পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা । ] - ৰিস্তুর টাকা আবদ্ধ থাকায় তিনি উক্ত কোম্পানির একজন ডিরেক্টরের পদে পূৰ্ব্বেই মনোনীত হইয়াছিলেন ; অধিকন্তু এখন ইংরাজ মহলে অত্যস্ত আধিপত্য হওয়ায় ডেভিড উইলসন সাহেব, আপনি বিলাত যাইবার পূৰ্ব্বে তাহাকে উইলসন হোটেলের ডিরেক্টর নিযুক্ত করিয়া যান । এই সময় চারিদিক হই তে র্তাহাকে ডিরেক্টর হইতে আহবান আসিতেছিল ; কিন্তু সময়াভাব বশত: এড়াইতে না পারিয়ু কেবলমাত্র ডারাং এবং বেঙ্গল এই দুই চা-কোম্পানির ডিরেক্টরী পদ গ্রহণ করিয়াছিলেন । লক্ষ্মী স্বরস্বতী এক স্থানে থাকেন না ইহ যথাৰ্থ । পার। চাদের সংসারে তাছাই হইল - মরীচি দ্বীপের জন্য চার্টার করা জাহাজ লেডীবাড ’ কাঞ্জিকে ঝড়ে ডুবিয়া গেল । তৎকালে বিমা প্রথার প্রচলন ছিল না, এজন্য উহাতে প্যারীচাঁদকে তন লক্ষ টাক। ক্ষতিগ্রস্ত ইষ্টতে হইয়াছিল । পরে পোট ক্যানিং এ পেট কারবেন বলিয়। সিলার সাহেব বহু আড়ম্বর করিয়া নীল। খেলা সম্বরণ করিলেন । প্যারীচাঁদ দীবিয়োগের পর বিষয় কৰ্ম্ম দেখিতেন ও না এবং তঁfহার তেমন বৈষfয়ক বুদ্ধিও ছিল না। তাহার প্রথম দুই পুত্র বিষয়কৰ্ম্ম দেখিতেন । পোর্ট ক্যানিংএ যুঁrহাদের শেয়ার ছিল, তাছার সিলার সাহেবের আড়ম্বর বুঝিতে পারিয়া শেয়ার বিক্রয় করিয়৷ সাফ হইয়াছিলেন ; কিন্তু প্যারীচাদের পুত্ৰগণ সিলার সাহেবের লীলা বুঝিতে না পারায় একেবারেই বঞ্চিত হইয়াছিলেন । বিপদের স্রোত একবার বহিলে কিছুতেই থামে না। ওদিকে তাহার বোম্বাই এজেণ্ট প্রতারণা করিয়া প্যারীচাঁদের এক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করিল | এই সকল প্রকারে ক্ষতিগ্রস্ত হ ৫য়াতে “প্যারিচাদ মিত্র এগু সনসের’’ আফিস পতনের আগে নড়িয়া উঠিয়াছিল । কিন্তু প্যারীচাঁদ অটল । এই সকল বৈষয়িক বিপদের সময় তাহার জ্যেষ্ঠভ্রাত। মধুসূদনের কাল হয় । এখন রহিলেন কেবল প্যারীচাদ ও কিশোরী চাদ । দেখিতে দেখিতে কিশোরী ও ইহলোক ত্যাগ করিলেন । পত্নী বিয়োগের পর প্যারীচাঁদের ৪ উপযুক্ত পুত্র, ২ কল্প ও এক জামাতার কাল হওয়াতে তাহার শরীর অবসর প্রবাসী। ১৭৯ হইয়াছিল । তাছার মাতা ঠাকুরাণী পঞ্চপুত্রের মাতা হইয়া অবশেষে এক পুত্র প্যারীচাঁদের ক্রোড়ে ১•৪ বৎসর বয়সে স্বৰ্গলাভ করেন । মাতৃবিয়োগের পরও প্যারীচাদের এক পেীয় ও এক প্রপৌত্র মারা যায় । প্যারীচণদের মাচু ভক্তি আদশস্থল । তিনি প্রতি দিন প্রাতে উঠিয় মীর পাদোদক পান করিয়৷ অম্লান্ত কৰ্ম্ম করিতেন । মাঙ্গার কালে মা উপস্থিত ন থাকিলে অtহার তৃপ্তির সহিত হইতই না । তিনি মাকে সেকালে কাণী, বৃন্দাবন, পুষ্কর, জালামুখী, শ্ৰীক্ষেত্র প্রভৃতি তীর্থ করাইয়াছিলেন । ২৪ পরগণা জেলার অস্তুগত কুমুরপুকুর গ্রামে মার দ্বারা একটা প্রকাগু দীঘি প্রতিষ্ঠা করাইয়া ভুলট আদি ক্রিয় সম্পন্ন করাইয়াছিলেন । মার গঙ্গাতীর স্থ থাকিবার সময় তিন দিবস প্যারীচাঁদের আহার নিদ্র ছিল না । অস্তজ লীর সময় মার মস্তক ক্রোড়ে রাগিয়া “মা কোথায় ফেলিয়া গেলে’ বলিয়। ৬০ বৎসর বয়ঙ্গ বিজ্ঞ প্যারীচাঁদকে রোদন করিতে ८नथिग्न। भकुश श्रवाक् झ३शा भोक्लउक्लिद्र सत्रु श्रंश थछ করিয়াছিল । মঙ্গfধ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্যারীচ"াদের পীৰিয়োগের পর হইতে পূৰ্ব্বাপেক্ষ ঘন ঘন আসিয়া ঠাঙ্গার মধুর মালাপনে তাহাকে অনেক শান্তি প্রদান করিতেন । দী পুত্র, কন্যা, জামাতা, পৌত্র, প্রপোর, প্রভৃতির মৃত্যুতে পারাচাদের মন ইহলোকের অসারত উপলব্ধি করিয়া পরমেশ্বরের ধ্যান ধারণায় ও পরলোকতত্ত্ব নিদ্ধারণে নিযুক্ত হষ্টয়াছিল । তিনি প্রতিদিন প্রত্যুষে ৪টার সময় শয্যাত্যাগ করিয়৷ বেড়াইতে যাইতেন । ঘণ্টখানেক পরে ফিরিয়। অাfসলে বিখ্যাত গায়ক চন্দ্রকোণ নিবাসী রমাপতি বন্দ্যোপাধ্যায় ঠাহাকে ব্ৰহ্মনাম গুনাইতেন । বয়স এত হইয়াছিল কিন্তু পড়াশুনা ছাড়েন নাই । গান শ্রবণের পর সংবাদপত্র ও গ্রন্থাদি অধ্যয়ন করিয়া স্নান করিতেন । স্নানাস্তুে উপাসনা ও আহারাদি করিয়া বিবিধ সভার কার্য্যে গমন করিতেন । সন্ধ্যার প্রাক্কালে বাট আসিয়া ঠাঙ্গার জ্যেষ্ঠপোর দেবেন্দ্রলালের হারমোনিয়ম মালাপনে ঈশ্বর গান শ্রবণ করিতে বড়ই ভাল বসিতেন । গান শ্রণণস্তে অধ্যয়নে নিযুক্ত