পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনের রোগ ঐ গিরীশ্রশেখর বস্থ, ডি-এসসি, এম-বি •কথায় বলে,—শরীরং ব্যাধিমন্দিরং। মানুষের শরীর ষে নানা রোগের আধার, তাহা কাহাকেও বুঝাইয়া বলিতে হয় না। এ-বিষয়ে আমরা সকলেই অল্পবিস্তর ভূক্তভোগী । কিন্তু মাহুষের মনেরও যে অস্থখ হয়, একথা বিশ্বাস করিতে অনেকেই রাজি হইবেন না। শরীরের যেমন কলেরা, বসন্ত, জর, অজীর্ণ মাথা-ধৱ৷ প্রভৃত্তি রোগ হয়, মনেরও তেমনই নানা বিকার দেখা ধায়। শরীর স্কুল বস্তু বলিয়া শরীরের রোগ সকলেরই নজরে পড়ে ; কিন্তু মন অতি সূক্ষ্ম পদার্থ, এই কারণে মনের অমুখ সহজেই আমাদের দৃষ্টি অতিক্রম করে। sঅমুকের মন খারাপ’ ‘অমুক পুত্ৰশোকে কাতর’ ‘অমুকের সহজেই রাগ হয়—এসব ব্যাপার আমাদের নিকট নুতন নহে, এবং মনের অস্থখ বলিলে আমরা সচরাচর এইগুলিই বুঝিয়া থাকি। কিন্তু এ-ধরণের মনের অম্বখ ছাড়াও আরও কত্ত-রকম মনের গোলমাল আছে, যাহার খবর আমরা বড়-একটা রাখি না। অবশ্য পাগ লামি যে মনের রোগ তাহা সকলেরই জানা আছে। এইজন্য অন্যান্য মনোবিকারকেও আমরা চলিত কথায় পাগলামিরই গণ্ডীভূক্ত করি। রাম-বাৰু আর-সব বিষয়ে হয়ত খুব সাহসী"পুরুষ, কিন্তু এক পথে বাহির হইলেই তাহার মাথায় যেন বজ্ৰপাত হয় । জিজ্ঞাসা করিলে বলেন,— ‘একৃগা পথ চলিতে কেমন একটা ভয় হয়, গুড়ী চাপাই পড়ি, না আর-কিছু দুর্ঘটন ঘটে—এই ভাবনাই মনকে বিৱত করিয়া তোলে।৯ সাধারণে হয়ত ইহাকে রাম-বার মনের “দুৰ্ব্বলতা- বলিয়াই ব্যাখ্যা করিবেন। কেহ বা বলিবেন,–রাম-বাবুর মাথা খারাপ। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটা যে একটা রোগ এবং উপযুক্ত চিকিৎসা করাইলে गांब्रिटङ नाcब्र,-4कथां श्रांभब्रां कब्रजन छांनेि ? বিধৰা হইবার পর হইতে ভোলার মা’র একটা পরিবর্তন দেখা গেল। তিনি কাহারও ছোয়া কিছু वीन न", जाप्नद्र भङ्ग ८कह इंहेइ निम्न श्रृंनब्राष्ट्र प्रानं । করেন, সব জিনিষই বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখেন। ক্রমে র্তাহার শুচিতার মাত্রা বাড়িতে লাগিল। দশবার হাত না ধুইলে মন খুত খুঁত করে ; সদাই শঙ্কিতপাছে কিছু অপবিত্র জিনিষ ছইয়া ফেলেন। রাস্কায় বাহির হইলে, অঁতি সপ্তপণে বকের মতন পা তুলিয়া চলেন। কিন্তু এমনই বরাত, এততেও মনে হয় বুবিধা কিছু মাড়াইলেন এবং সন্দেহ-ভঞ্জন করিবার জন্ত পা হইতে জিনিষটা হাতে তুলিয়া লন, শেষে শুকিতে গিয়া নাকে লাগান । তখন অন্ততঃ দশ-বারে বার স্বান না করিলে শরীর পবিত্র বোধ হয় না। পাঠক বলিবেন,—এ-রকম তাহারা অনেক দেখিয়াছেন, এ আবার রোগ কি ? এ ত শুচিবাই, একটা বাতিক মাত্র । কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই বাতিকও এক-রকম ব্যাধি। শুচিবাই যে কতটা কষ্টকর—ইহা যে গৃহে কত অশান্তি আনয়ন করে—তাহা অনেকের ধারণাই নাই । আমি একবার ১৬১৭ বৎসরের একটি বালককে দেখিতে যাই । শোঁচের সময় হাতে মাটি করিতে বালকের মনে হইত, বুঝিবা হাতে ময়ল রহিল। এই জন্য একবার হাতে মাটি করিলে তাহার মন তৃপ্ত হইত না –কেবলই মনে হইত ময়লাটা বুঝি ছড়াইয়া গেল ; অগত্যা তাহাকে দ্বিতীয়বার সারা হাতটাতেই মাটি দিতে হইত। এইরূপে ক্ৰমে-ক্রমে তাহাকে গোটা শরীরে মাটি মাখিয়া বারবার ধুইতে হইত। সকাল ৭টা হইতে মাটি মাখিতে-মাখিতে ৪টা বাজিয়া যাইত । ইহার ফলে প্রতিদিনই তাহার খাওয়া-দাওয়ার নিদিষ্ট সময় উত্তীর্ণ श्ब्रां यांहेऊ । শুচিবাই যে কেবল আমাদের দেশের বিধবাদের মধ্যেই আছে, তাহা নহে। সকল শ্রেণীর স্ত্রীপুরুষের ভিতরই এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। তবে রোগট স্ত্রীলোকদেরই বেশী হয়। বিলাতেও গুচিৰাইঘস্ত cणांएकब्र च७ॉर महेि । -