পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৩৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७%, १ष ल२ं;। ] প্রৰাসী । ఫిటఫి তাহাজের অপুৰ্ব্ব नर्मैवान्। বঙ্গদেশ অনন্য প্রদেশভোগ্য কতকগুলি সুবিধা প্রাপ্ত হইয়াছে । প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে বাঙ্গালীজাতি বিশেষ গৌরবজনক কোন পদচিহ্ন অঙ্কিত করিতে পারে নাই । আমর। যে আর্য্যদিগের সস্তান বলিয়া সময়ে অসময়ে তারস্বরে চীৎকার করিয়া আসি, সেই আৰ্য্যদিগের সহিত বাঙ্গলার সম্পক অপেক্ষাকৃত আধুনিক । অধিকন্তু বাঙ্গালী জাতির অতি অল্পাংশই আর্য্যশোণিতে দাবী করিতে পারে । আর্য্যাধিকারের পর হইতে ভারতের গৌরব ও ইতিহাসের আরম্ভ । আর্য্যগণ অতি ধীর পদক্ষেপে সিন্ধুতট হইতে ক্রমে ক্রমে পুৰ্ব্ব ও দক্ষিণদিকে অগ্রসর হন । বাঙ্গলা ভারতের পূৰ্ব্বপ্রাস্ত ; তাই এদেশে আযাধিকার অতি বিলম্বে স্থাপিত হয়, এবং অায্য প্রতিভা ও যেন মগধ পৰ্য্যস্ত আলোকিত করিয়াই স্তিমিত হইয়া পড়ে । বেদ, উপনিষং, সাহিত্য, দশন, সংহিতা, জৈাতিয প্রভৃতি যাহ। লক্টয়া আমরা স্ফীতবক্ষে সদপ টঙ্কারে বিদেশীয়দিগের প্রতি অবজ্ঞা বর্ষণ করি, সে সব অতি অল্প পরিমাণেই বঙ্গদেশের গৌরবের কারণ । অতি প্রাচীনকালে ভারতের যেসকল পুণ্যভূমির উল্লেখ দৃষ্ট হয়, তন্মধ্যে বঙ্গদেশের বিশেষ কোন যশোগীতি নাই । মধ্যযুগে পঞ্জাব, সিন্ধু, রাজপুতানা, মালব, কান্তকুঙ্গ, মগধ, গুজরাত ও দাক্ষিণাত্যের কোন কোন স্থান ইতিহাসের রঙ্গভূমিতে নানা অভিনয়ে ব্যাপৃত ছিল । সেই সব যুগের ভারতবর্ষ হইতে বঙ্গদেশকে সম্পূর্ণরূপে বাদ দিলেও ইতিহাসের অনুভূতব্য কোন ইতর বিশেষ হইবে না। পাল ও সেন রাজাদের সময়ে বঙ্গদেশ ক্ষণকালের জন্য জ্যোতিমান হইয়া উঠিয়াছিল মাত্র। গোড়, তাম্রলিপ্ত, সুবর্ণগ্রাম প্রভৃতি প্রাচীন ঐশ্বৰ্য্যশালী নগরের অস্তিত্ব সত্ত্বেও বঙ্গদেশ কথন ও ভারতের রাজনীতিক্ষেত্রে প্রাধান্য লাভ করে নাই । বাহুবলের লীলা প্রসঙ্গে ও বাঙ্গালীদের বিশেষ কোন কীৰ্ত্তি নাই । মোগলরাজত্বে বঙ্গদেশ ভারতবর্ষের অন্যান্য অংশের সহিত অপেক্ষাকৃত ঘনিষ্ঠ ভাবে গ্রথিত হয় । সে সময়ে মুশিদাবাদ, ঢাকা প্রভৃতি শিল্প প্রধান नभूरुिलांनौ नभ८ब्रब्र७ खेडद इझेब्राझिल । किरू भूनणमांन अविरल *लिकम छां ब्राऊब्र