১ম সংখ্যা । ] 雷 বিদ্যাপীক্ষক মহাশয়দিগের যেন মাথা ছিল না, কিংবা মাপ ছিল, তাহার আদেশে কিন্তু অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্রিয়ার সামঞ্জস্ত ছিল না। কখনও কেবল রসায়ন, কখনও কেবল শক্তিবিদ্যা; আবার কখনও শক্তিবিদ্যার প্রাধান্ত, রসায়নের উপেক্ষ । এখনও ঐ দুই বিদ্যার গুরুত্ব সমান বোধ হয় নাই । যাহাই হউক, এই এক ঘটনা হইতে বুঝা যাইতেছে যে, কোনটা প্রথমে, কোনটা পরে, তাঙ্গ নিশ্চয় করা তত সহজ নহে। এই জন্তই রসায়ন ও শক্তিবিদ্যা একত্র শিক্ষা করিলেই ভাল । এই দুই যে আদি, তাঙ্গতে সন্দেহমাত্র নই। উহার বিজ্ঞানবৃক্ষের মুল, অন্তান্ত বিজ্ঞান-শাখার সঞ্জীবনরস সংগ্রহ করে । অধিকন্তু, উহারাই অন্যান্য বিজ্ঞানের জীবন, একথাও বলা যাইতে পারে। এই দুই বিজ্ঞান শিপিয়া আর কিছু না শিখিলেও বরং চলে, কিন্তু উহাদিগকে ত্যাগ করিয়া অপর কিছুই শিখিতে পারা যায় না। এক এক বিজ্ঞানশাখার নানাবিধ প্রশাখা আছে । কোন কোন প্রশাখা মা এ শিখিতে গেলে রসায়ন বা শক্তিবিদ্যার প্রয়োজন ন হইতে পারে, কিন্তু প্রশাখাত বৃক্ষ নয়, কিংবা রক্ষের শাখাও নয় । জীববিদ্যার প্রধান প্রধান অঙ্গগুলি দেখিলেই উক্ত বিষয়ের যাথার্থ বুঝা যাইবে। কোন জীব—কোন প্রাণী বা উদ্ভিদ–লইলে দেখা যায় যে, তাহার একটা না একটা Fo আছে। রূপের আাধারস্বরূপ তাহার দেহ। দেহের }ན་ཀ་ প্রত্যঙ্গ উপাঙ্গ অনেক । এই সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গ অষ্টান্ত কোন কোন জীবের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের তুল্য, অপর কোন কোন জীবের সহিত তাঙ্গাদের সাদৃশু প্রায় নাই, বা একেবারেই নাই। এমন কি, একই জীব লক্ষ লক্ষ আছে, অথচ তাহাদের সকলের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ এক মাপের, এক পরিমাণের নয়। এই সকল বিষয় শিক্ষা করিলে Fাইদেহ সম্বন্ধে জ্ঞান হয়। এ নিমিত্ত রসায়ন ও শক্তিবিদ্য৷ বণ্ডক হয় না । কিন্তু সেই জীব ব্যবচ্ছেদ করিলে তাহার রূপ অন্য প্রকার দেখা যায় । বস্তুতঃ বাহরূপের সহিত আভ্যস্তর রূপের কোন সাদৃশুই লক্ষ্য হয় না। এই আভ্যন্তর রূপ খালি চোখে দেখিয়াই তৃপ্ত হইতে পার যায় না । অণুবীক্ষণ প্রবাসী - ミQ দ্বারা আভ্যন্তর ভাগের প্রত্যেক অঙ্গ উপাঙ্গ দেখা আবগুক। কেবল দেখা নহে, প্রত্যেক অঙ্গ, প্রত্যেক স্বক্ষ অংশের ক্রিয়া, রসায়ন, তাপ আলোক তড়িতাদি তেজে তাহীদের বিকার জানা আবগুক । এই খানে এক দিকে শক্তিবিদ্যা, অন্যদিকে রসায়নবিদ্যা প্রথম আবগুক হয় । জীবদেক্ষে তেজের ক্রিয়া পরিদর্শন করা বিলক্ষণ দুরূহ। জীবদেহের রসায়ন ততোধিক দুরূহ। বাহ ও আভ্যন্তর দেহ আলোচনা করিতে করিতে উহার উৎপত্তি চিন্তা করিতে হয় ; সেই জীবের উৎপত্তি কোথায়, এবং কি ক্রমেই বা সেই স্তন্ম উৎপত্তি হইতে তাহার বর্তমান দেহের উৎপত্তি হইয়াছে । জন্মের পর জীবের শৈশবাবস্থা, তাহা হইতে তাতার ীেবন, প্রৌঢ়, ও বৃদ্ধাবস্ত ক্রমশ: আসিয়া উপস্তিত হয়। একের পরিণ ততে অন্তোর উদ্ভব । এই পরিণতি-পরম্পর জীববিদ্যার একটি শিক্ষার ব্যাপার। কিন্তু সেই জীবের বাহদেহ অন্য অনেক জীবের দেহের তুল্য। সৰ্ব্বাংশে অবহু তুলা নহে ; কেন না এরূপ হইলে তৎসমুদয় একই জীব হইত। কোন অংশে সেই জীব অপর কতকগুলির, কোন অংশে আবার অন্ত কতকগুলির তুলা । সকল স্থলে অঙ্গবিশেষের সাম্য বা বৈষম্য সহজে লক্ষিত হয় না । সেই অঙ্গের আভ্যন্তর গঠন ও উৎপত্তিক্রম আলোচনা করা আবশ্যক হয় । এইরূপে, সাদৃশু, বৈসাদৃশু বিচার করিয়া সেই জীবের বংশ, জ্ঞাতি, গণ প্রভৃতি স্থির করিতে হয় । এই শ্রেণীবিভাজন দ্বারা একদিকে সেই জীবের কুটুম্ববৰ্গ যেমন অবগত হইতে পারা যায়, তেমনই অন্যদিকে তাহার নিজের সম্বন্ধেও জ্ঞান স্পষ্ট হয় । জীবন আছে বলিয়াই জীব । জীবের জীলনক্রিয়| এক আশ্চর্য্য ব্যাপার। যে জীবের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ জ্ঞাতি বদ্ধ বিচার করা গেল, সে জীবের স্থিতি-সম্পাদন অবশু জ্ঞাতব্য । কি ক্রমে উহার বুদ্ধি, পুষ্টি ; কি ক্রমে উহার বংশস্থিতি ; জগতের অন্যান্য পদার্থসমূহ দ্বারা উহার কি ইষ্টানিষ্ট সাধিত হয় এবং কি ক্রমেই বা উহা মাত্মরক্ষায় সমর্থ, ইত্যাদি বহুবিধ বিষয় আলোচনা করা আবশ্যক। উহার জীবনক্রিয়া বুঝিতে গেলে রসায়ন ও শক্তিবিজ্ঞার সাহায্য পদে পদে আবশ্বক চয় ।
পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/২৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।