পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৩০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৮ প্রবাসী । [ ১ম ভাগ। চতুষ্টয় ভীত হইয়া পরস্পর মন্ত্রণা করিতে লাগিল যে, এক্ষণে কি করা উচিত । তাহদের মধ্যে একজন অত্যন্ত সাহসী ছিল । সে কূপের ভিতর হইতে বলিল, “মহাশয় । আপনি কাহাকে থাইতে চাহিতেছেন ?” বালক নিৰ্ভীকচিত্তে উত্তর দিল, “রোটচাদকে !” বালক রুটিকে পরিহাসচ্ছলে রোটর্চাদ বলিয়ছিল । কিন্তু সেই প্রশ্নকারী ভূতটারও নাম “রোটর্চাদ” ছিল । সে ভয়ে একেবারে আড়ষ্ট হইয়া বলিয়া উঠিল, “বাবা ! দোহাই তোমার, আমাদিগকে রক্ষা কর ; আমাদিগকে খাইও না ; আমরা চারিজনেই তোমাকে চারিট বস্তু ভেট দিতেছি ।” তখন छांब्रिजन छूठहें उtब्र उtग्न नू* श्हे८ङ दाश्द्रि श्ब्र একজন একটা ছাগল দিয়া বলিল, “আজ্ঞামাত্রে এই বক্রি তোমার সম্মুখে আশঙ্কি (মোহর ) বমন করিবে।” দ্বিতীয় ভূত বলিল, “আমার এই লোটাট ( ঘটিটী ) গ্রহণ কর ; ইহার মহৎ গুণ এই যে, তুমি ইচ্ছামত অপৰ্য্যাপ্ত সুন্দর সুন্দর খাদ্য বালককে চারিট জিনিষ দিল । দ্রব্য ইহা হইতে ঢালিয়া লইতে পারিবে ।” তৃতীয় ভূতটা একগাছি দড়ি দিয়া বলিল, “তোমার হুকুম পাইলেই দড়ি ধাহাকে বলিবে, তাহাকে আচ্ছা করিয়া বাধিয়। কেলিৰে ।" এইরূপে চতুর্থ ভূতের নিকট বালক একটা লাঠি পাইল । লাঠিও আজ্ঞাপ্রাপ্তিমাত্র দমাদম শত্রুর পিঠে জাঁপন্যর অমোঘ বিক্রম প্রকাশ করিতে পারিত। বালক এই সকল আশ্চর্ধ্য বস্তু লাভ করিয়া মনে মনে অত্যন্ত প্রীত হইল এবং ভাবিতে লাগিল রোজগারের বহুনিটত দেখিতেছি বড়ই ভাল হইয়াছে ; এখন দেখা गार्डेक अनूरछे श्रांब्र७ कि कि शांड श्छ । यहे फ्रांब्रिजन উল্ল ও ত দেখিতেছি আমার জালে বেশ বদ্ধ হইয়াছে। এখন চল, বাট ফিরিয়া গিয়া আয়েস করা যাউক । এইরূপ চিন্তা করিয়া সে ভূতগণকে বলিল, “আচ্ছ, আচ্ছা! তোমরা খুব সাবধানে থাকিও, দেখিও কোন প্রকার অন্যায় অত্যাচার করি ও না, নতুবা আমি আসিয়৷ তোমাদিগকে আস্ত গিলিয়া ফেলিব।” ভূতগণও আসন্ন বিপদ হইতে এত অল্পে নিস্কৃতি পাইয়া তৎক্ষণাং কূপমধ্যে নিমগ্ন হইল । তখন বালক হৃষ্টমনে রুটিগুলি ভক্ষণ করিয়া পুনরায় গৃহাভিমুখে যাত্রা করিল। কিন্তু ভ্রমবশতঃ পথ ভুলিয়া হঠাৎ অপর এক স্থানে গিয়া উপস্থিত হইল । সেস্থান তাহার সম্পূর্ণ অপরিচিত ছিল, এবং সেখানে তাহার এমন কোন বন্ধুবান্ধব ছিল না যে, সেদিনকণর মত তাহার নিকট আশ্রয় লাভ করিতে , পারে। আমাদের বঙ্গদেশে পর্য্যটকগণ অপরিচিত গ্রামে যাইলে তথাকার কোন অধিবাসীর গৃহে আতিথ্য স্বীকার করিতে বাধ্য হন । কারণ সমগ্র বঙ্গদেশে রীতিমত পান্থনিবাস, বোধ হয়, কোথায়ও নাই । উত্তরপশ্চিমের নিয়ম কিন্তু স্বতন্ত্র প্রকারের । এদেশে অনেক স্থলে ধনী লোকে এক একটা সুন্দর পান্থনিবাস ( বা ধৰ্ম্মশালা ) নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছেন। নতুবা প্রায় সৰ্ব্বত্রই সরাই আছে। সরাইগুলি মুসলমানগণ দ্বারাই পরিচালিত হয় এবং সরাইস্বামীকে ভাটিয়ার কহে । ভাটিয়ার কিঞ্চিং দক্ষিণ গ্রহণনিস্তর পথিকের থাকিবার জন্য একখানি ঘর, একট জীর্ণ মলিন তৈলাক্ত থাটিয়া ও সুবিধামত অস্তান্ত আবগুকীয় দ্রব্যাদি যোগাড় করিয়া দেয় ; এবং পথিক মুসলমান হইলে তাহাকে গোস্ত [ মাংস ] রুটি ও স্নাধিয়া খাওয়ায় । কিন্তু ভাটিয়ার অপেক্ষ তাছার অদ্ধাঙ্গিনী ভাটিয়ারী মহোদয়ার প্রাধানটাই প্রায় সকল সরাইয়ে কিছু অধিক