प्रशियांनि*[ण cय अकब्र कौहिं মুখ নিতান্ত নিম্প্রভ হইয় পড়ে। বাঙ্গাপীদিগের গেীর, বের একমাত্র উপকরণ বিদ্যাবিষয়ক । বঙ্গের কয়েকজন ধুরন্ধর সস্তানের উদ্যমে নবদ্বীপ এক অপুৰ্ব্ব সারস্বতকুঞ্জে পরিণত হইয়াছিল । সুতীক্ষমনীষীসম্পন্ন রঘুনাথ শিরোমণির ন্যায় দাশনিক বঙ্গভূমিকে অলঙ্কৃত করিয়াছিলেন । অন্যান্য অনেক পণ্ডিতের ও নাম করা যাইতে পারে। কিন্তু এসকল ও আধুনিক । বিশেষতঃ নৰদ্বীপের উন্নতির সময়ে বিস্তাবিষয়ে ৪ বাঙ্গালীর অন্যান্য প্রদেশের অধিবাসীদের অপেক্ষা উচ্চতর সোপানে আরোহণ করিয়াছিল কি না, ঠিক বলিতে পারি না । কিন্তু ইংরেজরাজত্বে বাঙ্গলার অবস্থা সম্পূর্ণরূপে বিপরীতভাবাপন্ন হইয়াছে । পুবেই বলিয়াছি, প্রাচীন ভারত হইতে বাঙ্গলাকে বাদ দেওয়া যায় ; কি স্তু ইংরেজরাজত্বে বাঙ্গলার ইতিহাস ‘ভারতবর্ষের ইতিহাস’ আখ্য। পাইতে পারে । ধৰ্ম্ম, সমাজ, রাজনীতি প্রভৃতি সৰ্ব্ববিষয়ে ভারতবর্ষ এখন বাঙ্গলার অমুগমন করিতেছে । পরাজিত জাতির রাজনীতি নাই বলিলেই চলে। তথাপি রাজসেবায় বাঙ্গালীর। ভারতের সৰ্ব্বোচ্চ আসনে উপবিষ্ট ; এবং রাজনীতির সমালোচনু ও সংস্কারের চেষ্টায় অন্য প্রদেশ সকল বাঙ্গালীদের নেতৃত্ব মানিয়া চলিতেছে । শিক্ষা ও সভ্যতায় বাঙ্গলা এখন ভারতের শীর্ষস্থানে অৰস্থিত । উনবিংশ শতাব্দীতে ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ পুরুষ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় এবং সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ সমাজসংস্করক মানবপ্রেমিক মহাত্মা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বঙ্গমাতার ক্রোড় উজ্জ্বল করিয়াছেন । পাশ্চাত্য বিজ্ঞানে সৰ্ব্বপ্রথম বাঙ্গালীযুগল অধ্যাপক বস্থ ও রায় উদ্ভাবনক্ষমা প্রতিভা প্রদশন করিয়৷ ইয়ুরোপীয় বিদ্বন্মগুলার সম্মানভাজন হুইয়াছেন । ভারতসাহিত্যেtষ্ঠানে বর্তমান সময়ে বাঙ্গলাই সৰ্ব্বাপেক্ষ সুবিকশিত। মধুসূদনের ন্যায় অসাধারণ শক্তিসম্পন্ন কবি এবং বঙ্কিমচন্দ্রের স্থায় প্রতিভাশালী চিত্রকর যে সাহিত্যকে নানা রত্নরাজিতে ভূষিত করিয়াছেন, তাহ বাস্তবিকই গৌরবের সামগ্রী । ঘটনাচক্রের অভাবনীয় আবর্তনে সিপাহী যুদ্ধের পরবর্তীকালে ভারতবর্ষেন্ন সৰ্ব্বাপেক্ষ স্বতী ধোদ্ধা ৰাঙ্গালী সুরেশচজ ৰিশ্বাস ।