পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3. e. o পুনরুদ্ধারের আবশ্যকতা অনুভব করিয়াছেন, আমাদের তদ্রুপ কারণের অভাব নাই । (৩) জাতীয় ভাষা সংরক্ষণের অনুকূলে উক্ত আইরিশ মহোদয় স্বদেশীয় অপরাপর বিচক্ষণ ব্যক্তির মত ও যুক্তি উদ্ধৃত করিয়াছেন। তাহার মধ্যে মিঃ জন রেড মণ্ডের মতটা কিছু উগ্র ; তিনি মনে করেন দুভিক্ষ অথবা অঙ্গ দশ প্রকার নিপীড়ন অপেক্ষা ইংরাজি ফ্যামন এবং ইংরাজি চিন্তাপদ্ধতি তাহাদের দেশের বিশেষ অনিষ্ট সাধন করিয়াছে । তাঁহাদের দেশের লোক যে আইরিশত্ব বজ্জন করিয়া আচার ব্যবহারে চিন্তায় দিন দিন ইংরাঞ্জে পরিণত হইতেছে, ইহাকে তাহার দেশের পক্ষে তিনি মহ। অকল্যাণকর মনে করেন । আমরা ইংরাজি রাজত্ব ও ইংরজি ভাষাকে ভিন্ন চক্ষে দেখি । আমরা জানি ইংরাজ ন হইলে আমাদের জাতীয় জীবনের যতটা জড়তা ঘুচিয়া গিয়াছে, তাহ হওয়ার কোন সহজ সম্ভাবনা ছিল না; ইংরাজি ভাষা যে পাশ্চাত্যালোক এদেশে বিস্তার করিয়াছে, তাহার অপরাপর উপকারের মধ্যে ইহা একটা উল্লেখ যোগ্য বিষয় মে, আমরা ঘরের যে সকল জিনিষে অবহেলা করিতেছিলাম, সেগুলির আদর করিতে শিখিয়াছি । অতএব ইংরাজ রাজত্ব ও ভাষার নিকট আমরা সজ্ঞানে বিশেষ কৃতজ্ঞ । কিন্তু আমর নবালোকের শ্রোতে এতদর ভাসিয়া আসিয়াছি, যে আমাদের চক্ষুর নিকট দিয়া দুই চারিট ভাল জাতীয় আচার এবং প্রথাও ভাসিয়া গিয়াছে ; আমাদের এক্ষণে এই চৈতন্ত হইয়াছে যে, ইংরাজি সভ্যতা ও অামাদের সভ্যতার প্রণালী ও উদেশে আকাশ পাতাল প্রভেদ । ইংরাজের এমন অনেক ইংরাজত্ব আছে, যাহ। নিতান্তই তাছাদের জাতীয়, আর আমাদের পক্ষে কাজেই অতি বিজাতীয় ; সে গুলি আমরা গ্রহণ করিয়া হজম করিতে পারিব না ; বেশী দিন টেকাইতে পারিব না। মিঃ রেড মগু যে ইংরাজি ফ্যাষ্যনটাকে তাহাদের দেশের পক্ষে মহা অনিষ্টকর বলিয়াছেন, সে কথাটা আমাদের দেশের পক্ষে সৰ্ব্বৈব সত্য । ইংরাজের দশটা গুণ আমরা অবশ্যই গ্রহণ করিব ; কিন্তু ইংরাজ হইয়া গ্রহণ করিতে পারিব না ; সেগুলি खांब्रउँौग्न थांकिब्रांहे अश्ण कब्रिरङ इहेtद । ५ऊ कथा i. [-১ম ভাগ। কেন ? এত কথা শুধু জাতীয় একপ্রাণতার জন্ত । আমরা যদি ভাষা ও পরিচ্ছদে বিজাতীয় হই, আচার ব্যবহারে বিজাতীয় হই, তবে আমাদের জাতীয় হৃদয় বলিয়। একটা জিনিষ আর থাকে না ; এমন একটা হৃদয়তন্ত্রী থাকে না, যাহাতে আঘাত করিলে সকল গুলি প্রাণে জাতীয় মুখদু:খানুভূতির একটা প্রবাহ প্রবাহিত হইতে পারে । জাতীয় জীবন গঠন, পরিপোষণ ও বদ্ধনের জন্ত জাতীয় ভাষা একটি শ্রেষ্ঠ উপায় । এই নিমিত্তই আইfরশদিগের নিজ ভাষার সমধিক উন্নতি সাধনের জন্য এমন উৎসাহ, আগ্রহ ও আয়োজন । (৪) উক্ত প্রবন্ধলেখক এক স্থলে তাহার জাতীয় ভাষার শ্রেষ্ঠত। প্রতিপন্ন করিতে গিয়া বলিয়াছেন—*its value as a barrier to the irreligion and gross materialism of the present age"—osts "onto যুগের অধৰ্ম্ম ও জড়বাদের অন্তরায় স্বরূপেও আইরিশ ভাষার কার্য। কারিত রহিয়াছে।” বৰ্ত্তমান সভ্যতার জড়াসক্তি এবং বণিগ বৃত্তি যে জীবনের শুভ্রতা, সরলতা, সত্যনিষ্ঠা ও সংযমে নিদারুণ আঘাত করে, তাহার দৃষ্টান্ত আমাদের দেশে বিরল নহে ; আমাদের স্বাভাবিকতা হারাইয়া আমাদের পক্ষে আচার ব্যবহারে, রুচি আকাঙ্ক্ষায় যে ন-স্বদেশী না-বিদেশী হইবার উৎকট সম্ভাবনা হইয়াছে, তাহা ও আমরা প্রত্যক্ষ দেখিতে পাইতেছি। সত্য বটে, বঙ্গসাহিত্য ছু দিনের ; কিন্তু ইহার পশ্চাতে ধাত্রী, ভিত্তি ও চিরপ্রস্রবণ রূপে যে সংস্কৃত সাহিত্য দণ্ডায়মান, তাহাতে এরূপ আধ্যাত্মিকতা, নিষ্ঠ ও অন্তমুখীন ভাব রহিয়াছে যে, তাহা হইতে বঙ্গসাহিত্য-সেবিগণ আপনদিগকে বিচ্ছিন্ন করিয়া না ফেলিলে, এই নবালোকের ভিতরে এই নববঙ্গসাহিত্যে এমন অtধ্যাত্মিকতা ও অন্তমুখীনতা সংক্রামিত করিতে পারেন, যাহাতে উৎকট জড়াসক্তির ভিতরেও জাতীয় জীবনকে প্রকৃতিস্থ রাখিতে পারে, এবং আমরা স্বদেশীয় ভূতকালের সাধনা ও উন্নতির সহিত প্রাণের সংযোগ রাখিয়া কি ভাবে প্রকৃতিস্থ থাকিয়া আমাদের অধঃপতিত জাতিতে নবজীবন সঞ্চারিত করিব, তাহাও বুঝিয়া উঠিতে পারি। (e) মূল প্রবন্ধে একজন আইরিশ কবির কয়েকট