পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/২৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা । ] প্রবাসী । ఫిd वtत्रांशकूगश् शाननभृश्द्र छांद्र cबोटजब थषन्न उँखांट” লবণ ভূগর্ভ হইতে স্বতঃই ফুটিয়া বাছির হয়। ফতেপুর জৌনপুর প্রভৃতি ২১টি জেলার স্থানে স্থানে বৃহদায়তন লবণক্ষেত্র আছে । ঐ সকল স্থানের বায়ু ক্ষারসমুদ্ভূত এক প্রকার তীব্র গন্ধে এরূপ পরিপূর্ণ থাকে যে, ঐ ক্ষেত্র সকলের কিঞ্চিৎ দূর হটতেই শ্বাসক্রিয়া কষ্টকর হইয়। উঠে । এইরূপ “প্রশ্নটিত” লবণ সময়ে সময়ে এক ফুটের ৪ অধিক গভীর হয়। এসকল স্থান গভর্ণমেণ্ট অতি সাবধানে রক্ষা করেন এবং কাহাকেও এই সকল ভূমি হইতে লবণ প্রস্তুত করিবার অনুমতি প্রদান করেন না । সরকারী কর না দিতে হইলে আজ ভারতীয় লবণেব মূল্য তাহার জন্মস্থান সকলে বোধ হয় y • হক্টতে জোর joys অান মণের অধিক হইত না । কিন্তু লবণবিভাগের আয়ে বিস্তর লাভ দেখিয়া ইহা গভর্ণমেণ্ট আপনার একচেটিয়া ব্যবসা করিয়াছেন । রাজপুতানায় এবং মধ্য ভারতে যে সকল ছোট বড় লবণক্ষেত্র আছে, তাহার উপর পূৰ্ব্বে গভর্ণমেণ্টের পূর্ণ অধিকার ছিল না । সেগুলি প্রায় সমস্তই দেশীয় রাজাদিগের অধিকারে স্থিত ছিল। কিন্তু সেখানকার লবণের প্রসার উত্তর ভারতে নিষিদ্ধ করা গভর্ণমেণ্ট যুক্তিসিদ্ধ বিবেচনা করিয়া ঐ লবণ যাহাতে কর না দিয়া ব্রিটিশ রাজ্যে আনীত ও বিক্রীত না হইতে পারে তদভিপ্রায়ে এক অভিনব উপায় আবিস্কার করিয়াছিলেন । উড়িষ্যার কটক হইতে পঞ্জাব প্রান্ত পর্য্যন্ত এবং পরে পঞ্জাব ইংরাজের হস্তগত হইলে আটক নদীর তীর পর্য্যন্ত এক Permit I.ine বা লবণের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ এবং কর আদায়পূৰ্ব্বক ছাড় পত্র দিবার সীমারেখা স্থাপিত হইল। তিন চারি হস্ত পরিমিত একটা পথ প্রস্তুত করিয়া তাহার উভয় পার্শ্বে, বাবলা, মনসা এবং অল্পান্ত ঘন কণ্টকাকীর্ণ গাছ পালা রোপিত হইল। এইরূপে মুরক্ষিত ঐ সীমাপথ কটক হইতে আটক পৰ্য্যস্ত অবিচ্ছিন্নরূপে প্রসারিত হইল। আবার উভয়পাশ্বস্থ বেড়ার ভিতর ভাগে—অর্থাৎ ঐ সীমারেখার উপরে—বালুক ও গুড় মাটি এরূপ ভাবে রক্ষিত হইল যে, কেছ বেড়া ভাঙ্গির ঐ ধূলিময় মার্গ অতিক্রম করিলেই তাহার পদচিন্তু সেই স্থানে স্পষ্টরূপে অঙ্কিত হইয়া যাইত । এই সুদূরব্যাপী অস্তুত রেখার স্থানে স্থানে প্রহরিগণ অতি সন্তপণে পাহারা দিত । Patrol এবং ইনস্পেক্টরগণ প্রত্যহ এই মার্গ অতি যত্নে পরিদর্শন করিতেন এবং তাহাদের পশ্চাদগামী স্থা তিন জন লোক ধূলির উপর পদচিহ্লাদি মারিয়া দিবার জন্ত এক প্রকার যন্ত্র পথের উপর টানিয়া লইয়া যাইত। পথ ইহাতে এরূপ পরিস্কৃত হইয়া যাইত যে, পার্থী বলিলে তাহারও পদচিঙ্গ তৎক্ষণাৎ তাহার উপর মুদিত হইয়া যাইত। এই অস্তুত পথ পরিস্কার করিবার যন্ত্র অতি সামান্ত ব্যয়েই তৈয়ার হইত। অর্থাৎ একট। ছোট কাঠে কতকগুলা কুঁচির ন্যায় ছোট ছোট কাটা বা কাষ্ঠথ গু লাগান থাকিত, এবং তাহাতে একটা লম্বা বাট দিয়া লইলেই চোরধর কল প্রস্তুত হইয়া যাইত । লবণ-চোর ধরিবার জন্য এই Permit Lineএর উপর সৰ্ব্বশুদ্ধ ১৮,• • • লোক निवूड ছিল । কিন্তু যাহাঁদের জন্য এত সরঞ্জাম, সেই চোরও কম ছিল না । প্রায়ই মোট মাথায়, একপাল ছাগলের পিঠে বা উট, বলদ প্রভৃতি পশুর পিঠে লৰণ চাপাইয়। বেড়া ভাঙ্গিয়া অনায়াসে দক্ষিণ দিক হইতে বেড়ার উত্তর ভাগস্থিত ইংরাজ রাজ্য মধ্যে সরকারী কর না দিয়া এবং প্রহরীদিগের হস্তে লাঞ্চনা হইতে নিষ্কৃতি লাভের জন্ত, রাত্রিযোগে বহুসংখ্যক লবণ ব্যবসায়ী সৰ্ব্বদ যাতায়াত করিত ; এবং লবণামুরগণ সীমার নিকটে তৎক্ষণাৎ চোর ধরিতে না পারিলে পদচিহ্ন অনুসরণ করিয়া আপনাপন প্রথর বৃদ্ধির পরীক্ষা দিত। কিন্তু সময়ে সময়ে এই চোরধরা ব্যাপারে বড় মজাদারি বুদ্ধিই প্রকাশ পাইত । একবারকার একটা গল্প, যাহা কোন বুদ্ধ লাইন’-কৰ্ম্মচারীর মুখে শুনিয়াছিলাম, এখানে লিখিতেছি । থোজী (ছদ্মবেশে পদচিহ্ন অমুসরণকারী ) আসিয়া হঠাৎ একবার কোন চৌকীর পেট্রোল সাহেবকে সংবাদ দিল যে, কিয়দ রস্থিত একটা গ্রামে কোন মহাজনের বাটতে সেদিনকার চোরাই মালের সন্ধান পাওয়া গিয়াছে। যদি কালবিলম্ব না করিয়া গ্রেপ্তার করা যায়, তাহা হইলে সমস্ত মাল ও আসামী ধরা পড়িবে। পেটোল সাহেৰ লোক, প্ৰকাতভাবে গ্রামসকলে ঢুকিলেই