পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৩৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S X o ক্টাঙ্গর সঙ্গে তাঙ্গার গৃহিণী ও ঠাতাদের একমাত্র ক স্থা আমি মোক্ষদার দিকে তাকাইয় চিত্ৰাপি ও ঠষ্টয়া পড়িলাম। কি আশ্চৰ্য্য ! --আমি এইমাত্র চক্ষু বুজিয়া ছন্মের ভিতর, কৃত্রিম ফোয়ারার পাশে যাঙ্গকে দেখয়াছিলাম, সে তো এই সুন্দরী যুবতী মোক্ষদা । মোক্ষদা আমাকে দেপিয়া ইমং হাসিা ছে । তাঙ্গার অধর সে যেন এখন ও বলিতেছে,--"ষ্ঠে ছেম | মোক্ষদ’ । স্ফরিত হইতেছে । সমসি । তোমাতে আমাতে বিবাঙ্গ"। পঞ্চম পরিচ্ছদ । আমার মৃগু থুরিয়া গেল। এ কি গলি ! এ কি রূপ । এ কি কমনীয় কাস্তি । আমার চিত্ত্ববিকার জন্মিল । ষ্ঠে বাহ্মণকুমার, নরেন্দ্র বন্দোপাধ্যায়, তোমার শিক্ষা কোথায় ? ষ্ঠে সন্ন্যাসি, তোমার সংযম কোথায় ? গুরুদেব ! গুরুদেব ! আমার এ দশা কেন ইল ? আমি উন্মত্তপ্রায় হইলাম । সমস্ত পক্ষা গু আমার ক্ষে সুরিতে লাগিল । আমার সব্বাঙ্গ থর থর করিয়া কাপিতে লাগিল । “বাব। নরেন, ওকে চিনতে পাচ্চ না, ওযে আমাদের মোক্ষদা। ও যখন ছোট্টা, ওকে তুমি সন্দেশ দিতে ; আর ও খুসি ’য়ে তোমাকে বলত, "নরেন দী, তুমি খুব ভাল লোক, আমি তোমাকে বে কোরবে ।’ সে কথা নিয়ে এখনও আমরা কত আমোদ করি । কি কোরবো বাবা - আমাদেরও পুব ইচ্ছে ছিল, তোমার বাপ মায়ের ও খুব ইচ্ছে ছিল যে তোমাতে আর মোক্ষদাত ধে হয় । মানাতো ! আমরা ও সুখী হ’তাম । আগু বেশ তা পোড়া আদেষ্ট্রে ন৷ থাকলে এমন সোন্দর--রূপে গুণে আলো করা জামাই কোথেকে পাব ? রাশিতে গণেতে মিললো না । ভাল ভাল ভট্টচার বললে এ বিয়ে হ’লে বর কনে, কেউ সুধী হবে না। কাজেই বিয়ে হোলো না । এমন পোড়া মেয়ের ভাগ্যি ! এত জায়গায় সম্বন্ধ হো.ে -কারুর সঙ্গে গণে মিললো না। আর এরও কেমন জিদ-গণে ন মিললে বিয়ে দেবেন না । সিষ্টিছাড়া চিন্ধুয়ানি । কাজেই মেয়ে ডাগর হয়ে উঠলো। অনেক নাস্তানাবুদ হ’য়ে অনেক খোজের পর, কাশীতে একটি পাত্তর জুটেছে-গণেতেও মিলচে। কি করি বাবা ? বরের বাপ মারা কোট কোরে প্রবাসী [১ম ভাগ । বোস্লো - অত দূর দেশে গিয়ে বে দেব না। আর মেয়ে মস্ত হয়ে পোড় লো । এই সেটের পোনেরোয় পড়েচে । কাজেই আমাদের কাণীতে আসতে চোলে । ছেলেটি মন্দ নয় । মোক্ষদাকে ওরা পছন্দ কোরেচে। মোক্ষদাকে আশীৰ্ব্বাদ কোরতে ওরা শিগগির আসবে । এই ফাঙ্কন মাসেই বিয়ে হবে। কিন্তু একি বাপু ? এই কি তোমার উচিত ? বুড়ো বাপ মাকে কাদিয়ে সন্ন্যাসী কেন গেলে ? ঘরে ফিরে যাও। ঘরে বোসে কি ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম হয় না ?” আমি কম্পিত কণ্ঠে অন্তমনে বলিলাম, "বিশ্বনাথের ইচ্ছে ।" এই বলিয়া নদীতে নামিয়া গভীর জলে ব্যাকুলভাবে বাপ দিয়া সাতার দিতে লাগিলাম । আমি তখন মাঝগঙ্গায়। দূর হইতে দেখিলাম, মুখুন্যেদম্পতি ও তাঙ্গার কন্ত স্নানার্থে জলে নামিয়াছেন । মোক্ষদা সানন্দে নিভয়ে জলে ডুব দিতেছে । পিতা মাতা সঙ্গাস্তে কন্যার জলক্রীড়া দেখিতেছেন । ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । “ কুষ্ঠার-কুম্ভীর-মেয়েটকে কুম্ভীরে টানিয়া লষ্টয়া যাইতেছে ।” তীরে ও জলে স্নানার্থী ও স্নানকারীরা তাঙ্গাকার করিয়া চীৎকার করিয়া উঠিল। দুই জন লোক মড় কান্না কান্দিয়া উঠিল। কিয়ৎক্ষণ সকলেই মিস্তন্ধ হইল । ঘাটে যেন মধ্য রাত্রির নিশুতি আসিল । তাহার পর আবার গণ্ডগোল । “ভয় নেই—ভয় নেই—ঐ দেখ —ঐ লোকটি, তোমাদের মেয়েকে টেনে আনচে ” । আমি মোক্ষদাকে মধ্যগঙ্গ৷ হইতে টানিয়া তীরে অনিয়া তুলিলাম । কস্তার “জয় সাধু মহারাজ কি জয় ! ধন্ত হয় মহারাজ” । অনেকেই আমার পদধূলি গ্রহণ করিল। "সাধু কা প্রতাপ হয়। গত নচি বয়ঠায়—লড় কী কী কপূড়া খিচ থ। ঘড়িয়ার ভাগ, গয়৷ ” মোক্ষদা ধীরে ধীরে চক্ষু উন্মীলন করিল। পি ও মাতা বাষ্পাকুললোচনে কন্যার কণ্ঠ ধরিয়া সস্নেহে তাহার মুখচুম্বন করিলেন। মুখুযোগৃহিণী ভৰ্ত্তার দিকে তাকাইয়া অনু: যোগের স্বরে বলিলেন, "রেখে দেও তোমার রাশ আর গণ। নরেনই আমাদের জামাই হবে। বাবা নরেন—