পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম ও ৯ম সংখ্যা । ] তুমি সন্ন্যাসীর বেশ ছেড়ে ধরে চল—তুমিই আমার জামাই ।” আনন্দ মুখুয্যে মহাশয় আমাকে সস্নেহে আলিঙ্গন করিয়া বলিলেন, “বাবা নরেন, তুমি নিজ প্রাণকে তুচ্ছ কোরে অ ণার কন্যাকে রক্ষে ক’রেচ, এ ঋণ কখনই শোধ হবার লয়। বিশ্বনাথ তোমার কল্যাণ করুন ।” মোক্ষদার মাত সরোষে বলিলেন, “রেপে দাও তোমার চিড়য়ানি-আমি যদি যথার্থ ব্রাহ্মণের কন্যা হই, এই নরেনই আমার জামাই হবে ।” মুখুয্যে মহাশয় ধীরে বলিলেন,"আমি বাক্যদান কোরেচি। তবে এখনও আশীৰ্ব্বাদ হয় নি । ওরা যদি না দেয়, তা হ'লে আমি গঙ্গাকে সাক্ষী রেখে বলুচি, নরেনের হস্তে কন্থা সম্প্রদান কোরবো ।” মুখুয্যেগুহিণী সহাস্তে বলিলেন, “আর নরেনের বাপ মার তো সম্পূর্ণই ইচ্ছে ছিল। এখন আমরা যদি নরেনকে সংসারে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারি, তা চোলে ওর বাপ মা ব’ত্তে যাবে, আর বলবা মাদ্ভব আমাদের বেয়াই বেয়ান হবে। কেমন নরেন তুমি আমাদের জামাই ত’তে রাজি আছ ?” আমি সহাস্তে নিরস্তুর । তারে &ষ্ট তিন জন বাঙ্গালী বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ দাড়াইয়া এই দুখ দেখিতেছিল । তাহারা কম্পিতকণ্ঠে বলিল, “মেনিং সন্মতিলক্ষণ –বিশ্বেশ্বর ! বিশ্বেশ্বর ! মধুসূদন মধুসূদন! এ কলির সাধু কাশীধামে কেন?” আমি সভয়ে ও লজ্জায় ঘাড় ষ্টেট করিয়া নগরের দিকে ছুটিলাম । সপ্তম পরিচ্ছেদ । কাশীবাদী পায়ের পিতা তো বিবাহ দিতে অতিরিক্ত আগ্রহ প্রকাশ করিতেছেন । সে বিবাহ ভাঙ্গিয়া যাইবার সম্ভব কোথায় ? আমার তিন রাত্রি চক্ষে নিদ্রা আসিল না । কাল তাতার মোক্ষদাকে আশীৰ্ব্বাদ করিতে আসিবে। বিশ্বনাথ হে রক্ষা কর—দেব, তোমারই ভরসা । রান্ত্রির প্রথম যামে, যে বাড়ীতে মুখুযোদম্পতি বাস করিতেছিলেন তাহারই অন্তর্গত উষ্ঠানে আমি মোক্ষদার সহিত সাক্ষাং করিলাম। আমি অতি মৃদুস্বরে বলিলাম,“মোক্ষদা তুমি আমাকে বিয়ে কেরবে ?” মোক্ষদা নিরুত্তর । আমি প্রবাসী למכא আবার অতি মূঢ়স্বরে বলিলাম “মোক্ষদা, বিয়ে হলে আমরা দুই জনেই সুখী হ’ব ।” মোক্ষদা নিরুত্তর । আমি মোক্ষদার হাত ধরিয়া বলিলাম, “প্রিয়ে, তোমাকে আমি বড়ষ্ট ভালবাসি।” e সেই সময়ে জীণ পত্ররাশির উপর অতি মৃদু অশূট পদধ্বনি হইল । আমি অতি মুণ্ঠস্বরে বলিলাম, “ও কিছুই নয়--বে:ধ করি কাঠবিড়ালিগুলো লাফালাফি করচে ।” মোক্ষদা হাত ছাড়াইয়া অস্তঃপুরের দিকে পলাইয়া গেল । তাস্টম পরিচ্ছেদ । কাণার পাঞ্জের সহিত মোক্ষদর বিবাহ হইল না । মেয়ে ভারা ডাগর । পিতা মা তার একান্ত ইচ্ছা থাকিতেও পাত্র বাকিয়া বসিল । এই উপলক্ষে ঝগড়া করিয়া পত্র রা ওলপিণ্ডিতে পলাইয়া গেল । আমরা দেশে ফিরিয়া গেলাম । বলা লাভুলা আমাকে সংসারাশ্রমে পুনরায় পাঠয়া, বাবার আর মার প্রাণে আলাদ ধরে না । বাবা ডেপুট মাজিষ্টেট্ । মোক্ষদার সহিত আমার বিবাহ মঠ সমারোহের সঠিত সম্পন্ন কষ্টল । আমার সহপাঠীরা সহাস্তে বলিল, “হে সঃ্যাসি, মোক্ষদার সঠিত তোমার বিবাছ ষ্টল। সে শীঘ্রই অতি লোভনীয় মোক্ষরূপ অমৃতফল তোমার স্তস্তে অর্পণ করিবে । যোগবাfor; a gasoloff Honeymoon অধ্যায়টি মন দিয়া পড়ি ও ” আমি সানন্দে বলিলাম, “নিশ্চয়’ ! নবম পরিচ্ছেদ । আমাদের একটা সুন্দর হৃষ্টপুষ্ট পুত্র হইল। আমরা আদর করিয়া তাঙ্গকে “ভোদা” বলিয়া ডাকি তাম । দুইট বছর সে আমার সঙ্গের সার্থী ছিল । আমি ও তাহার সঙ্গের সার্থী ছিলাম। আমি কাছে না থাকিলে তাচার কিছুই মনঃপূত হইত না । সে কাছে না থাকিলে, লবণ ন পড়িলে ব্যঞ্জন যেমন বিস্বাদ হয়, তেমনি স্বথ, সাধ, বিশ্বের সকল স্পষ্টনীয় সামগ্ৰী মালুনি বোধ হইত। সে হরবোলার মত, কপোতের বকমৃ বকম্‌, কোকিলের কুহু কুহু ধ্বনি, কাকাতুয়ার রঙ্গপূর্ণ গালি—সকল প্রকারেরই বুলি