२१७ প্রবালী । [ »भ छांनं । বঙ্গভাষা ও বাঙ্গাল অভিধান । আণজি কালি ভাষাতত্ব লইয়া যেরূপ আন্দোলন চলিতেছে, তাহাতে মনে হয়, বঙ্গভাষার নিখুত জন্মকোষ্ঠী এইবার প্রস্তুত হইবে । এমন কি অনেকে বঙ্গভাষার কৃতিকাগারের পর্য্যন্ত সন্ধান দিতেছেন । তাছাদের কথায় এরূপ বুঝায় যে, কোন সময়ে কতকগুলি বাঙ্গালী মিলিত হইয়া পরামর্শমত যেন সংস্কৃত ভাষাকে ভাঙ্গিয়া চুরিয়া বঙ্গভাষায় বৃষ্টি করিয়াছেন ঠিক এই কথাগুলি স্পষ্টাক্ষরে ন। লিখিলে ও ত{হার এমন মন্তব্য প্রকাশ করেন, এবং এমন সকল উদাহরণ প্রদান করেন যে, বোধ হয় যেন তাহারা উহাই বলিতে চাহেন । কিন্তু বাঙ্গালা ভাষা ভারতীয় চলিত ভাষাগুলির অন্যতম । সংস্কৃতের সহিত বাঙ্গালার যে সম্বন্ধ, হিন্দী, মারাঠী, গুজরাতী, পাৰ্ব্বতীয়, পঞ্জাবী প্রভৃতি বহুসংখ্যক হিন্দুধৰ্ম্মাবলম্বী বিভিন্ন জাতির চলিত ভাষার সেই সম্বন্ধ । সকলগুলিই সংস্কৃতবছল। তবে কি ঐগুলি মৃত ভাষাটির ভস্মরাশি চইতে উত্থিত হইয়াছে বলিতে হইবে ? যেন তাহাই হইল, সংস্ক, তই যেন এগুলির জননী । কিন্তু ভারতে কি আদি কাল হইতে কেবল নিছক আৰ্য্যজাতির বাস ; অনাৰ্য্য বলিয়া, আদিমনিবাসী বলিয়া কোন জাতি ছিল ন ? তাহাদের কি স্বতঙ্গ স্বতন্ত্ৰ ভাষা ছিল না ? না, তাহারা তাঙ্গাদের ভাষার সহিত সমুলে বিনষ্ট হইয়াছে ? আমাদের বিশ্বাস আর্য অনায্যের সংমিশ্রণে সংস্কৃতের সহিত বাঙ্গালার ঘনিষ্ঠত ঘটিয়াছে মাত্র । আমরা মুসলমানের রাজত্বকালে রাজপুরুষদিগের সহিত যত মিশিতে পারিয়াছিলাম, ইংরাজশাসনে রাজপুরুষগণের সহিত তত মিশিতে পারিতেছি না । এই অল্পকালের মধ্যে এবং ধৰ্ম্মৰিশ্বাসের ব্যবধান সত্ত্বেও অনেক ইংরাজি শব্দ বঙ্গভাষায় প্রৰেশ লাভ করিয়াছে ; এবং অপেক্ষাকৃত অধিককালব্যাপী মুসলমানশাসনে শত শক্ত আরবী পারসী শব্দ বঙ্গ ভাষার পুষ্টিসাধন করিয়াছে। এই হিসাবে ৰঙ্গভাষা যে সংস্কৃত ভাষার বিশাল উদরে ডুৰিয়া যায় নাই, ইছাই अकई ! पूर्भदूनांख्द्रवाॉनौ अर्षिीनश्wप्तं खांबठौब्र डिम डिब्र चामि वा भूत डापाखगि ८३ नश्र्रुवश्न হইয়া উঠিবে, তাহাতে বিস্ময়ের বিষয় কি আছে ? এই স্ত্রে আমাদের মনে আর একটা সন্দেহের উদয় হয়, এবং সেই সন্দেহ হইতে যেন বাঙ্গালা হিন্দী প্রভৃতি চলিত ভাষার স্বাতন্ত্র্যের অন্য প্রমাণ পাওয়া যায় । তবে সনোহের মূল্য যতটুকু, ইহাকে আমরা ততটুকুই দিতে চাই । সন্দেহটি এই যে, হয়ত সংস্কৃত ভারতে কখনই সাধারণের কথিত সুতরাং জীবন্ত ভাষা ছিল না। পূৰ্ব্বে যেন অৰ্দ্ধমৃত অবস্থায় থাকিয়া এক্ষণে মৃত ভাষায় পরিণত হইয়াছে। পূৰ্ব্বে যে সে সংস্কৃতে কথোপকথন, হাস্যকৌতুক, বিবাদৰিসম্বাদ, সুখদুঃখজ্ঞাপন করিত না—চিঠিপত্র লিখিত না । মান্ধাতার আমলে কি ছিল কে জানে । কিন্তু প্রাচীন আর্য্যলেখকবর্গের কাব্যনাটকাদিতে স্ত্রীলোক বালক এবং সামান্য জনগণে প্রাকৃত পৈশাচিক প্রভৃতি অপভাষায় কথা কহিতেছে দেখা যায়, আর রাজ পণ্ডিত প্রভৃতি সুশিক্ষিতগণের ভাষা সংস্কৃত । সহজ বুদ্ধিতে বলে সাধারণের সহিত বাক্যালাপ করিতে, বালক ও স্ত্রীলোকদিগকে বুঝাইতে সুধীগণেরও অপভাষা প্রয়োগের আবশ্যক হইত। এবং সংস্কৃত যে সাধারণের কথিত ভাষা ছিল, ইহা বিশেষ প্রমাণ প্রদর্শন না করিয়া বলা যায় না। সংস্কৃতের আবার অন্য নাম দেবভাষা। দেবতার ভাষা যাহার তাহার মুখ দিয়া অনর্গল বাহির হওয়া ত সোজা কথা নহে! সেই জন্তই মনে হয় এই দেবভাষা— বহুকাল হইতে গ্রন্থগত হইয়া কল্পতরুর ন্যায় সমুন্নত শিরে সকলের পূজ্য হইয়া অবস্থান করিতেছেন। জার বাঙ্গালা, হিন্দী, মারাঠা প্রভৃতি ক্ষুদ্র ভাষাগুলি তাহার লাগাল না পাইয়া কল্পতরুতলে আশ্রয় গ্রহণ করিয়া সাধ্য ও জাবশ্যক মত পত্র পুষ্প ফল আহরণ করিয়া নিজ নিজ অঙ্গ পুষ্ট করিতেছে মাত্র। সংস্কৃতকে শ্রুতিমধুর জননী আখ্যা না দিয়া বঙ্গভাষার পূজনীয় ধাত্রী বলিলে অধিক সঙ্গত বোধ হয় । আমরা বলি, ভারতীয় ভিন্ন ভিন্ন চলিত ভাষার ন্যায় বঙ্গভাষা সংস্কৃতৰছল বিবিধ বৈদেশিকশৰপুষ্ট একটা মূলভাষা। খাস আধ্যাবর্তে ऊाशब्र छद्म श्ब्र नोहे, वत्राप्तप्तहे ठांशग्न खत्रा श्हेब्राटश् । বঙ্গভাষার জন্মবৃত্তান্ত সম্বন্ধীয় ভূলবিশ্বাসের জন্যই হউক आङ्ग ८मदछाषांब्र ग्रंठि जाडब्रिक अरबांत्र ब*ङ:हे श्छेक
পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৩২০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।