পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা । ] গুইবে, তত দিন পর্যন্ত প্রকৃত সভাত বহুদূরে, মানবসমাজ স্বৰ্গরাজ্য হইতে বহু দূরে । তবুও বৰ্ত্তমান সভ্যতার তারতমোর বিচার করিবার কতক উপায় রচিয়াছে । বেশী দরে যাইতে চাহি না, এই বর্তমান চীন উৎপাত হইতেই, সভ্যতার প্রমাণ পাওয়া যাইতেছে। পাঠকপাঠিকাগণ হয় ত চীনদের উপর তথাকথিত সুসভ্য জাতিদের অত্যাচারকাঠিনী শুনিয়া হতাশ হইয়াছেন, যাঙ্গর আপনাদিগকে যীশুর শিষ্য বলে, তাহাদের পশুভাব দেখিয়া ক্ষুন্নমনে জগদীশের নিকট প্রার্থনা করিয়াছেন । যুদ্ধে যে অনেক টানবাসীকে বধ করা হইয়াছে সে বিষয়ের উল্লেখ করিতেছি ন! ; তাঙ্গ কেবল সাধারণ মানবজাতির অসভ্যতার পরিকিন্তু শিশুহতা, বালক বালিকার প্রাণহরণ, ‘নন্দোমী নিরুপায় নরনারী ততার কি করিয়া সমর্থন করিব ? নরহত্য চুরি ডাকাতি অগ্নিকা গু, এই সব আর ক বর্ণনা করিব ? বৰ্ণনা পাঠ করিতে শোকে ক্রোধে দেচ সভা নামে পরিচিত, মী শুশিষ্য নামধারা নরপিশাচগণ নরপশুগণ স্ত্রীলোকের শেষ লজ্জা পর্যন্ত এই সব পাঠ করিলে কোন মানব অ এ জল সঙ্গরণ করিতে পারে ? এই D怀伞 মন জজরিত হয় । বলপূৰ্ব্বক হরণ করিতে বিরত হয় নাই । কি সভাত ? এই কি ধৰ্ম্ম ? এই কি শিক্ষা ? এই সকল কাযে ও পশ্চিমের সুসভ্য ফান্স, রাশিয়া, জম্মানী সৰ্ব্বা.পক্ষা অধিক ঘৃণার পাল ; ইঙ্গরা পশুভাব যথেষ্ট প্রকাশ করিয়াছে ; কুকার্যো ধরণ কলুসিত করিয়াছে। এই সব ককায্যের বর্ণনা পাঠ করিলে দেদিতে পাওয়া যায়, জাপান অতি উন্নত স্থান অধিকার করিয়া রহিয়াছে । অসভা প্রাচ্যজাতি সুসভা পাশ্চাত্যজাতিসমঠের আদর্শস্থান অধিকার করিয়াছে । আমি বলি না যে জাপানী সৈন্য কোনও অত্যাচার করে নাই । কিন্তু তুলনা কর, জাপানের প্রকৃত অবস্তা দেখিতে পাইবে । অনেক স্তলে জাপানী সৈত্যগণ মনবাসিদিগকে অত্যাচার হইতে রক্ষা করিয়াছে। যাহা হউক, চীনের যুদ্ধ বর্ণনা করা আমার উদ্দেশ্য নহে ; কথা প্রসঙ্গে অনেক বলিয়া ফেলিলাম ! এক্ষণে সকলেরষ্ট বশ্বাস, যে গত ত্রিশ বসরে জাপান তাড়ার বর্তমান পরিস্তমান সমুদয় উন্নতি করিয়াছে ; পাশ্চাত্য সভাত ইহার প্রবাসী > と> এই যে, আমরা পৃথিবীর সব্বশ্রেষ্ঠ রাজশক্তির সংশ্রবে থাকিয়া ও কেন এত উন্নতি লাভ করিতে পারিতেছি না ? জাপানের যেমন পৃথিবীর মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষ বঙ্গং যুদ্ধ-জাহাজ আছে, আমাদের সেইরূপ যুদ্ধ জাহাজ নাই কেন, সে বিষয়ে আমি কিছু বলিতেছি না। কারণ ইংরেজরাজ আমাদের জন্য সব করিতেছেন । তবে জিজ্ঞাসা করি, সভ্যতাভিমানী ভারতবাসি, তোমাদের মধ্যে একতা নাই কেন ? আজ নহে, বহুদিন পূৰ্ব্ব হইতেই নাই। তা কি সভ্যতার লক্ষণ ? কবির “অসভ্য জাপানে” প্রাচীন কাল তহঁতেই ইচা আছে, তাই জাপান স্বাধীন, তাই ক্ষুদ জাপান বহু শতাব্দী বাপিয়া ভারতের স্যায় পরাধীন নষ্ঠে । মুসলমানের অধীনতা স্বীকারের ইতিহাস পাঠ কর,দেখিবে ভারতে একতার অ ভালষ্ট পরাধীনতার একমা এ কারণ । তাঙ্গ আজকাল দৈনিককার্যে যথেষ্ট দেখিতে পাই । আ স্ট্রীয় স্বজনে, লাতায় পাতায়, এমন কি পিতাপুলে বিবাদ করিয়া, আদালতে গিয়া, অপব্যয় করিয়া এই কি সভ্যতা ? এই কি চীন ও গ্রীক অনেকে পল’স প্রাপ্ত হইতেছে । পুরাতন আর্য জাতি ? এই লমণকারীদের ভারতবাসী ? জাপানী অতিশয় শাসুিপ্রিয় ! বিবাদ প্রায় দেণিতে পা ওয় ইতারা তর্কস্থলে ও উচ্চৈঃস্বরে কথা এখানে ও আদালত আছে, মোকদ্দমা আছে, কিন্তু তথাপি বলিতেছি, জাপানীর অষ্টাল শাস্তৃিপ্রিয় । বাঙ্গালার পল্লীগ্রামে মাতাদের বাড়ী, তাদের অনেকেই হয় ত মেয়েদের ঝগড় দেখিয়! থাকিবেন । সেই সিঙ্গী-গৰ্জ্জন এ জীবনে চলিবার কথা নমােঁ । পুরুষদেরত কথাই নাই । কি সেট ঠ তাদের মধ্যে ঝগড়। এমন কি অবs্য | || | বলে না | বালকদের মধ্যে ক্রীড়ার সময় যে সামান্ত বিলাদের স্ত্রপাত হয়, তাঙ্গ হইতে কি তুমুল সাদিনব্যাপী ঝগড়ার স্বত্রপাতক্ট না হয় । এই বিবাদে দৃষ্ট পক্ষের সপ্তম পুরুম পর্য্যস্ত ভূতলে আনীত হন। কোন ভদ্রলোকের সাধা লে সেই মুশ্রাব্য মধুর বাণী শ্রবণ করিতে পারে ? কষ্ট, জাপানের এক প্রাস্ত হইতে অদ্য প্রাস্ত পৰ্য্যন্ত বচ্চ সহস্র মাইল ভ্রমণ করিলাম, প্রধান মন্ত্ৰী হইতে খনির সামান্ত কুলীদের সঙ্গে অনেক মিশামিশি হইল, কিন্তু সেই বাল্যস্মৃষ্টির ঝগড়ার