার্গে প্রবাহিত হুইবে তাহার লক্ষণ দেখা যাইতেছে। আমার দৃঢ়বিশ্বাস, বর্তমানযুগেও সময়ো হিন্দুর ধৰ্ম্মাস্তর গ্রহণ ' @ፃ পধোগী পরিবর্তন-সাধনার • হিন্দুধর্শ্বের এই টিকিয়. থাকিবার শক্তির পরীক্ষ হইবে, এবং এই পরীক্ষায় সে বিজয়ী হইয়া তাহার ‘সনাতন’ নামের সার্থকতা সম্পাদন• করিবে । সকলেই জানেন, আচারকাও প্রত্যেক ধর্থেরই একটি প্রধান অঙ্গ। কিন্তু হিন্দুধর্শ্বে উহা যত বড় স্থান পাইয়াছেঃ পৃথিবীর আর কোন ধর্শ্বে এত নহে। এই আচারকাও লইয়াই স্মৃতিশাস্ত্রসমূহ রচিত। সৰ্ব্বত্রই দেখিতে পাওয়া যায়, ধৰ্ম্মমত মানুষকে তত পৃথক করে না, আচার-অনুষ্ঠান প্রভৃতি ধর্মের বহিরঙ্গ যতটা করিয়া থাকে। এইজন্ত ধর্মের আকুষ্ঠানিক বিভাগটি যত স্থিতিস্থাপক হয়, ততই সমাজের পক্ষে কল্যাণজনক। নারদ বলেন, ‘ব্যবহারে হি বলবান, এবং ধর্শ্বশাস্ত্রকারগণ সকলেই আমাদিগকে পিতৃপিতামহ-প্রদর্শিত সন্মার্গ অবলম্বন করিয়া চলিতে উপদেশ দিয়াছেন । কিন্তু ব্যবহারজীবী মাত্রই জানেন যে, বৌধায়ন আপস্তম্ব নারদ হইতে আরম্ভ করিয়া মেধাতিথি জীমূতবাহন কুন্ত্রকভট্ট পৰ্যন্ত হিন্দুর ব্যবহারশাস্ত্রে বহুপরিবর্তন সাধিত হইয়াছে। যেমন হিন্দুদর্শনে নাস্তিক্য হইতে বহুদেব-বাদ পৰ্য্যন্ত সৰ্ব্ববিধ ধৰ্ম্মমতের স্থান আছে, সেইরূপ স্মৃতিঞ্চারদের সম্বন্ধেও বলা যায়, ‘নাসে মুনির্যন্ত মতং ন ভিন্নং’ । ইহা হওয়াই স্বাভাবিক, কারণ মানুষ বিচার-বুদ্ধি-বিশিষ্ট জীব, স্থতরুং কোন দুই-ব্যক্তির মতই সৰ্ব্বথা এক হইতে পারে না । যাজ্ঞবল্কা বলিয়াছেন, ‘স্মৃত্যোবিরোধে ন্যায়স্ক বলবান ব্যবহারত:’, এবং বৃহস্পতি বলিয়াছেন, ‘কেবলং শাস্ত্রমাশ্রিত্য ন কৰ্ত্তব্যে বিনির্ণয়ঃ । যুক্তিহীনে বিচারে তু ধৰ্ম্মহানি প্রজায়তেঃ স্বতরাং দেখ। যাইতেছে যে, আচার-ক্ষেত্রেও তাহারা স্তায় ও যুক্তির প্রাধান্ত স্বীকার করিয়া গিয়াছেন । জৈমিনি আচারকাগুকে জ্ঞানকাণ্ডের উপরে স্থান দিলেও তাহীর স্বত্রগুলিতে পরস্পরবিরোধী বৈদিক বিধিসমূহের মীমাংসাকল্পে যেসকল নিয়ম রচনা করিয়া গিয়াছেন, তাহাতে এমন-সব যুক্তির আশ্রয় লইতে হইয়াছে, যে তাহা অনেক সময় নিতান্ত আধুনিক বলিয়া মনে হয়। আবার ধর্শ্বস্বত্রসমূহের সহিত ভাষ্যকারদিগের তুলনামূলক সমালোচনা করিলে দেখা যাইবে, তাহীদের কুশাগ্ৰধী আলফুে
পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।